বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

খাবারের সময় যে ৩ কাজ করতে নিষেধ করেছেন বিশ্বনবী

খাবারের সময় যে ৩ কাজ করতে নিষেধ করেছেন বিশ্বনবী

হাদিসে আছে, রাসূল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.)  কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তার পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না। (বুখারি, হাদিস : ৫১৯৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৮২)

রাসূল (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করা হয়, তাহলে সওয়াবের সংখ্যা বেড়ে যায়। কেননা খাবার খাওয়াও একটি ইবাদত। খাবার গ্রহণে মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। 

তাই খাবার খাওয়ার সময় কেমন ব্যবহার করা উচিত সে সম্পর্কে রাসূল (সা.) আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আল্লাহর রাসূল (সা.) খাবার গ্রহণের সময় তিনটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তা হলো—

১. হেলান দিয়ে খাবার খাওয়া
আল্লাহর রাসূল (সা.) যে কোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে খাবার খেতে তিনি নিষেধ করেছেন। হেলান দিয়ে খাওয়ার নানা অপকারিতা রয়েছে। তন্মধ্যে পেট বড় হয়ে যাওয়া উল্লেখযোগ্য। আবার ক্ষেত্র বিশেষে দাম্ভিকতাও প্রকাশ পায়।

আবু হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন- আমি রাসূল (সা.)-এর দরবারে ছিলাম। তিনি এক ব্যক্তিকে বলেন, আমি টেক লাগানো অবস্থায় কোনো কিছু ভক্ষণ করি না। (বুখারি, হাদিস : ৫১৯০; তিরমিজি, হাদিস : ১৯৮৬)

২. খাবারে ফুঁ দেওয়া
খাবার ও পানীয়তে ফুঁ দেওয়া অনুচিত। কারণ, এতে অনেক ধরনের রোগ হতে পারে। রাসূল (সা.) খাবারে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) খাবারে কখনো ফুঁ দিতেন না। কোনো কিছু পান করার সময়ও তিনি ফুঁ দেওয়া থেকে বিরত থাকতেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪১৩)

৩. খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরা
যারা রান্না করেন, তারা শত চেষ্টা করেন যেন খাবার সবদিক থেকে ভালো হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও খাবারে দোষ-ত্রুটি থেকে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বা অন্য কারও সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করা বিশ্রি ও নিতান্ত বেমানান।

হাদিসে আছে, রাসূল (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.)  কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তার পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না। (বুখারি, হাদিস : ৫১৯৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৮২)

আলোকিত সিরাজগঞ্জ