
সংগৃহীত
মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে। তারপরও হঠাৎ করেই গতকাল শুক্রবার বৃষ্টি হলো। যদিও এর পরিমাণ খুব বেশি নয়।
আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সম্ভাবনার কথা বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। তবে এই নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় হবে কি না, সে বিষয়ে আবহাওয়াবিদেরা নিশ্চিত নন।
দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি গতকাল রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে, ২৯ মিলিমিটার। আর দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের আরেক জেলা বান্দরবানে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২৪ মিলিমিটার। আর রাজধানীতে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় ১ মিলিমিটার।
এ বৃষ্টির কারণ প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, মৌসুমি বায়ু চলে যাওয়ার পরপরই একেবারেই স্থানীয়ভাবে সৃষ্টি হওয়া মেঘে অনেক সময় বৃষ্টি হয়। গতকাল রাজধানী ও অন্যান্য স্থানেও তা–ই হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীতে ঘূর্ণিবায়ুর আবর্তনের সঙ্গে জলীয় বাষ্প মিলে মেঘের সৃষ্টি হয়েছিল। এটি একেবারে স্থানীয়ভাবে সৃষ্টি হয়েছিল। আজ শনিবার রাজধানীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুব কম বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এখনো নিশ্চিত নয় যে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে লঘুচাপটি ঘনীভূত হবে, তা বলা যায়। আর সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টির লক্ষণ দেখার আগেই তা ঘূর্ণিঝড় হবে কি না, তা বলা সংগত নয়।
মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক, আবহাওয়াবিদ
চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক। তিনি বলেন, ২৪ অক্টোবরের মধ্যে এ লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়া অফিস চলতি মাসের শুরুতে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে তিনটি লঘুচাপের কথা বলেছিল। এরই মধ্যে একটি লঘুচাপ মাসের একেবারে শুরুতে হয়ে গেছে। আরও দুটি লঘুচাপ হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ এমনকি ঘূর্ণিঝড়ও হতে পারে।
আগামী লঘুচাপটিই কি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে? এ প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এখনো নিশ্চিত নয় যে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে লঘুচাপটি ঘনীভূত হবে, তা বলা যায়। আর সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টির লক্ষণ দেখার আগেই তা ঘূর্ণিঝড় হবে কি না, তা বলা সংগত নয়।
দেশে বছরের দুটি সময় ঘূর্ণিঝড়প্রবণ। এর একটি মৌসুমি বায়ু আসার আগে এবং দ্বিতীয় দফায় হয় মৌসুমি বায়ু চলে যাওয়ার পর। প্রাক্–মৌসুমি বায়ুর সময় বা এপ্রিল ও মে মাস ঘূর্ণিঝড়প্রবণ। আবার মৌসুমি বায়ু চলে যাওয়ার পরপর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেও ঘূর্ণিঝড় হয়। দেশের বড় ও বেশি ঘূর্ণিঝড় হয় মূলত নভেম্বর মাসে। সে অনুযায়ী অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়ে গেছে।
সূত্র: প্রথম আলো