
সংগৃহীত
আজকাল অনেকেই পেটের বাড়তি মেদ নিয়ে চিন্তিত। ব্যস্ত জীবনে হয়তো জিমে যাওয়া বা কড়া ডায়েট মানা সম্ভব নয়, কিন্তু কিছু সহজ অভ্যাস বদলেই পেটের মেদ ধীরে ধীরে কমানো সম্ভব।
পেটের মেদ শুধু দেখতে খারাপ লাগে না বরং এটা নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিতও হতে পারে। তাই চিন্তা না করে বরং শুরু করুন ছোট কিছু সহজ পরিবর্তন থেকে।
নিচে এমন ৬টি সহজ উপায় দেওয়া হলো, যেগুলো মেনে চললে ধীরে ধীরে পেটের মেদ কমতে শুরু করবে— তাও আবার ঘরোয়া উপায়ে।
১. অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন
অ্যালকোহল শরীরে বাড়তি ক্যালোরি যোগ করে, যা সরাসরি পেটে চর্বি আকারে জমে। বিশেষ করে যেসব অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়তে চিনি থাকে, সেগুলো ওজন বাড়ায় দ্রুত। তাই সম্ভব হলে একেবারে বন্ধ করুন, আর না পারলে পরিমাণটা কমান।
২. বেরি জাতীয় ফল খান
বেরি যেমন— স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা রাস্পবেরি— এগুলো শুধু খেতে ভালো নয়, বরং এগুলো ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। নিয়মিত এই ফলগুলো খেলে হজম ভালো হয় আর ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. প্রতিদিন ভালো ঘুম দিন
ঘুম কম হলে শরীরে ‘করটিসোল’ নামের স্ট্রেস হরমোন বেড়ে যায়, যা আপনার খিদে বাড়িয়ে দেয়। ফলে আপনি অস্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খেতে শুরু করেন। তাই প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
৪. চিনি কমান
অতিরিক্ত চিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা চর্বি জমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কোমল পানীয়, মিষ্টি এবং ফাস্টফুডে থাকা লুকানো চিনির ফাঁদ থেকে সাবধান হোন। কম চিনি মানেই পেটের মেদ কমার সম্ভাবনা বেশি।
৫. কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন
প্রতিদিন সকালে এক-দুই কোয়া কাঁচা রসুন খেলে ওজন কমে ও রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। এতে পেটের চর্বিও সহজে জমতে পারে না। রসুন খেতে একটু কষ্ট হলেও উপকার অনেক।
৬. লেবু পানি পান করুন
সকালের শুরুটা হোক এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করে। এটা হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীরে চর্বি জমা প্রতিরোধ করে।
বাড়তি কিছু টিপস
- খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়বেন না। অন্তত ১৫-২০ মিনিট হালকা হাঁটাহাঁটি করুন।
- যারা সারাদিন বসে কাজ করেন, তারা প্রতি ৩০-৪০ মিনিট পরপর একটু উঠে হাঁটাহাঁটি করুন ১০-১৫ মিনিট। এতে শরীর সচল থাকে এবং চর্বি জমার আশঙ্কা কমে।
পেটের মেদ কমাতে জটিল কিছু করতে হবে না। প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাসই বড় পরিবর্তন আনতে পারে। ধৈর্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে যান— ফল মিলবেই।
সূত্র: কালবেলা