বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বাজারে দাম কমেছে মাছ-মুরগির

বাজারে দাম কমেছে মাছ-মুরগির

রাজধানীর বাজারে মাছ ও মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে। ঈদুল ফিতরের আগে মাছ ও মুরগির বাজার অনেকটা সাধারণ ক্রেতার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ঈদের পরও এমন দাম অব্যাহত ছিল। মাছ ও মুরগির দাম কেজিতে ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও, বাসাবো, মুগদাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে বড় আকারের রূপচাঁদা বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে। কিছুটা ছোট আকৃতির রূপচাঁদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। ঈদের আগে বড় রূপচাঁদা ছিল ১ হাজার ২০০ টাকারও উপরে। ছোটগুলোও বিক্রি হয়েছিল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়।

২০ থেকে ১০০ টাকা কমে প্রতি কেজি চাষের শিং আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৪৫০ টাকা, পাবদা ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা, রুই ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কাঁচকি ২৫০ থেকে ২৮০। প্রায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে বোয়াল ও আইড় মাছের দাম। ভারতীয় বড় বোয়াল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, দেশি বোয়াল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, আইড় ৫০০ থেকে ৮০০, দেশি বড় আইড় ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে বিভিন্ন চিংড়ির দামে। এখন প্রতি কেজি গলদা চিংড়ি (ছোট) বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, বড় গলদা এক হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। বাগদা চিংড়ি ৪৮০ থেকে ৮০০ টাকা। 

মুগদা বাজারে এক ক্রেতা বলেন, ঈদের আগে প্রচুর দাম ছিল। এখন কমেছে। ঈদের আগে ব্যবসায়ীরা এক দামে মাছ বিক্রি করেছে। এখন তারা ডেকে ডেকে মাছ বিক্রি করছেন।

বর্তমানে এক কেজি ওজন বা তারচেয়ে বড় ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। দুই কেজি ওজনের ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। চট্টগ্রামের ছোট ইলিশ (সারডিন) বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, এখন ইলিশের মৌসুম না হওয়ায় ইলিশ বাজারে নেই। আগে থেকে যারা কয়েক পিস রাখতে পেরেছেন তারা এখন বেশি দামে বিক্রি করছেন।

কারওয়ান বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ঈদের পরদিন কোথাও মাছ ছিল না। সেদিন দাম অনেক চড়া ছিল। এখন মাছ আসতে শুরু করেছে, দামও কমছে।

অন্যদিকে, কমেছে মুরগির দামও। ঈদের আগে ব্রয়লার ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের পর এমন দাম অব্যাহত ছিল। কিন্তু এখন তা ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে ৪০০ টাকার সোনালি মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: