বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে স্বপ্ন দেখছেন চরাঞ্চলের বাদাম চাষীরা

সিরাজগঞ্জে স্বপ্ন দেখছেন চরাঞ্চলের বাদাম চাষীরা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে যমুনার চরাঞ্চল শুকিয়ে জেগে উঠেছে ধূসর বালির চর। সেই চরে অধিক লাভের আশায় বাদাম চাষে ঝুকে পড়ছেন স্থানীয় কৃষকরা। বালি মাটির নিচে বপন করা এ বাদামই যেন চরাঞ্চলের কৃষকদের এখন লাভবান হওয়ার স্বপ্ন।

বিগত মৌসুমে আমনের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের আশায় বাদাম ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখছেন যমুনা চরাঞ্চলের কৃষক। যমুনা চরের ধুধু বালিচরে দিগন্ত জুড়ে সারিবদ্ধ বাদাম ক্ষেত দেখে নয়ন ভরে যায়। বাদম গাছ ভাল হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে আশার আলো জ্বলছে। বেলকুচি উপজেলার বেলকুচি চর, চরবেল, ক্ষিদ্রচাপরী, আজগড়া, রতনকান্দীসহ অত্র চরাঞ্চল ঘুরে সারিবদ্ধ বাদাম ক্ষেতের এমন চিত্র দেখে মন ভরে যায়।

বড়ধুল ইউনিয়নের ক্ষিদ্রচাপরী এলাকার বাদাম চাষি তারেক মিয়া জানান, বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে জমিতে বাদাম চাষ করেছি, বাদাম গাছ খুবই ভালো হয়েছে। চরাঞ্চলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমনের ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হতে পারবো।

বেলকুচি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্যাণ প্রসাদ পাল প্রতিবেদককে জানান, যমুনা চরাঞ্চলে বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য বাদাম চাষিদের বেলকুচি উপজেলা থেকে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। চলতি বছরে ৮৭ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাদামের ফলন আসতে ১৩০ থেকে ১৫০ দিন সময় লাগে। বাদামের চাষ বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভালো ফলন হয়। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভাল ফলন পাবেন এ অঞ্চলের কৃষক।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ