বাড়ির ছাদ ও কৃষি জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ড্রাগন ফলের চাষ, চারা উৎপাদন ও ফল বিক্রি করে এখন স্বাবলম্বী সিরাজগঞ্জে উল্লাপাড়ার তালায় গ্রামে কামরুজ্জামান স্বপন। তার এমন সাফল্য দেখে ড্রাগন চাষে ঝুঁকছে স্থানীয় বেকার যুবকরা।
জানা যায়, ইউটিউবে ড্রাগন চাষ দেখে ৩ বছর আগে চাকরির পাশাপাশি সখের বশে ড্রাগন ফল চাষ শুরু করেন। প্রথমে অন্যের জমি লিজ নিয়ে ড্রাগন চাষ করতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হন। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। পরবর্তী সময়ে নিজ বাড়ির ছাদ ও আঙ্গিনায় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে চাকরির ফাঁকে নতুন উদ্যমে শুরু করেন চাষ। এরপর সাফল্য পেতে থাকেন তিনি। নিজেই বিভিন্ন উন্নত জাতের ড্রাগন চারা সংগ্রহ করে চাষ করেন।
কামরুজ্জামান স্বপন বলেন, বাড়ির ছাদে প্রায় ১৫ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির বড় ড্রাগন গাছ তৈরি করেছেন। এসব গাছে ধরেছে নানা রঙ্গের ড্রাগন ফুল ও ফল। শুধু বাড়ির ছাদই নয়। পাশাপাশি আরও ২ বিঘা জমিতে চাষ করছি। পাশাপাশি ড্রাগন গাছ থেকে চারা উৎপাদন করে বিক্রি করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন নানা রঙের সুস্বাদু ফল কিনতে আর দেখতে আসছে উৎসুক মানুষ। বাড়িতেই পাইকারি ও খুচরা ফল বিক্রি হচ্ছে। ফল ও চারা বিক্রি করে বছরে আয় করছেন প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি বলেন, ড্রাগন চাষে খরচ কম। দেশেই নানা জাতের ড্রাগন চারা পাওয়া যায়। এতে বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ ড্রাগন চাষিদের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করছে। বেকার যুবকরা প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পেলে তাদের ভাগ্য বদলের ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হবে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
