বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

ওটস খেলেই কি কমবে ওজন?

ওটস খেলেই কি কমবে ওজন?

ওটস স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো, ওটসে ওজন কমে এই কথাগুলো নিশ্চয়ই জেনে থাকবেন? সত্যিই এই খাবারে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য আঁশ রয়েছে। ওটস হৃদরোগ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও ভালো কাজ করে। তবে অনেকেই জানে না এই খাবারটি আসলে কেন খাওয়া জরুরি-

১. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিকেল প্রতিরোধ করে। ওটমিলে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যাভেনানথ্রামাইড নামক পলিফেনল জাতীয় অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এই অ্যাভেনানথ্রামাইড নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বাড়িয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে। নাইট্রিক অক্সাইড রক্তনালীগুলোকে বিস্তৃত রেখে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। অ্যাভেনানথ্রামাইডের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণও রয়েছে যা চুলকানি কমায় ও অ্যাজমা প্রতিরোধ করে।

২. খাদ্যআঁশের চাহিদা মেটায়

হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। ওটসে বেটা-গ্লুক্যান নামে বিশেষ ধরণের খাদ্য আঁশ অন্ত্রে বিশেষ ধরণের জেল উৎপাদন করে। এটা হজমে সাহায্য করে। এছাড়া অন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়া উৎপাদনেও সাহায্য করে বেটা-গ্লুকোন। প্রতিদিন বেটা-গ্লুক্যান সমৃদ্ধ খাবার খেলে এল-ডি-এল নামক ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়। নিয়ন্ত্রণ করে রক্তে চিনির মাত্রা।

ওজন কমায়

ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ঘন ঘন এটা সেটা খেতে ইচ্ছে করা ও পরিমাণে বেশি খেয়ে ফেলা। ওটমিলের সুবিধা হচ্ছে এটা খেলে দীর্ঘসময় পেট ভরার অনুভূতি থাকে তাই সহজে ক্ষুধা লাগেনা। ওটসে থাকা বেটা-গ্লুকোন অন্ত্রে পেপটাইড ওয়াই ওয়াই পিওয়াইওয়াই নামক হরমোন উৎপাদন করে যা খাদ্যগ্রহণে পরিতৃপ্তি আনে। এতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: