বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে ধর্মীয় সম্প্রীতি সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জে ধর্মীয় সম্প্রীতি সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বিভিন্ন ধর্মের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে ধর্মীয় সম্প্রীতি সচেতনতামূলক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে অফিসার্স ক্লাবে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মনির হোসেন-এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড.ফারুক আহাম্মদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বিপিএম, প্রকল্প পরিচালক ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আব্দুল্লাহ আল শাহীন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিরাজগঞ্জের উপ-পরিচালক ফারুক আহমেদ, সহকারী কমিশনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেদওয়ান আহমেদ, মাসুদুর রহমানসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতৃবৃন্দ।

দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাংলাদেশ নামক এই দেশটি লাল সবুজের পতাকা ও নিজস্ব মানচিত্র পেয়েছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্ম আমাদের সকল মুসলমানদেরকে সম্মানিত করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন বাংলাদেশে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ভেদে এক সাথে বসবাস করবে। মহান আল্লাহ পাকের দিক নিদের্শনাগুলি ও নবী রাসূলের সূন্নত গুলি সঠিক ভাবে পালন করবে এই জন্য তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন তৈরি করে ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন তৈরি করে করে ছিলেন। আজকের এই ধর্মীয় সম্প্রীতিও সচেতনতামূলক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মুসলিম ধর্মাবলম্বী, ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মাবলম্বী ও খ্রিষ্টান সম্প্রদয়ের ধর্মাবলম্বী ও সমাজের বিবেকবান সাংবাদিকগণ এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। প্রকৃত ধর্মের মর্মবাণী প্রায় একই তাই আমরা কখন কাউকে দুঃখ দেব না। যার যার ধর্ম সে সে সঠিক ভাবে পালন করব। কাউকে কোনো প্রকার ধর্ম নিয়ে আঘাত করব না। বাংলাদেশে ধর্মীয় দিক দিয়ে আমরা সবচেয়ে এগিয়ে।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক কর্মশালা দিনব্যাপী বিভিন্ন ধর্মের ধর্মাবলম্বীও মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও পুরোহিত, সাংবাদিকদেরকে নিয়ে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ