বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

তাড়াশে মা হলেন পাগলি বাবা হয়নি কেউ

তাড়াশে মা হলেন পাগলি বাবা হয়নি কেউ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার রানীর হাট বাজারে নাম পরিচয় না জানা পাগলি মা হয়েছেন। অসহায় মা আর তার ফুটফুটে শিশু সন্তানের মায়াবী মুখ দেখে আবেগ আপ্লুত হচ্ছেন এলাকার সবাই। কিন্তু পাগলির মতো তার সন্তানের বাবার পরিচয় সম্পর্কে কারো কোনো ধারনা নেই। ঘটনাটি ঘটেছে, জেলার তাড়াশ উপজেলার রানীর হাট বাজারে। ওই বাজারেই দিন রাত অবস্থান করেন ওই নারী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত (১৩ অক্টোবর) গভীর রাতে রানীর হাট বাজারের একটি দোকানের সামনে প্রসব বেদনায় চিৎকার করছিলেন ওই পাগলি। পরে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান হোসেন ও পার্শ্ববর্তী একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মো. রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পাগলি ও তার সদ্য জন্ম নেওয়া ফুটফুটে শিশুটিকে বালি মাখা অবস্থায় উদ্ধার করেন।

 

পরে স্থানীয়রা বাজারের পাশে বসবাসকারী দিনমজুর ফারুক হোসেনর স্ত্রী শাপলা খাতুনের কাছে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুটির দেখভালের দায়িত্ব দেন। রোববার সকালে পাগলির সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুটিকে দেখতে যাওয়া হয়। এ সময় বাচ্চাটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা দিনমজুর ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের সংসারে আর্থিক দৈন্যতা রয়েছে। সংসারে ১০ বছর বয়সী শাকিব হোসেন নামে একটি ছেলে রয়েছে। তারা পরও আমরা পাগলির সন্তানকে নিজেদের সন্তানের মতো আগলে রেখেছি। তিনি আরও বলেন, ফুটফুটে শিশুটিকে দেখলে মায়া লাগে। তাই ওর নাম রেখেছি অপূর্ব। তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবাউল করিম বলেন, মানসিক প্রতিবন্ধী নারী একটি শিশু সন্তান প্রসব করেছেন বলে জানতে পেরেছি। আমি খোঁজ খবর নিয়ে শিশুটির সুরক্ষার ব্যবস্থাসহ সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করবো। বাচ্চা ও তার মা বর্তমানে সুস্থ ও ভালো আছেন।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ