• শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৪ ১৪৩০

  • || ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

ঘুরে আসুন সিরাজগঞ্জের চায়না বাঁধ

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

দুই পাশে নদী আর মাঝখানে সবুজ ঘাসের গালিচায় বসে অপূর্ব প্রকৃতিকে উপভোগ করতে চাইলে সিরাজগঞ্জের চায়না বাঁধ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। সিরাজগঞ্জ জেলা শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড যমুনা নদীর কূলে এই বাঁধ নির্মাণ করেছে। চায়না বাঁধের অন্য নাম ক্রসবার-৩।

বাঁধের মূল গেইট থেকে যমুনা নদীর ২ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত বাঁধের উপর দিয়ে চলে গেছে কালো পিচ ঢালা রাস্তা। আর এই রাস্তা ধরে বাঁধের শেষ প্রান্তে যাওয়া যায়। প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী চায়না বাঁধে ঘুরতে আসেন। অসীম আকাশের সাথে নদীর জলের গভীর মিতালীতে তৈরি চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ, নৌকা ভ্রমণ এবং অল্প দূরত্বে থাকা ছোট্ট সিরাজগঞ্জ শহর যেন এক অদ্ভুত মায়ায় দর্শনার্থীদের কাছে টেনে নেয়। আর সবচেয়ে ভালো লাগে বর্ষাকালে গেলে।

ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে নিয়মিত বিরতিতে অভি ক্লাসিক এবং এসআই কোম্পানির নন-এসি বাস চলাচল করে। আর মিরপুর ২ নাম্বার থেকে ঢাকা লাইন এবং এস আই কোম্পানির এসি বাস সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এসি, নন-এসি বাসের জনপ্রতি টিকেটের মূল্য ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। মহাখালী কিংবা মিরপুর ২ এর বাস ছাড়াও উত্তরবঙ্গগামী যেকোন বাসে সিরাজগঞ্জ রোড বা কড্ডার মোড়ে নেমে চায়না বাঁধে যেতে পারবেন। আর ঢাকা থেকে ট্রেনে ভ্রমণ করতে চাইলে ক্যাপ্টেন মনসুর আলী স্টেশনে নামতে হবে। মনসুর আলী ষ্টেশন থেকে সিএনজি নিয়ে সিরাজগঞ্জ শহরস্থ বাজার স্টেশনে এসে রিকশা ভাড়া করে চায়না বাঁধে যেতে পারবেন। রাত্রিযাপন করতে চাইলে সিরাজগঞ্জ শহরের অবস্থিত মোটামুটি মানের হোটেল আলিশান কিংবা হোটেল অনিক ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে রাতে থাকার রুম পেয়ে যাবেন। সিরাজগঞ্জ সদরে বিভিন্ন মানের বেশকিছু খাবারের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। জনপ্রিয় খাবার হোটেলের মধ্যে ফুড ভিলেজ, বসুন্ধরা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে পারেন।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ
আলোকিত সিরাজগঞ্জ