শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

মহেশখালী থেকে পাইপলাইনে তেল আসছে পতেঙ্গায়

মহেশখালী থেকে পাইপলাইনে তেল আসছে পতেঙ্গায়

সংগৃহীত

কক্সবাজারের মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় পরিবহনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পাইপলাইনের মাধ্যমে সকাল ৮টায় মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনাল থেকে পাম্প শুরু হয়। মহেশখালী থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) তেল আসতে সময় লেগেছে ৩০ ঘণ্টা।

শুক্রবার দুপুরে ইস্টার্ন রিফাইনারির ৪০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার ট্যাংক টার্মিনালে তেল পৌঁছায়। সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে আপাতত মহেশখালী থেকে পাইপলাইনের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আনা হচ্ছে। এরপর ক্রুড অয়েল দিয়ে একইভাবে পাইপলাইন পরীক্ষা করা হবে। সফল হলে পরবর্তীতে পুরোদমে চালু করা হবে এ প্রকল্প।

ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে এসপিএম ব্যবহার করে জ্বালানি তেল আমাদের রিফাইনারিতে নেয়া শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সাগরের তলদেশ দিয়ে দুটি পাইপলাইন বসানো হয়েছে। এই পাইপ দুটির মাধ্যমে মহেশখালীর কুতুবদিয়া চ্যানেলে অবস্থানকারী বড় বড় জাহাজ থেকে তেল সরাসরি রিফাইনারিতে আনা হবে। এখন থেকে মাদার ওয়েল ট্যাংকার থেকে লাইটারেজ জাহাজে করে রিফাইনারিতে আনতে হবে না। ফলে জ্বালানি রিফাইনারিতে আনতে সময় অনেক কমে আসবে, খরচও কমবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে একটি জাহাজ থেকে লাইটারিংয়ের মাধ্যমে তেল খালাস করতে অন্তত ১১ থেকে ২০ দিন লাগে। পাইপলাইনের মাধ্যমে এ কাজ সম্পন্ন হবে মাত্র দুদিনে। এতে সময় ও খরচ দুটোই সাশ্রয় হবে।

পুরোদমে পাইপলাইনে তেল সরবরাহ শুরু হলে প্রতি বছর জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হবে ৮০০ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় নতুন যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: