পুরোনো এই গল্পের ‘নায়ক’ আপেল গাছটি এখনো বেঁচে আছে। ১৬৬৬ সালের ‘ঐতিহাসিক’ এই ঘটনার সাক্ষী গাছটি দেখতে অনেকেই এখনো ইংল্যান্ডের লিঙ্কনশায়রের উলসথর্প মানর গ্রামে ছুটে যান।
নিউটনের মাথায় আপেল পড়ার ঘটনা লিপিবদ্ধ আছে অষ্টাদশ শতাব্দির একটি পান্ডুলিপিতে, যেটির লেখক উইলিয়াম স্টুকিল। তিনি নিউটনের বন্ধু। ওই পান্ডুলিপিতে তিনি লিখেছেন, নিউটন আমাকে বলেছিলেন আপেল গাছটির নিচে তিনি গভীর চিন্তামগ্ন ছিলেন। এসময় আপেলটি মাথার উপর পড়ার কারণেই তিনি বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বসেছিলেন। এই ভাবনা থেকে বের হয়ে আসে আজকের মাধ্যাকর্ষ সূত্র। নিউটন এই গল্প তার ছাত্রদেরও বলতেন।
স্টুকিল ওই পান্ডুলিপিতে লিখেছেন, নিউটন এবং তিনি এই আপেল গাছটার নিচে বসে একদিন চা খাচ্ছিলেন। এমন সময় নিউটন তাকে বলেন—তুমি কি জানো আমি যুবক বয়সে এই গাছের নিচে বসা অবস্থায় মাধ্যাকর্ষের ধারণা পেয়েছিলাম? আমি তখন কথাটি রসিকতা মনে করে বলেছিলাম, ওহ্ তাই? কিন্তু পরে কথাটি নিউটন যখন তার ছাত্রদেরও একাধিকবার বলেছেন তখন বুঝতে পারি সেটি রসিকতা ছিল না।
আইজ্যাক নিউটনের বাড়ির সামনের এই আপেল গাছটির আপেলও গুণমানে অতি উৎকৃষ্ট। বিরল এই প্রজাতির নাম ‘ফ্লাওয়ার অফ কেন্ট’। এই গাছ থেকেই ইংল্যান্ডের অন্যত্র নানা সময়ে রোপন হয়েছে চারা, নিউটনের স্মৃতিতে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ