শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জের ১২৫০ কেজির বাহুবলীর দাম ১২ লাখ

সিরাজগঞ্জের ১২৫০ কেজির বাহুবলীর দাম ১২ লাখ

‘সখ করে বাড়িতে কিছু গরু পালন শুরু করি। এর মধ্যে একটি গরুর প্রতি মায়া বেড়ে যায়, তাই গত ৩ বছর ধরে তাকে বিক্রি করিনি। এখন ওই গরুর ওজন ১২৫০ কেজিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এবার বিক্রি করব ভাবছি, কিন্তু এত বড় গরুর নাকি কোনো নাম না দিলে বিক্রি হয় না। এ কারণে মায়ার এই গরুটির নাম দিয়েছি বাহুবলী।’

কথাগুলো বলছিলেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় পূর্বদেলুয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ (৫৫) নামে এক ব্যক্তি।  পেশায় কৃষক এই ব্যক্তি ছোট বেলা থেকেই এভাবে সখের বশে গরু পালন করে আসলেও এত বড় গরু কখনো পালন করেননি এর আগে। তাই বাহুবলীর প্রতি তার মায়া অনেক বেশি বলে জানালেন তার ছেলে কাওসার আলী।

আব্দুল আজিকের ছেলে মো. কাওসার আলী বলেন, আব্বা ছোটবেলা থেকেই সখের বশে গরু লালন-পালন করেন। আমি ছোটবেলা থেকেই আমাদের বাড়িতে অনেক গুরু দেখে আসছি। সব গরুর মধ্যে এই গরুটা ব্যতিক্রম হওয়ায় আব্বা সব গরু বিক্রি করে দিয়ে শুধু এইটা রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

এর পর গত বছরে আমরা আমাদের বাকি ৬টা গরু বিক্রি করে দিয়ে শাহীয়াল জাতের এই বাহুবলীকে রেখে দিই। বাহুবলীর বর্তমান বয়স ৩ বছর। এই ৩ বছরে বাহুবলীর পেছনে আমাদের খরচ হয়েছে অন্তত ৫ লাখ টাকা। ১২৫০ কেজির এই গরুটির আমরা দাম চেয়েছি ১২ লাখ। এর মধ্যে সাড়ে ৭ লাখ পর্যন্ত দাম হয়েছে কিন্তু বিক্রি করিনি। 

গরুর নাম বাহুবলী রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের অনেকেই বলল এত বড় গরুর ভালো নাম না রাখলে বিক্রি হবে না। এদিকে গরুটি বাহুবলীর মতোই শক্তিশালী, তাই এই নাম রাখা। এই বাহুবলী অন্যান্য গরুর মতোই স্বাভাবিক খাবার খেলেও গো-খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় বাহুবলীকে এবার বিক্রি করতেই হবে। 

পেশায় খাদ্য ব্যবসায়ী কাওসার আরও বলেন, আমাদের নিজেদের সংসার চালাতে হিমশিম খেলেও, বাহুবলীকে কখনো না খাইয়ে রাখিনি বা কষ্ট দিইনি। এ ছাড়া এত বড় গরু হাটে নিয়ে বিক্রি করা সম্ভব নয়, তাই লোকমুখে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। বাহুবলী বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে সংসারের অনেক কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি।

উল্লাপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অ.দা.) ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, বাহুবলীর বিষয়টি আমি এখনো জানি না, বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই জানলাম। আমি সরেজমিনে গিয়ে গরুটি দেখব ও খোঁজ-খবর নিব। 

উল্লাপাড়া উপজেলায় আসন্ন  ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ৩৫ হাজার গরু ও ২৫ হাজার ছাগল মিলিয়ে মোট ৬০ হাজার গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, যা এই উপজেলার চাহিদা মেটাতে সক্ষম। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার জানান, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জেলায় প্রায় ১৫ হাজার খামারি মোট ৩ লাখ ৯১ হাজার গবাদিপশু কোরবানিযোগ্য করে তুলেছেন। এ বছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় আড়াই লাখ। চাহিদার অতিরিক্ত পশুগুলো রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, জেলার চাহিদার অতিরিক্ত কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাবে। আবার বিভিন্ন জেলার পশুও এ জেলায় আসবে। তাই ঈদে কোরবানির পশুর কোনো সঙ্কট হবে না, বরং চাহিদার অতিরিক্ত রয়েছে। এ বছর খামারিরা ভালো দাম পাবে বলে আশা করছি। 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ঈদের দিন ৩ হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই