যমুনার চরে মহিষের সঙ্গে ঘর-সংসার
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৩

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনা নদীর ধু-ধু বালু চরে বিশাল এলাকায় গড়ে উঠেছে মহিষের বাথান। চরের তৃণভূমিতে রাখালেরা খোলা আকাশের নিচে মহিষের ভ্রাম্যমাণ বাথান একত্রিত হয়ে সবুজ ঘাস খাওয়াচ্ছেন। মালিকরা চরে মহিষ পালন করে হচ্ছেন স্বাবলম্বী।
দুর্গম চরে রাখালদের থাকার তেমন ভালো ব্যবস্থা নেই। মহিষের বাথানের পাশেই নদীঘেঁষা বালু চরে চাষি ও রাখালেরা কয়েকটি ঝুপড়ি ঘর তুলেছেন। মহিষগুলো লালন-পালন করাই তাদের কাজ। তারা ঝুপড়ি ঘর তুলে সেখানে কোনও রকমে গাদাগাদি করে থাকছেন। মহিষের সঙ্গেই যেন তাদের ঘর-সংসার। মহিষ পালনকে ঘিরেই চলছে তাদের জীবন-জীবিকা।
শুক্রবার (১৯ মে) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমুনার বিশাল এলাকা নিয়ে অবস্থিত এই বাথানগুলোর এক প্রান্তে নদী রয়েছে, যা খামারিদের জন্য মহিষগুলোর পানি পান করা ছাড়াও গোসল করানোর সুবিধা পাচ্ছে। মহিষের বাথানগুলো জামালপুর, মানিকগঞ্জ, শেরপুর ও বগুড়া জেলা থেকে একত্রিত হয়ে সদর উপজেলার কাওয়াকোলা চর, শিমলার চর, গঠিয়ার চর, কাজিপুরের তেকানী, মুনসুর নগর ও এনায়েতপুরের ঘাটাবাড়ী, উতুলি, বাঐখোলা, মালিপাড়া, নওহাটা, তেগুরী, গোসাইবাড়ী, কুচেমোড়াসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে মহিষের বাথান নিয়ে অবস্থান করছে রাখাল ও মালিকেরা।
সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের গটিয়া চরের আবুল কাশেম, কালাম মিয়া জানান, কাক ঢাকা ভোর থেকে শুরু হয় মহিষ ও রাখালদের কর্মযজ্ঞ। মহিষের দুধ দোয়ানো, নৌকায় করে গ্রাহকদের কাছে দুধ পাঠানো, আর দুপুর পর্যন্ত মহিষগুলোকে মাঠে চড়ানো। এরপর মধ্যাহ্ন ভোজ। বিকেলে আবার মহিষ চড়ানো। রাখালদের সঙ্গে মহাজনের নিয়োগকৃত ঘোষালরাও থাকেন। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে এসব। এ যেন প্রাকৃতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান।
কারখানায় যেমন শ্রমিক-কর্মচারীর শ্রমের বিনিময়ে পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, ঠিক তেমনই চাষি, রাখালের শ্রমে মহিষ থেকে উৎপাদিত হচ্ছে দুধ। জীবন-জীবিকা, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না ও চরাঞ্চলে থাকার নানা অভিজ্ঞতার কথা হয় রাখাল ও মহিষের মালিকদের সঙ্গে।
মহিষের মালিক হালিম ঘোষ বলেন, জামালপুর ও বগুড়ার ১০/১২ জন চাষীর মহিষ একত্রিত করে বাথান করা হয়েছে। আমাদের এলাকায় ঘাস কম থাকায় এখানে এসেছি। এই বাথানে আমার ৫০টি মহিষ রয়েছে। শুকনো মৌসুমের ৮/৯ মাস যমুনার চরে মহিষ পালন করা হয়। বাকি তিন থেকে চার মাস বাড়িতেই মহিষ পালন করা হয়। বর্ষা মৌসুমে যার যার এলাকায় চলে যাব।
গটিয়ার চরের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাথানে আমার ১৮টি মহিষ রয়েছে। মহিষ চাষিরা একত্রিত হয়ে চরাঞ্চলের জমির পরিত্যক্ত ফসল প্রতি বিঘা ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় কিনে মহিষগুলোকে খেতে দেই। এখানকার লোকজন অনেক ভালো। আমাদের খুবই সাহায্য সহযোগিতা করছে। প্রতি বছর এই সময়ে আমরা এখানে মহিষ নিয়ে আসি। ভবিষ্যতেও আসব।
বাথানের রাখাল আমজাদ হোসেন, আলী হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এখানে নদী কাছে হওয়ায় এবং সবুজ ঘাস বেশি হওয়ার কারণে খামার পরিচালনা করতে খুব সহজলভ্য হচ্ছে। তারা আরও বলেন, একটি মহিষ সকাল ও দুপুরে ৭ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত দুধ দেয়। প্রতি কেজি দুধ ফ্যাট অনুযায়ী ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়। বিভিন্ন স্থানের ঘোষ ও মিল্কভিটার লোকজন নৌকায় এসে এসব দুধ নিয়ে যায়।
দুগ্ধ খামারিরা জানান, এখানে কর্মরত রাখালদের ১০/১২ হাজার টাকা মাসিক বেতন দিতে হয়। এছাড়া মহিষের খাদ্যের জন্য পরিত্যক্ত ফসল কেনা ও রাখালদের খাবার বাবদ মাসে আরও ৯/১০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিটি মহিষ থেকে মাসে ২০০ থেকে ২২০ কেজি দুধ আসে। যার মূল্য প্রায় ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা। ৯/১০টি মহিষ থেকে খরচ বাদে মাসিক আয় আসে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। বছরে প্রতিটি মহিষ একটি করে বাচ্চা দেয়। মহিষ পালন করেই তারা সাবলম্বী হচ্ছেন। এ বিষয়ে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারবো।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার জানান, প্রতি বছরই যমুনার চরে জেগে ওঠা চরাঞ্চলে সবুজ ঘাস খাওয়ানোর জন্য পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে মহিষের বাথান নিয়ে আসে। চৌহালী থেকে কাজিপুরের দুর্গম চরের তৃণভূমিতে শত শত মহিষ ঘাস খাচ্ছে। এই চরাঞ্চল এলাকায় প্রায় ৪০০টি মহিষ লালন-পালন হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে চরগুলোতে পানি উঠার আগেই তারা আবার নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাবেন বলে তিনি জানান।

- সরকার বাজেট বাস্তবায়ন করতে সক্ষম: প্রধানমন্ত্রী
- কাজিপুর পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তানভীর শাকিল জয় এমপি
- সিরাজগঞ্জে দুগ্ধপান কর্মসূচি ও পুরস্কার বিতরণে মিল্লাত এমপি
- দেশে ফিরলেন সৌদিতে নির্যাতনের শিকার ১২ গৃহকর্মী
- ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ
- নগরীতে বসছে গ্যাসের আরো এক লাখ প্রিপেইড মিটার
- ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ৫০ হাজার ডলার দিচ্ছে বাংলাদেশ
- নৌকায়ই চড়বে শরিকরা
- এ মাসেই ট্রায়াল রান, উদ্বোধন সেপ্টেম্বরে
- চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
- আমেরিকায় না গেলে কিছু যায় আসে না আরও মহাদেশ আছে
- গাড়ল পালনে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রফিকুলের সাফল্য!
- শিক্ষকতা ছেড়ে খামারেই সফল খানসামার জয়নাল
- চাকরির ইন্টারভিউতে নিজেকে আলাদা করার ৫ উপায়
- গ্যাঞ্জামের গল্প নিয়ে আসছে ‘ফিমেল ৩’
- এরদোগানের নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা
- শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে বাংলাদেশকে কড়া বার্তা আফগানিস্তানের
- সামাজিক সমস্যা নিরসন বিষয়ক কর্মশালায় মিল্লাত এমপি
- তাড়াশ পৌরসভার নির্বাচন ঘিরে উৎসাহ উদ্দীপনা
- বর্ষার আগমনে আগেই সিরাজগঞ্জে নৌকা তৈরির ধুম
- সবজি চাষে অভাব দূর হচ্ছে সিরাজগঞ্জের কৃষকদের
- শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশ চা শিল্পের উন্নয়ন নিশ্চিত করবে
- নদীর তীর রক্ষায় জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজের উদ্বোধনে মমিন মন্ডল এমপি
- আওয়ামী লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবে না: শেখ হাসিনা
- তাড়াশ পৌরসভা নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১২জন
- হাটিকুমরুল প্রেসক্লাবের কমিটি পূর্ণগঠন
- ভুট্টা চাষে কলেজ ছাত্রী শারমিনের সাফল্য!
- ২০ মণ ওজনের লালু পালোয়ানের দাম ৫ লাখ!
- ছাগল উৎপাদনে চতুর্থ বাংলাদেশ
- নেপালের বিদ্যুৎ ভারত দিয়ে বাংলাদেশে আনতে দিল্লির সম্মতি
- উল্লাপাড়ায় আপেলের বাগান করে সফল বোরহান
- উল্লাপাড়ায় মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাব বিতরণে তানভীর ইমাম
- সিরাজগঞ্জের বদলে যাওয়া এক ফার্নিচার গ্রাম
- সংবিধান রক্ষা করেই নির্বাচনকালীন সরকার
- সিরাজগঞ্জে প্রথম পান চাষ, সাড়া ফেলেছে কৃষকদের মাঝে
- প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন
- চলনবিলে শতকোটি টাকার লিচু বিক্রির সম্ভাবনা
- ২০ বছরের তরুণীকে বিয়ে করে হেসেই চলেছেন ৭২ বছরের বৃদ্ধ
- হবিগঞ্জে গৃহিণী আফিলা গাভীর খামারে স্বাবলম্বী
- হাঁস-মুরগি পালনে নারী উদ্যোক্তা শিরিনের সাফল্য!
- প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, বিএনপি নেতার ভিডিও ভাইরাল
- ২০ কেজির ওলের দাম ৮০০ টাকা
- সিরাজগঞ্জে ৪ লাখ কোরবানির পশু প্রস্তুত
- অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি: প্রধানমন্ত্রী
- প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ার তরুণী ছুটে এলেন সিরাজগঞ্জে
- শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ছে ৭ হাজার কোটি টাকা
- ছাগল পালনে বাজিমাত নিলুফার
- রূপালি পর্দা ছেড়ে ইসলামের পথে নায়িকা পপি
- সিরাজগঞ্জে কদর বাড়ছে তালের শাঁসের
- শাহজাদপুরে চাষ হচ্ছে জাপানের মিষ্টি আলু ওকিনাওয়া
