শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ বেড়েছে ১২৪ শতাংশ

বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ বেড়েছে ১২৪ শতাংশ

সংগৃহীত

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে বিদেশি ঋণের সুদ আসলসহ পরিশোধের পরিমাণ ২৮১ কোটি ১৮ লাখ ডলার। টাকার অঙ্কে যা ৩০ হাজার ৯২৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

গত অর্থবছরের একই সময়ের ঋণ পরিশোধের এ পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ২৪৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ১১ হাজার ৬৭৫ কোটি ৪ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ বেড়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত রাতে সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়।

জানা গেছে, এ অর্থবছরে শুধু সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে ১২ হাজার ৬২৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা; যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১২৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। ডলারের হিসাবে সুদ পরিশোধ বেড়েছে ১০১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। মূলত টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে বেশি।

ইআরডির তথ্যানুযায়ী, গত ১০ মাসে সরকার যে ঋণ পরিশোধ করেছে তার মধ্যে আসল ঋণ ১৮ হাজার ২৯৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। বাকি ১২ হাজার ৬২৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা সুদ বাবদ দিতে হয়েছে। কিন্তু গত অর্থবছরের একই সময়ে সরকারের ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছিল ১৯ হাজার ২৪৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে আসল ছিল ১৩ হাজার ৬২৫ কোটি ৪৮ লাখ আর সুদ শোধ করতে হয়েছিল ৫ হাজার ৬২৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ের
তুলনায় চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত দ্বিগুণের বেশি সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে।   

এ সময়ে ডলারের হিসাবে ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ২৮১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার; যা আগের বছরে ছিল ১৯৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।  এ সময় ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে ১১৪ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আগের বছর ছিল ৫৬ কোটি ৯৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার। অর্থাৎ ডলারের হিসাবে ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার সুদ পরিশোধ বেড়েছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ৬২৮ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৫৯১ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে অর্থছাড় ৩৬ কোটি ৭৭ লাখ ১০ হাজার ডলার বেড়েছে। ঋণের অর্থছাড় বাড়লেও কমেছে অনুদানের অর্থ। অর্থবছরের ব্যবধানে যেখানে ঋণের অর্থছাড় বেড়েছে প্রায় ৪০ কোটি, সেখানে অনুদান কমেছে প্রায় ৪০ কোটি ডলার।

জানা গেছে, অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে সবচেয়ে বেশি ঋণের অর্থছাড় করেছে জাপান। এ পর্যন্ত দেশটি থেকে অর্থছাড়  হয়েছে ১৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এডিবি ঋণ ছাড় করেছে ১৪৯ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। এরপর বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ১০৫ কোটি ১৮ লাখ ডলার। এ ছাড়া রাশিয়া ৮৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, চীন ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ডলার ছাড় করেছে। ভারত দিয়েছে ২৪ কোটি ২২ লাখ ডলার। বাকি অর্থ অন্যান্য দাতা সংস্থা থেকে এসেছে।  

সূত্র: সমকাল

সর্বশেষ: