বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

সিরিয়াকে বড় সুখবর দিলেন ট্রাম্প

সিরিয়াকে বড় সুখবর দিলেন ট্রাম্প

সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে হোয়াইট হাউস। এবার সিরিয়াবাসীর জন্য বড় সুখবর দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই। সিরিয়ার ওপর থেকে সব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সোমবার (৩০ জুন) এক নির্বাহী আদেশে সই করে বিষয়টি নিজেই জানান তিনি। খবর আনাদোলু।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ হোয়াইট হাউসের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বিষয়ে পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, সিরিয়ার ওপর থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি বিলে আমি সই করেছি। যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়াকে একটি স্থিতিশীল, ঐক্যবদ্ধ, শান্তিপূর্ণ এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সদ্ভাবপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়।

তিনি আরও জানান, আমরা এমন একটি সিরিয়া চাই, যা সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত থাকবে। যেখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বসবাস করতে পারবে। এ লক্ষ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়াকে সহযোগিতা ও সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এ ঘোষণাকে সিরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। একদিকে এটি যেমন সিরিয়ার পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক পুনরায় অন্তর্ভুক্তির পথে সহায়ক হতে পারে, অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট একটি ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট সৌদি আরব সফরের সময় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা আজ বাস্তবায়ন করেছেন। সিরিয়াকে একটি আধুনিক ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’

গত মাসে সৌদি আরব সফরে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেখানে তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল শারার সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই সময়ই তিনি ঘোষণা দেন, সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার চিন্তা করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ওই বৈঠকে সিরিয়ার পুনর্গঠন, জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ, এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সহযোগিতার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়।

২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর সিরিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার, এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান ছিল নিষেধাজ্ঞার মূল কারণ।

কিন্তু ২০২৩ সালে সিরিয়ায় রাজনৈতিক রদবদল ও নতুন প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল শারার ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি কিছুটা বদলায়। ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সিরিয়াকে নতুনভাবে দেখতে শুরু করে।

সূত্র: কালবেলা

সর্বশেষ: