
সংগৃহীত
বয়স বাড়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, কিন্তু কেউই সহজে বুড়িয়ে যেতে চান না। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে দরকার নিয়মিত পরিশ্রম ও লেগে থাকার ক্ষমতা। অনেকেই ত্বকের যত্ন নিতে শুরু করেও দু-একদিন পর আর তা ধরে রাখতে পারেন না। তবে একজন রূপচর্চা শিল্পী পারুল গর্গ বলছেন, ৫টি সহজ অভ্যাস আছে, যা নিয়মিত মেনে চললে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ার গতি অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
রূপচর্চা শিল্পী বার্ধক্যের গতি কমাতে যে ৫টি সহজ অভ্যাস নিয়মিত মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন, তা নিচে সহজ ভাষায় দেওয়া হলো—
১. পর্যাপ্ত আর্দ্রতা (পানি পান) : ত্বক ও শরীর সুস্থ রাখতে শরীরকে আর্দ্র রাখা খুব জরুরি। এর জন্য নিয়মিত পানি খেতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে খেলে তা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে ও হজমে সাহায্য করে।
২. সুপারফুড (ঘরোয়া খাবার) : রান্নাঘরে থাকা উপকারী খাবার, যেমন—হলুদ, ঘি এবং আমলকি নিয়মিত খেতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে এক চিমটি গোলমরিচ দিয়ে হলুদ মেশানো দুধ এবং প্রতিদিন সকালে একটি আমলকি খাওয়া ভালো। এছাড়া, খাবারের সঙ্গে ১-২ চামচ ভালো মানের ঘি রাখতে পারেন।
৩. পর্যাপ্ত ঘুম : প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। ঘুমের সময় শরীর তার ক্ষয়পূরণ করে নেয়। পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে, যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে।
৪. নিয়মিত শরীরচর্চা : প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট শরীরচর্চা করা উচিত। এতে শুধু পেশিই ভালো থাকে না, মনও সচল থাকে এবং মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। চাপমুক্ত থাকার কারণে এর ইতিবাচক প্রভাব ত্বকেও দেখা যায়।
৫. চুলে তেল দেওয়া : বয়স বাড়ার আরেকটি লক্ষণ হলো চুল কমে যাওয়া। চুল ঘন ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সপ্তাহে ২-৩ দিন নিয়মিত চুলে তেল মালিশ করুন। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছায়। তবে তেল দেওয়ার পাশাপাশি চুল পরিষ্কার রাখাও জরুরি।