মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে মহাকাশে পাড়ি দিল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

অবশেষে মহাকাশে পাড়ি দিল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ

অবশেষে মহাকাশে পাড়ি জমাল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। মহাবিশ্বের প্রথম আলোর খোঁজে পাড়ি জমায় টেলিস্কোপটি। ফ্রেঞ্চ গায়ানার ইউরোপিয়ান কওরু স্পেসপোর্ট থেকে শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয় সেটি। 

টেলিস্কোপটি বহনকারী হচ্ছে একটি আরিয়ান রকেট। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইসা) এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি (সিএসএ) মহাকাশে যৌথভাবে এ টেলিস্কোপটি পাঠাচ্ছে।

প্রায় মাস মহাকাশের বিশাল শূন্যতার মধ্য দিয়ে ছুটে চলার পর জেমস ওয়েব লক্ষ্যে পৌঁছাবে। একে এল২ ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট বলা হয়। গন্তব্যে যেতে যেতে জেমস ওয়েবের বিভিন্ন অংশের ভাঁজ খুলবে। লক্ষ্যে পোঁছানোর প্রায় ছয় মাস পর এটি পুরোপুরি কার্যকর হয়ে উঠবে। ২০৩১ সাল পর্যন্ত সেখান থেকে পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ প্রচুর তথ্য দেবে টেলিস্কোপটি। খুঁজবে মহাবিশ্বের প্রথম গ্যালাক্সির আলো।

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের পেছনে প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। এ টেলিস্কোপের ওজন প্রায় ৬ হাজার ২০০ কেজি আর আয়নার আকার ৬.৫ মিটার। টেলিস্কোপটি আগামী ১০ বছর কার্যক্ষম থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটিই মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ হবে। হাবল টেলিস্কোপের চেয়েও এটি ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।

১৯৯৬ সালে প্রথম এ নভোদুরবিন বানানোর পরিকল্পনা করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-নাসা। তখন ১৯৯৭ সালে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করা হয়। এরপর ঝামেলা শুরু হয়। বারবার পেছাতে থাকে উৎক্ষেপণ। সর্বশেষ চলতি মাসের ১৮ তারিখ জেমস ওয়েব উৎক্ষেপণের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপক্ষেপণের তারিখ পেছানো হয়। এরপর ২২ ডিসেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে খারাপ আবহাওয়ার জন্য সেই তারিখও উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া পেছানো হয়।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ