বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ড. কামাল একমাত্র সংবিধান প্রণেতা নন: বিচারপতি মানিক

ড. কামাল একমাত্র সংবিধান প্রণেতা নন: বিচারপতি মানিক

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, ড. কামাল হোসেন সংবিধান প্রণেতা, ভ্রান্ত এই ধারণাটি আমাদের অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই রয়েছে। আমি এই ভুলটি ভাঙানোর জন্য বলতে চাই, তিনি একমাত্র সংবিধান প্রণেতা নন। তিনি ৩৪ জনের একজন মাত্র। বঙ্গবন্ধু ৩৪ জনকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদের আয়োজনে ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ গ্রন্থ ও ‘তারুণ্যের ভোট, নৌকায় হোক’ সিডির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- আমি এই ৩৪ জনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই সংবিধান প্রণয়ন করেছেন। সুতরাং এই ভুলটি আপনারা করবেন না, তিনি মোটেও সংবিধান প্রণেতা নন। সবচেয়ে মারাত্মক বিষয় হলো, যখন আপনি তাকে সংবিধান প্রণেতা বলেন, তিনি কিন্তু মানা করেন না। তিনি চেপে যান, ভান ধরে দেখাতে চান তিনি একাই সংবিধান প্রণেতা। যেটা আদৌ সত্য কথা নয়। তিনি সারাজীবন একজন মিথ্যাবাদী বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। 

মেজর নাসির উদ্দিন একাত্তরে একজন সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট ছিলেন। তার উদ্ধৃতি দিয়ে সাবেক বিচারপতি বলেন, উনি লিখেছেন, ‘তার কমান্ডিং অফিসার বলল আমার সাথে শ্রীমঙ্গল যেতে হবে পাখি শিকার করতে। তিনি শ্রীমঙ্গলে গিয়ে দেখলেন এটা পাখি শিকারের অনুষ্ঠান নয়। ২৫ মার্চের নীলনকশা তৈরির একটি ঘটনা। সেখানে একজন লেফটেন্যান্ট, একজন মেজর জেনারেলসহ সব পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত। সে সময় তিনি অবাক হয়ে দেখেন, পাকিস্তানি জেনারেলদের সাথে ড. কামালও উপস্থিত।’ অর্থাৎ যেখানে ২৫ মার্চ এর নীল নকশা করা হল সেখানে ড. কামাল উপস্থিত ছিলেন। সুতরাং তাকে আপনারা রাজাকার বলবেন, না কি বলবেন, সেটা আপনাদের দায়িত্ব।

তিনি আরো বলেন, সোজা কথায় তিনি রাজাকার না হলেও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী নিশ্চয়ই ছিলেন। তার সবই পাকিস্তানি। সে জন্যই গতকাল শুক্রবার যে ‘খামোস’ শব্দটি বলেছে সেটিও পাকিস্তানি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত এ এম রশীদ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদের সহ-সভাপতি ডা. মাসুদুল কাদের ও সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া প্রমুখ।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ