পবিত্র কাবা শরিফের জায়গাটুকু পৃথিবীর প্রথম জমি
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০১৯

ইসলামী তথ্যমতে পৃথিবীতে ভূমির সৃষ্টি হয় পবিত্র মক্কায় অবস্থিত পবিত্র কাবা ঘরের স্থলকে কেন্দ্র করেই। হাদিস উল্লেখ আছে, কাবার নিচের অংশটুকু অর্থাৎ কাবাঘরের জমিনটুকু হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম জমিন। বিশাল সাগরের মাঝে এর সৃষ্টি। ধীরে ধীরে এর চারপাশ ভরাট হতে থাকে। এভাবে সৃষ্টি হয় একটি বিশাল মহাদেশের। পরে এক মহাদেশ থেকেই সৃষ্টি হয় সাত মহাদেশের।
মুসলমানরা মনে করেন, পৃথিবীতে মহান রাব্বুল আলামীনের অনন্য নিদর্শন পবিত্র কাবা শরিফ। ভৌগোলিকভাবে গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে বরকতময় পবিত্র কাবার অবস্থান- এটাও অনেকের জন্য আশ্চর্যজনক বিষয়। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই আল্লাহ পবিত্র কাবা শরিফকে তার মনোনীত বান্দাদের মিলনমেলাস্থল হিসেবে কবুল করেছেন।
দুনিয়াজুড়ে মুসলমানদের কাবা সম্পর্কিত কিছু আশ্চর্যজনক তথ্য জেনে নেয়া যাক। কাবা শরিফের সংস্কার: প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা ও শত্রুদের আক্রমণের কারণে বেশ কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পবিত্র কাবা শরিফ। তাই বেশ কয়েকবারই ক্ষতিগ্রস্ত কাবাকে পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক তথ্য মতে, কাবাকে এ পর্যন্ত ১২ বার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন বিপর্যয়ের হাত থেকে সংরক্ষণ করতে কাবা শরিফকে সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে আধুনিক ও শক্তিশালী প্রযুক্তির প্রয়োগে সংস্কার করা হয়। কাবা পুনঃসংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে ১৯৯৬ সালে হাতিমে কাবাও পুনঃনির্মাণ করা হয়। পবিত্র কাবা শরিফ নির্মাণ-পুনঃনির্মাণে বিভিন্ন যুগে হজরত আদম (আ.), হজরত ইব্রাহিম (আ.), হজরত ইসমাইল (আ.) এবং সবশেষ নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) ও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
কাবার গিলাফের রং পরিবর্তন: ‘কিসওয়া’ হলো কালো রংয়ের কাপড়। যা দ্বারা কাবা শরিফকে ঢেকে দেয়া হয়। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই যে এ কিসওয়া বা গিলাফ সবসময় কালো ছিল না। প্রথমদিকে জরহাম গোত্রের শাসনামলে তাদের নিয়মানুযায়ী কিসওয়া দ্বারা কাবা শরিফের আচ্ছাদন সর্বপ্রথম শুরু হয়।
পরবর্তীতে প্রিয়নবী (সা.) ইয়েমেনি সাদা কাপড় দিয়ে পবিত্র কাবাকে ঢেকে দেন। বিভিন্ন খলিফাদের আমলে লাল, সাদা, সবুজ রঙের কিসওয়াও ব্যবহার করা হতো। আব্বাসীয় খলিফাদের আমলে পবিত্র কাবার কিসওয়া হিসেবে বিভিন্ন রঙের ব্যবহার বন্ধ করে কালো রঙের কিসওয়া ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তখন থেকেই কিসওয়ার জন্য কালো রঙটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আকৃতি পরিবর্তন: নবী ইব্রাহিমের (আ.) আমল থেকেই মূলত পবিত্র কাবা শরিফ আয়তক্ষেত্র আকৃতির ছিল। ইসলামের আগমনের পূর্বে কুরাইশরা যখন পবিত্র কাবাকে পুনঃনির্মাণ করে তখন তহবিলের অভাবে পবিত্র কাবা শরিফের পুরো কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি তারা। যে স্থানটি তখন নির্মাণ করতে পারেনি সেই স্থানটিকে বলা হয় ‘হাতিমে কাবা’। এটি কাবারই অংশ। এ কারণে হাতিমে কাবাকে তাওয়াফে অন্তর্ভূক্ত করতে হয়। যা একটি ছোট্ট গোলাকার প্রাচীর দ্বারা চিহ্নিত।
দরজা-জানালা: মূল কাবা শরিফে দুটি দরজা অন্তর্ভূক্ত ছিল। একটি দরজা ছিল প্রবেশের জন্য অন্যটি বাহির হওয়ার জন্য। এছাড়াও পবিত্র কাবা শরিফের দেয়ালে একটি জানালাও ছিল। বর্তমানে পবিত্র কাবা শরিফে রয়েছে একটি মাত্র দরজা এবং কোনো জানালা নেই, যদিও কাবা শরিফের ছাদে ওঠার জন্য ভিতরে একটি দরজা রয়েছে।
ভেতরে কী আছে: পবিত্র কাবা শরিফের ভেতরে ভিত্তি মজবুতে তিনটি পিলার রয়েছে; যেগুলোর প্রত্যেকটি লিন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। পারফিউম ব্যবহারের জন্য পিলারের মধ্যে একটি ছোট বাক্স আকৃতির টেবিল রয়েছে। তিনটি খুঁটি বা স্তম্ভে ঝুলে আছে বিভিন্ন ডিজাইনের প্রদীপমালা। পবিত্র কোরআনের আয়াতের কারুকার্যখচিত সবুজ কাপড় কাবা শরিফের দেয়ালের ওপরের অংশে জুড়ে রয়েছে। পাশের দেয়ালে একটি স্বর্ণনির্মিত দরজা রয়েছে যেটাকে ‘বাব আল তাওবা’ বলে ডাকা হয়। যেটি ছাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় ব্যবহৃত হয়।
হাজরে আসওয়াদ: পবিত্র কাবা শরিফের এক কোণে সংযুক্ত ‘হাজরে আসওয়াদ’ কালো পাথরটি আগে আকারে বড় ছিল। বর্তমানে এ পাথরটি ভেঙে ৮ টুকরায় বিভিন্ন সাইজে বিভক্ত। যা একটি সিলভার রংয়ের ফ্রেমে একত্র করে কাবা শরিফের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে লাগানো।
পাথরটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ তথা বন্যাসহ অনেকবার চুরি ও জালিয়াতির চেষ্টার কারণে অনাকাঙ্খিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। হাজরে আসওয়াদের প্রথম সিলভার ফ্রেমটি তৈরি করেছিলেন আবদুল্লাহ বিন জুবাইর।
চাবির জিম্মাদার: প্রাক ইসলামি যুগ থেকে এখন পর্যন্ত কাবা শরিফের চাবি একটি পরিবারের কাছেই রয়েছে। সম্মানিত এই পরিবারটি হলো বনু তালহা গোত্র। এ গোত্র গত ১৫শ শতাব্দী ধরে এ দায়িত্ব পালন করছে। এটি ওই পরিবারের জ্যৈষ্ঠ সদস্যরা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হন।
বার্ষিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম: বছরে দুই বার এর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়। প্রথমবার করা হয় শাবান মাসে আর দ্বিতীয় বার করা হয় জিলকদ মাসে। এ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বনু তালহা তথা আলশিবি পরিবারের লোকেরাই করে থাকেন। পবিত্র জমজমের পানি, তায়েফ গোলাপ জল এবং বহু মূল্যবান ‘ঊড’ তৈল দিয়ে একটি পরিষ্কার মিশ্রণ তৈরি করে তা দিয়েই পবিত্র কাবা শরিফ পরিষ্কার করা হয়।
পবিত্র নগরী মক্কার গভর্নর এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে আমন্ত্রণ জানান। দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত: একটা সময়ে পবিত্র কাবা শরিফের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এ পবিত্র ঘরে প্রবেশ করে ইবাদাত-বন্দেগিও করতো। হজের সময় তীর্থযাত্রীরা ইচ্ছা করলে এতে প্রবেশ করতে পারতো।
কিন্তু হাজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ঘরের নিরাপত্তার জন্যই এখন কেউ ইচ্ছা করলেও অভ্যন্তরে যেতে পারে না। এটা এখন মাঝে মাঝে বিশেষ বিশেষ মেহমানদের জন্য খোলা হয়। তাওয়াফ: পবিত্র কাবা শরিফ সম্পর্কে অবিশ্বাস্য হলেও চিরন্তন সত্য যে, এর চারদিকে ঘোরা অর্থাৎ তাওয়াফ কখনো বন্ধ হয় না। তবে হ্যাঁ, নামাজের সময় যখন মুয়াজ্জিন জামাতের জন্য ইক্বামাত দেন ঠিক নামাজের সময় তাওয়াফকালীন অবস্থায় যে যেখানে থাকে সেখানে দাঁড়িয়েই নামাজে অংশগ্রহণ করে। নামাজের সালাম ফিরানোর সঙ্গে সঙ্গে আবার তাওয়াফ শুরু হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, যখন বন্যার কারণে পানিতে তাওয়াফ চত্ত্বর তলিয়ে গিয়েছিল তখনো মানুষ সাঁতার কেটে পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ করতো।

- সহানুভূতি ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা: বাইডেন
- সিরাজগঞ্জে ভি ডব্লিউ বি কার্ডের আওতায় চাল বিতরণ
- ১৩৫ দিনে কুরআনের হাফেজ হওয়ায় শিশুকে সংবর্ধনা দেন মমিন মন্ডল এমপি
- কাজিপুর থানা পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- সিরাজগঞ্জের মূল্য তালিকা না থাকায় ভোক্তা অধিকারের জরিমানা
- ভারতের পররাষ্ট্র নীতির শক্তিশালী স্তম্ভ বাংলাদেশ —এস জয়শংকর
- ট্রাউজারের সিংহভাগই সরবরাহ করছে বাংলাদেশ
- প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- জঙ্গিবাদ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
- বাংলাদেশ হয়ে আগরতলা থেকে ট্রেন যাবে কলকাতায়
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসাধারণ অর্জন বাংলাদেশের
- দ্রুতই আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে বাংলাদেশ: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের শুভেচ্ছা
- স্বাধীনতা দিবসে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
- বঙ্গবন্ধুকে দেওয়া হলো বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার
- এক বিঘায় ড্রাগন চাষে লাখপতি উজ্জ্বল
- রাস্তার পাশের পতিত জমিতে সবজি চাষ করে সফল অর্ধশতাধিক চাষি
- এ বছর সম্মাননা পাচ্ছেন মামুনুর রশীদ
- সঠিক সময়ে ইফতার করার গুরুত্ব
- যে ভাইরাসে আক্রান্তদের অর্ধেকই মারা গেছে
- মাশরাফির আগুনে ঝড়লো মোহামেডান
- উল্লাপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিলেন তানভীর ইমাম এমপি
- স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আলোচনায় মুন্না এমপি
- বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদানে আজিজ এমপি
- শতবর্ষে `সলপের ঘোল`, রোজায় বাড়ে চাহিদা
- বাংলাদেশ দ্রুত আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে: ব্লিঙ্কেন
- সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী ও নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি
- মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাবিবে মিল্লাত
- মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে আব্দুল আজিজ এমপি
- এপ্রিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ঘোষণা মিয়ানমারের
- স্বাদে অতুলনীয় সিরাজগঞ্জের কুমড়া বড়ি , হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন
- কাশ্মীরী কুল চাষে তিন শিক্ষার্থীর চমক!
- চোখ জুড়িয়ে যায় সিরাজগঞ্জের শিমুল ফুলে
- উল্লাপাড়ায় গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভবন উদ্বোধন করেন তানভীর ইমাম
- উল্লাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট
- নাসিম স্মৃতি ভলিবলে প্রথম সেমি ফাইনাল বিজয়ী কাজিপুর পৌরসভা দল
- স্ট্রবেরি চাষে দুই ভাইয়ের সাফল্য
- চুরির সন্দেহে ছেলেকে ছাদে উল্টো ঝোলালেন বাবা
- তাড়াশে বিনাহালের রসুনের ভালো ফলন ও দামে খুশি কৃষক
- কাজিপুরে তিলের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
- সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে কৃষকের মুখে হাসি
- ১৫ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রির আশা ইমরানের
- সিরাজগঞ্জে হাইব্রিড বেগুনের বাম্পার ফলন, কৃষক খুশি
- নকলায় এক গাভীর একসাথে ৪ বাছুরের জন্ম
- তাড়াশে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখীচাষে কৃষকদের সাফল্য
- ২০৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ হবে: প্রধানমন্ত্রী
- শিশুদের কোলাহলে কাটলো সলঙ্গার বই মেলার শেষ প্রহর
- সিরাজগঞ্জে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫০ টন
- সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে ৫ টি গরুর মৃত্যু
- গ্রামের পুকুরে বিশাল রুই মাছ দেখার জন্য এলাকাবাসীর ভিড়
