সিরাজগঞ্জ শহরের সয়াধানগড়া মধ্যপাড়ায় লিপি খাতুন (১১) নামে এক কাজের মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগে জুথি খাতুন নামে এক গৃহকর্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার জুথি ওই মহল্লার তারেক গোলামের স্ত্রী। গ্রেপ্তারের পর তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধারের পর সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিশু লিপি কুড়িগ্রামের কচাকাটা উপজেলার পূর্বকেদার গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে। সে ওই বাড়িতে গত ৩ বছর যাবৎ কাজ করছিল। নির্যাতিত শিশুর অভিযোগ, কোনো ভুলক্রটি হলেই খালা আম্মা আমাকে লাঠি দিয়ে পেটায়, কিল-ঘুষি মারে, মাঝে মধ্যে গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাকাও দিত। আমি কাউকে কিছুই বলতে পারি না। কাউকে কিছু বলতে চাইলে আমাকে নানা ভাবে ভয় দেখানো হতো।
শিশুটির বড় বোন মোহসিনা সুমি বলেন, আমিও পাসের একটি বাড়িতে কাজ করি, কিন্তু আমাদের সঙ্গে দেখা করতে দিত না। তবুও গেলে বাসার ভেতরে ঢুকতে দিত না। বোনের অসুস্থ্যতার খবর পেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়ায় তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। আমরা নির্যাতনকারীর শাস্তি চাই।
সদর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, শিশুটিকে অভিযোগ পাওয়ার পর দুপুরে গৃহকত্রীকে আটক ও শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে। রাতে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ