শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেঘাই ঘাট সিরাজগঞ্জ জেলার এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নাম

মেঘাই ঘাট সিরাজগঞ্জ জেলার এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নাম

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। যমুনা নদী বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর একটি। এটি ব্রহ্মপুত্র নদীর একটি প্রধান শখা। যমুনা নদীর পুর্ব নাম ছিলো জোনাই নদী। ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পে যমুনা নদীর সৃষ্টি হয় যা রাজশাহী ও ঢাকা কে আলদা করে। যমুনা নদীত সর্বাধিক প্রস্থ ১২০০০ মিটার। এই যমুনা নদীর তীর ঘেষা সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার এক মনোরম যায়গা মেঘাই ফেরিঘাট নামে পরিচিত। 

কি আছে এই মেঘাই ঘটেঃ 

নামে মেঘাই ফেরিঘাট হলেও এই জায়গার প্রাকৃতিক দৃশ্য আর মাতাল আবহাওয়া মানুষের মনে যায়গা করে নিয়েছে আর তাইতো প্রতিদিনই অসংখ মানুষের আনাগোনা হয় এখানে। এখানে প্রতিদিন সিরাজগঞ্জ কাজিপুর ও তার আশেপাশের বিভিন্ন যায়গা থেকে এবং বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এখানে আসে প্রাকৃতিক দৃশ্য আর মাতাল আবহাওয়া গায়ে লাগাতে। 

এখানে আপনি নদীর তীর ঘেসে বেড়াতে পারবেন। নদীতে নৌকা বা স্পিডবোট নিয়ে ঘুরতে পারবেন। আপনি চাইলে নদীর ওপারে মাইঝবাড়ি গ্রামে যমুনার জেগে ওঠা চড়ে গিয়ে সময় কটাতে পারেন। এছাড়াও আপনি বন্ধুবান্ধব নিয়ে নৌকা ভাড়া করে নাটুয়ার পাড়া চড়ে সারাদিন হৈ হুল্লোড় করে কাটাতে নিমিষেই দিন কাটাতে পারেন। ছুটির দিনে মানুষের আনাগোনা অনেকটা বেশি হয় তবে আপনি যদি নিরিবিলি পরিবেশ পেতে চান তো ছুটির দিন বাদে আসুন। 

এখান থেকে আপনি নৌকা বা স্পিডবোট ভাড়া করার সময় দর-দাম করে নিবেন। আর যদি কোন প্রকার কোন ঝামেলায় পড়ে যান তো এখানে টুরিস্ট পুলিশের সাহায্য নিতে পারবেন। আশা করি কোন সমস্যা হবেনা কারন এখানকার স্থানীয় মানুষগুলো অনেক ভাল এবং হেল্পফুল। 

এছাড়াও নদীর পাড়ে আছে সুন্দর সুন্দর চেয়ার যেখানে আপনি বসে নদীর সৌন্দর্য ও পাগলা হাওয়ায় মন ভাসিয়ে গলা ছাড়িয়ে গান গাইতে পারেন।

কিভাবে আপনি মেঘাই ঘাটে যাবেনঃ 

বগুড়া থেকে এখানে আসতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে বাসে করে শেরপুর ধুনট মোড়ে আসতে হবে। তারপর আপনি ধুনট মোড় থেকে সি এন জি অথবা বাসে করে ধুনট বাজারে আসবেন। তারপর ধনট বাজার থেকে সি এন জি করে মেঘাই ঘাটে যেতে পারবেন আর যদি ঢাকা থেকে আসেন তো প্রথমে আপনাকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত আসতে হবে তারপর বাসে করে সিরাজগঞ্জ আসতে হবে তারপর সিরাজগঞ্জ থেকে কাজিপুর আসতে হবে। তারপর কাজিপুর থেকে সি এন জি করে মেঘাই ঘাটে আসতে পারবেন। 

এখানে কি থাকার যায়গা আছে ?

হ্যাঁ, আপনি চাইলে এখানে ও রাত কাটাতে পারেন। এখানে রাত কাটাতে হলে থাকতে হবে উপজেলা ডাকবাংলো তে। অথবা সিরাজগঞ্জ শহরে অনেকগুলা হোটেলে। আর বগুড়ার জেলার পর্যটন মটেল, হোটেল নাজ গার্ডেন, হোটেল মম ইন এবং আকবোরিয়া হোটেলে থাকতে পারেন।

পরিবেশ কখনো নস্ট করবেন না। সবার সাথেই সংযতভাবে কথা বলুন আর বেশি বেশি ভ্রমণ করুন। আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই