বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

লেটারবক্সে পড়ে থাকা গান্ধীজির চশমার দাম ১৪ লাখ!

লেটারবক্সে পড়ে থাকা গান্ধীজির চশমার দাম ১৪ লাখ!

১৯০০ শতকে গান্ধীজিকে কেউ একটি চশমা উপহার দিয়েছিলেন। এবার মহাত্মা গান্ধীর ব্যবহৃত সোনার জল করা সেই চশমা নিলামে উঠলো। ধারণা করা হচ্ছে, নিলামে এই চশমার দাম উঠতে পারে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৯ লাখ ৮০ হাজার থেকে ১৪ লাখ ৬৮ হাজার।

এনডিটিভির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রোববার দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের হ্যানহ্যামের ইস্ট ব্রিস্টল অকশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মহাত্মা গান্ধীর এই চশমাটি পেয়ে তারা খুবই অবাক হয়েছিলেন। এই চশমা পাওয়ার উপায়টিও ছিল একদম অন্যরকম। অকশন হাউজের লেটারবক্সে খামে মুড়ে কেউ এই চশমাটি রেখে গিয়েছিলেন। শুরুতে বুঝতে না পারলেও, পরে যখন এর সঙ্গে যুক্ত ঐতিহাসিক গুরুত্ব সামনে আসে তখন বেশ অবাক হয়েছিলেন অকশন হাউজ কর্তৃপক্ষ।

ইস্ট ব্রিস্টল অকশনস-এর সঙ্গে যুক্ত অ্যান্ডি স্টো জানিয়েছেন, এই আবিষ্কারের ঐতিহাসিক মূল্য অপরিসীম। যে ভেন্ডর আমাদের এটা দিয়েছেন তার কাছে জিনিসটি ইন্টারেস্টিং লাগলেও এর কোনো মূল্য আদৌ আছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন না। তিনি আমাদের বলেছিলেন, যদি এর কোনো মূল্য না থাকে, তাহলে আমরা যেন ফেলে দিই। যখন ভালোভাবে পরীক্ষা করে এর মূল্য ওই ভেন্ডরকে আমরা জানাই তখন বোধহয় টার চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। এ সত্যিই এক অসাধারণ নিলামের গল্প! এমন নিলামের স্বপ্নই তো আমরা দেখে থাকি।

এরইমধ্যে অনলাইন নিলামে এই চশমার দাম উঠেছে ছয় হাজার পাউন্ড। জানা গিয়েছে, এই চশমাটি ইংল্যান্ডের এক প্রবীণ ব্যক্তির কাছে ছিল। তার বাবা জানিয়েছিলেন, এই চশমাটি তার কাকা উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন যখন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামে কাজ করতেন ১৯১০ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে।

স্টো-এর মতে, এই ভেন্ডরের কাকা নিশ্চয়ই ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজ করতেন। আমার বিশ্বাস ১৯১০-এর শেষের থেকে ১৯২০ সালের প্রথম দিকে মহাত্মা গান্ধী চশমা পরা শুরু করেন। ফলে এই চশমাটি তাঁর প্রথম জীবনের চশমা। 

আগামী ২১ অগস্ট নিলাম হবে গান্ধীজির এই চশমার। ভারত থেকেও বেশ কিছু ক্রেতা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

কিন্তু কীভাবে গান্ধীজির ব্যবহৃত চশমা অন্য কারও কাছে এলো। এটা অনেকেই জানেন, মহাত্মা গান্ধী প্রায়ই তার পুরনো বা অপ্রয়োজনীয় চশমা সেই সব মানুষকে দান করতেন যাদের সেটির প্রয়োজন আছে অথবা কোনো না কোনো সময়ে গান্ধীজিকে সাহায্য করেছেন। সেভাবেই ভেন্ডরের কাকার হাতে এসে পৌঁছায় সোনার জল করা এই চশমাটি।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ