সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২

স্টিভ জবসের ১০ মিনিটের নিয়ম কী, গবেষণায় কী মিলেছে

স্টিভ জবসের ১০ মিনিটের নিয়ম কী, গবেষণায় কী মিলেছে

সংগৃহীত

অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস ছিলেন ভিন্নধর্মী কাজের অভ্যাসের জন্য পরিচিত। তাঁর অনেক কৌশলকেই প্রথমে অদ্ভুত বলে মনে হলেও সময়ের সঙ্গে সেগুলোর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত একটি হলো ১০ মিনিট রুল বা ১০ মিনিটের নিয়ম। কোনো সমস্যায় টানা ১০ মিনিট ধরে আটকে গেলে তিনি ডেস্ক ছেড়ে হাঁটতে বের হতেন। সামান্য এই পরিবর্তনই তাঁকে প্রায়ই নতুন ধারণা ও অপ্রত্যাশিত সমাধান এনে দিত।

বহু বছর পর বৈজ্ঞানিক গবেষণায়ও মিলেছে এ অভ্যাসের প্রমাণ। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দেখিয়েছেন, হাঁটাহাঁটি সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারে। স্টিভ জবস হাঁটাকে কেবল ব্যায়াম হিসেবে দেখেননি; তিনি হাঁটাকে নতুনভাবে চিন্তা করার একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করতেন। তিনি প্রায়ই হাঁটতে হাঁটতে মিটিং করতেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল, চাপ রয়েছে—এমন পরিবেশে সৃজনশীল কাজ হয় না। মুক্ত পরিবেশ ও স্বতঃস্ফূর্ত কর্মপ্রবাহে নতুন ধারণার জন্ম হয়।

২০১৪ সালে জার্নাল অব এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি: লার্নিং, মেমোরি অ্যান্ড কগনিশন পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণায় হাঁটার সুফল বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়। গবেষক মারিলি অপেজো ও ড্যানিয়েল শোয়ার্জ দেখান, হাঁটার সময় সৃজনশীল চিন্তা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে। অংশগ্রহণকারীরা বসে থেকে আইডিয়া খোঁজার তুলনায় হাঁটার সময় অনেক বেশি নতুন ধারণা বের করতে সক্ষম হন।

গবেষণায় আরও বলা হয়, হাঁটা শেষ হলেও এর ইতিবাচক প্রভাব কিছু সময় ধরে স্থায়ী থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, হাঁটা মস্তিষ্ককে একঘেয়েমি থেকে সরিয়ে আনে। এ সময় মস্তিষ্ক ‘ডাইভার্জেন্ট থিংকিং’–এ প্রবেশ করে। একসঙ্গে নানা ধরনের নতুন ধারণা তৈরি হয়। নড়াচড়া মস্তিষ্কের স্মৃতি ও কল্পনাশক্তি সক্রিয় করে, মনোযোগ বাড়ায় এবং মেজাজ ভালো করে। এভাবেই হাঁটা মানসিক জড়তা ভেঙে নতুন সংযোগ তৈরিতে সহায়তা করে। জবস তাই প্রায়ই হাঁটার পর কাজে ফিরে এসে আরও কার্যকর সমাধান খুঁজে পেতেন।

সূত্র: প্রথম আলো

সর্বশেষ:

শিরোনাম: