সংগৃহীত
ফিফা বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্সের তারকা পল পগবাকে ৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে ইতালির অ্যান্টি-ডোপিং ট্রাইবুনাল। জুভেন্টাস ক্লাব সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তবে আইনজীবীদের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করেননি পল পগবা। যার কারণে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি মেনে নিচ্ছন ফরাসি এই ফুটবলার। এমনটি হলে ফুটবল থেকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন পাগবা। এতে তার ক্যারিয়ার মোটামোটি শেষ।
জুভেন্টাসর ক্লাবের একটি সূত্র এএফপিকে বলেছেন, ‘অ্যান্টি ডোপিং অ্যাজেন্সির কাছ থেকে আজ সকালে আমরা একটি নোটিফিকেশন পেয়েছি, যা আমি নিশ্চিত করছি। সেখানে পগবাকে ৪ বছরের নিষিদ্ধের অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
রোববার (২০ আগস্ট) উদিনেসের বিপক্ষে সিরি-এ মৌসুম শুরুর প্রথম ম্যাচেই পগবার দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই মিডফিল্ডার ওই ম্যাচেই নিষিদ্ধ ঔষধ গ্রহণ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। পগবার প্রতিনিধি অবশ্য জানিয়ছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক চিকিৎসকের পরামর্শে ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে তিনি টেস্টোটারেন গ্রহণ করেছেন।
ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং কোড অনুযায়ী অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে পগবাকে কমপক্ষে ৪ বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হবে। কিন্তু যদি সে প্রমাণ করতে পারে বিষয়টিতে তার কোনো দোষ ছিল না তবে শাস্তির পরিমাণ অর্ধেকে নেমে আসবে। শক্তিবর্ধক নিষিদ্ধ দ্রব্যটি যদি সে এমন সময় গ্রহণ করতো যখন কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা ছিল না কিংবা সেটা তার পারফরমেন্সে কোনো প্রভাব ফেলেনি তবে নিষেধাজ্ঞার সময় সীমিত হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকতো। নমুনার পরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক আসার পর থেকেই পগবা জুভেন্টাসের অনুশীলনে অনুপস্থিত আছেন। ইউনাইটেডে ছয় মৌসুম কাটানোর পর ২০২২ সালে জুলাইয়ে তিনি তুরিনের ক্লাবটিতে ফিরেছিলেন।
মিডফিল্ডার পল পগবা ফ্রান্সের হয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপ জিতেছেন। ওই দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার ছিলেন তিনি। দুই মেয়াদে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও জুভেন্টাসের হয়েও খেলেছেন। ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৬ থেকে অনূর্ধ্ব-২০ হয়ে জাতীয় দলে ঢোকেন এই মিডফিল্ডার। লেস ব্লুজদের জার্সিতে খেলেছেন ৯১ ম্যাচ।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ