বিশ্বের সবচেয়ে ভূতুড়ে এই দ্বীপে পাঠানো হত মরার জন্য
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০২৩

সমুদ্রে ঘেরা দ্বীপে কাছের মানুষের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে কে না চান! কিন্তু ইতালির পভেলিয়া দ্বীপের কাহিনী সুখানুভূতি তো দেয়ই না, বরং ভয় ধরায়। কথিত আছে, পভেলিয়ায় কাউকে পাঠানো হলে ধরে নেয়া হত যে, তার মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে।
ইতালির উত্তরাংশে ভেনিস এবং লিডোর মধ্যবর্তী এলাকায় রয়েছে পভেলিয়া দ্বীপ। ৪২১ খ্রিস্টাব্দের আগে এই দ্বীপের কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না। কানাঘুষো শোনা যায়, এই দ্বীপে জনবসতির লেশমাত্র ছিল না। কোনো এক আক্রমণকারীর হাত থেকে বাঁচতে পভেলিয়া দ্বীপে এসে আশ্রয় নেন কয়েক জন। ১৪ শতক পর্যন্ত পভেলিয়ার বাসিন্দা খুব একটা বেশি ছিল না। নির্জনতার কারণে এই দ্বীপ থেকে একে একে সবাই চলে যেতে শুরু করেন। এই দ্বীপকে পরবর্তী কালে নিভৃতবাসের জন্য বেছে নেয়া হয়।
১৩০০ খ্রিস্টাব্দে প্লেগ মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়লে প্লেগে আক্রান্ত রোগীদের পভেলিয়াতে পাঠিয়ে দেওয়া হত। কথিত আছে, প্রায় এক লাখেরও বেশি প্লেগ আক্রান্ত রোগী এই দ্বীপে মারা গিয়েছেন। এমনকি যাদের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকত না, তাদেরও পভেলিয়া দ্বীপে পাঠিয়ে দেওয়া হত। তারা ধরেই নিতেন যে, তাদের মৃত্যু আসন্ন। রোগীরা মারা যাওয়ার পর পভেলিয়াতেই তাদের দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হত। পুরো দ্বীপ যেন আস্ত এক শ্মশানে পরিণত হয়েছিল সেই সময়। সাধারণ মানুষ এই দ্বীপের সামনে দিয়ে যাতায়াত করতেও ভয় পেতেন।
১৭৯৮ সাল থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত আবার স্থায়ী নিভৃতবাসে পরিণত করা হয় পভেলিয়াকে। নেপোলিয়ন বোনাপার্টের শাসনকালে এই এলাকায় অসুস্থ রোগীদের সেবা-শুশ্রূষা করার জন্য পাঠানো হত। ১৯২২ সালে এই দ্বীপে মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে ওঠে। কানাঘুষো শোনা যায়, মানসিক ভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের নিজেদের পরিবার থেকে আলাদা রাখার জন্য পভেলিয়াতে পাঠিয়ে দেওয়া হত। আবার অনেক রোগীকে নিয়ে গবেষণাও করা হত পভেলিয়ার মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে। মানসিক চিকিৎসালয়টি ‘ভূতুড়ে’ বলে দাবি করেছেন অনেকেই।
পভেলিয়াতে এক রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক চিকিৎসকের। দ্বীপের একটি টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দিয়ে মারা যান তিনি। অনেকের দাবি, প্রেতাত্মার ভয়ে মানসিক স্থিতি হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তাই টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। চিকিৎসক মারা যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মানসিক চিকিৎসালয়টি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৬৮ সালে ঐ চিকিৎসালয়ের দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। পরে পভেলিয়ার জমি চাষবাসের জন্য ব্যবহার করা হলেও এখানকার থমথমে পরিবেশে বেশি দিন কাজ করতে পারেননি কৃষকেরা। চাষের জমিগুলো ছেড়ে তারা আবার বাড়ি ফিরে যান।
বহু বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল পভেলিয়া দ্বীপ। গির্জা, মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্র, হাসপাতাল, টাওয়ার এবং একটি খালের ধ্বংসাবশেষ ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে রয়ে গিয়েছে পভেলিয়াতে। ২০১৪ সালে লুইগি ব্রুগনারো নামের ইটালির এক ব্যবসায়ীকে সরকারের তরফে দ্বীপটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ় দেওয়া হয়েছিল। এই দ্বীপ জুড়ে একটি বিলাসবহুল হোটেল তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। নিলামে ৫ কোটি টাকা দিয়ে এই দ্বীপটি কিনেছিলেন লুইগি। কিন্তু হোটেল তৈরির পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়। একাংশের দাবি, নিলামে চড়া দাম না ওঠার কারণে এর মালিকানাই নাকি হস্তান্তরিত হয়নি।
আবার অনেকের দাবি, এই পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা শর্ত মেনে চলা উচিত ছিল তা মেনে চলেননি লুইগি। তাই আবার পরিত্যক্ত অবস্থায় ফিরে যায় পভেলিয়া। ২০১৫ সালে একটি বেসরকারি সংস্থা পভেলিয়ায় একটি উদ্যান, রেস্তোরাঁ, হোটেল থেকে শুরু করে স্টাডি সেন্টার তৈরি করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে সেই পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়ে যায়। পভেলিয়া দ্বীপে কেউ প্রবেশ করলে তারা অলৌকিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন তাই সরকারের তরফে এত বিধিনিষেধ রয়েছে। এমনকি, স্থানীয় মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে যাওয়ার সময়ও এই এলাকা এড়িয়ে যান।
অধিকাংশের মতে, এই দ্বীপ বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জায়গা। সাধারণ মানুষ এই এলাকায় সহজে যেতে পারেন না। পর্যটকদের যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশেষ অনুমতি নিয়ে পভেলিয়া দ্বীপের আশপাশে ঘুরে আসা যায়। কিন্তু সবাইকে এই অনুমতি দেওয়া হয় না।
সূত্র: আনন্দবাজার

- পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু বাংলাদেশে, উচ্চতা ২০ ইঞ্চি
- টিয়া পাখির আগমনে মুখরিত গুমাই বিল
- বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্যের আড়ালে উঁকি দিচ্ছে পর্যটনের সম্ভাবনা
- সিরাজগঞ্জের ফ্রিল্যান্সার স্বামী-স্ত্রী, মাসে আয় ৬ লাখ
- দেশের ভাবমূর্তি আরো জোরদার করতে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
- সাদামাটির পাহাড়ে আজকের ‘ইত্যাদি’
- তাড়াশে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনে আজিজ এমপি
- ফুটবল খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে, প্রথম ম্যাচে অনিশ্চিত সাকিব
- উপবৃত্তির আওতায় আসছে বিলুপ্ত ছিটমহলের সব শিক্ষার্থী
- মেসেঞ্জারে এআই প্রযুক্তিতে যেসব নতুন সুবিধা থাকবে
- ঢাকাসহ সব বড় শহর তারমুক্ত হবে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
- দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবো: প্রধান বিচারপতি
- দেশে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা
- দেশে এলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানির প্রথম চালান
- প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বিআইডব্লিউটিএর উপহার নৌকা বাইচ
- সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: রাষ্ট্রপতি
- আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ অন্ধকারে ফিরে যাবে: প্রধানমন্ত্রী
- জন্মদিনে শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা
- মহানবীর আদর্শ অনুসরণেই সফলতা-শান্তি নিহিত: প্রধানমন্ত্রী
- ইউরোপের স্বপ্নে পানিতে ডুবে মৃত্যু ২৫০০
- মুখ দিয়ে লিখে স্নাতকোত্তর পাস, করছেন চাকরিও
- আইফোন খোয়া গেছে রোহিতের!
- রাশিয়ার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে বিস্ফোরণ, ইউক্রেনের ১১ ড্রোন প্রতিহত
- শাহরুখ খানের নতুন সিনেমার দৃশ্য ফাঁস
- বিশ্বের ৩২ দেশের বিরুদ্ধে ছয় তরুণ-তরুণীর মামলা
- অজু করলে গুনাহ মাফ হয়, যা বলেছেন বিশ্বনবী (সা.)
- বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে দুপুরে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ
- বেলকুচিতে আ. লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী রেজার গণসংযোগ
- তাড়াশে ভাঙ্গা ও নষ্ট ডিম বিক্রির দায়ে মিশামো হ্যাচারীকে জরিমানা
- সলঙ্গায় কমিউনিটি ক্লিনিকের শুভ উদ্বোধন করেন তানভীর এমপি
- ‘দাফনের’ ৫ দিন পর জীবিত ফিরলেন গৃহবধূ, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য
- হাফপ্যান্ট পরে অজু করলে অজু হবে?
- ঘুরে আসুন সিরাজগঞ্জের চায়না বাঁধ
- মেয়েকে পড়াতে চাননি শিক্ষকরা, তাই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলেন মা
- ‘জওয়ান’ দেখে টিকিটের দাম ফেরত চাইল ইংল্যান্ডের এক দম্পতি!
- তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেফতার
- যেসব শর্তে একাধিক স্ত্রী নিয়ে ঘুমানো জায়েজ
- বছরে ৫০০ কোটি টাকার কলা উৎপাদন
- পুলিশকে বিবস্ত্র করে খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারপিট (ভিডিও)
- বেলকুচিতে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
- কাজিপুরে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে ইউএনও‘র নানামুখি উদ্যোগ
- বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করলেন হাফেজ জাকারিয়া
- উল্লাপাড়ায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণে তানভীর এমপি
- সিরাজগঞ্জে মাটি ছাড়াই চাষ হচ্ছে বিউটি টমেটো
- চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দল ঘোষণা
- সিরাজগঞ্জে বৃক্ষ মেলায় ছাদ বাগান বিষয়ক কর্মশালা
- সিরাজগঞ্জে মালচিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষ
- মাকে বুঝিয়ে ক্রিকেটে নাম লেখানো ছেলেটির রাজকীয় অভিষেক
- সিরাজগঞ্জে জেলা ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
- ওয়ালটনের সিঙ্গেল ডোরের অলরাউন্ডার মডেলের ফ্রিজ
