![বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সিরাজগঞ্জে স্থাপন হচ্ছে ইটিপি প্ল্যান্ট বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সিরাজগঞ্জে স্থাপন হচ্ছে ইটিপি প্ল্যান্ট](https://www.alokitosirajgonj.com/media/imgAll/2024February/Screenshot_12-2402211554.png)
সংগৃহীত
তাঁত সমৃদ্ধ জেলা সিরাজগঞ্জের তাঁতের প্রধান কাঁচামাল সুতা। সুতা রং করার জন্য জেলার বেলকুচি, শাহজাদপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে উঠেছে কয়েকশ প্রসেস মিল। এসব প্রসেস মিলে রং মিশ্রিত পানি সরাসরি বিভিন্ন পুকুর আর খালবিলে ফেলা হচ্ছে।
যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। সম্প্রতি প্রসেস মিলের তরল এসব বর্জ্যের দূষণ রোধে মিনি ইটিপি স্থাপন করছেন ব্যবসায়ীরা। বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তা এসব এলাকায় ইটিপি স্থাপনের কারিগরি সহায়তা করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এনডিপি।
সিরাজগঞ্জ জেলায় তাঁত শিল্পে পাওয়ার লুম ও হ্যান্ডলুম রয়েছে প্রায় ৩ লাখ আর এর সাঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত প্রায় ৫ লাখ মানুষ। এই জেলায় উৎপাদিত তাঁতের শাড়ির সুনাম রয়েছে দেশ জুড়ে। বিশেষ করে জেলার বেলকুচি, শাহাজাদপুর, এনায়েতপুরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার মানুষের আয় রুজি জড়িত এই শিল্পের উপর।
পরিবেশ দূষণের মারাত্মক ক্ষতি হাত থেকে রক্ষায় বিশ্ব ব্যাংক ও পল্লী কর্ম সহায়তা ফাউন্ডেশনের এর আর্থিক এবং ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এর কারিগরি সহায়তায় প্রসেস মিলগুলোতে স্থাপন করা হচ্ছে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ইটিপি। যার মাধ্যমে প্রসেস মিলের দূষিত পানি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ৬ টি ধাপে পরিশোধন হয়ে স্বচ্ছ পানিতে রুপান্তর করা হচ্ছে। জেলার বেলকুচি উপজেলাতে সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পের আওতায় বেশ কয়েকটি কারখানায় পরীক্ষামূলক ভাবে স্থাপন করা হয়েছে ইটিপি। প্রসেস মিলগুলোতে ইটিপি প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে আশপাশের পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে বলে জানায় মিল মালিকেরা। সেই সাথে ভূ-গর্ভস্থ পানি দূষণও রোধ বলছে স্থানীয়রা।
বেলকুচির মেসার্স মা কলি ড্রাইং স্বত্ত্বাধিকারি আশিষ কুমার বলেন, ইটিপি প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে পরিবেশে দূষণ থেকে রক্ষার পাশাপাশি রং মিশ্রিত পানি পরিশোধন করে আবারো ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ কিছুটা বাড়লেও আমাদের আশপাশের পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা পাচ্ছে। তবে সকল প্রসেস মিল মালিকদের কে ইটিপি স্থাপনে এগিয়ে আসতে হবে যাতে এই জেলার পানি ও পরিবেশ দূষণ রোধ করা যায়।