বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে জমে উঠেছে ভাসমান পাটের হাট!

সিরাজগঞ্জে জমে উঠেছে ভাসমান পাটের হাট!

সিরাজগঞ্জের যমুনাবেষ্টিত কাজিপুরে যমুনার চরে নাটুয়ার পাড়াতে জমে উঠেছে ভাসমান পাটের হাট। এই হাটে কাজিপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল জেলা থেকে চাষি ও ব্যাপারীরা এসে পাট ক্রয় বিক্রয় করছেন। তাছাড়া বর্তমানে পাটের ভালো দাম পাচ্ছে চাষিরা।

জানা যায়, কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের জমিতে উৎপাদিত পাট বিক্রয় করতে এবং আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলা পাট ক্রয়-বিক্রয় করতে এ হাটে নিয়ে আসে পাট চাষিগণ। বর্তমানে বাজারে পাটের ভালো দাম থাকায় উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছে চাষিরা। যমুনা চরে পাটের উৎপাদন ও মান ভালো হওয়ায় ব্যাপারী ও ক্রেতাদের হাঁক ডাকে জমে উঠেছে বেচাকেনা। প্রতি মন পাট ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকায় বেচা কেনা হচ্ছে।

নাটুয়ারপাড়ার চাষি আব্দুর হাদিউদজ্জামান বলেন, আমি ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম বন্যায় ডুবে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে তবুও বিক্রি করে বেশ দাম পেয়েছি।

সরিষাবাড়ি উপজেলার পাটের ব্যাপারী আবু তাহের বলেন, পাট কিনে ১ নৌকা থেকে অন্য নৌকায় তোলা সহজ হয়। যোগাযোগের সুবিধা হয় ও পরিবহন খরচ কম। প্রতিহাটে তিনি ৪০ থেকে ৬০ মন পাট নৌকা থেকে ক্রয় করে থাকেন।

চরগিরিশের সোলেমান ব্যাপারি বলেন, অন্য হাট থেকে পাট কিনে নৌকায় তোলা অসুবিধা হয়। তাই নৌকা থেকে পাট কিনি। তিনি প্রতিহাটে ৬৯ থেকে ৭০ মন পাট ক্রয় করেন।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম বলেন, এ বছর বন্যার কারণে পাটের আশানুরূপ ফলন হয়নি। হাটে ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা মন দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। এতে চাষিরা লাভবান হচ্ছে। এবছর বিঘা প্রতি গড়ে ৭ থেকে ৮ মন পাটের ফলন হয়েছে বলে তিনি জানান।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ