বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

নিজ গ্রামে শায়িত হলেন ফায়ারম্যান সোহেল

নিজ গ্রামে শায়িত হলেন ফায়ারম্যান সোহেল

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বনানীর আগুনের ঘটনায় উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে নিহত ফায়ার সার্ভিস কর্মী সোহেল রানা। মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে রাজধানীতে ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরে হয় প্রথম জানাজা হয়। এতে অংশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সোহেল রানার পরিবারের একজনকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেন। আগুনে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর যুদ্ধে জিতলেও মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন ফায়ার সার্ভিস কর্মী সোহেল রানা।

সোমবার রাত পৌনে এগারোটায় সিঙ্গাপুর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তার মরদেহ। পরদিন সকালে মরদেহ নেয়া হয় ফুলবাড়িয়ায় ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরে। সেখানে ফায়ারম্যান সোহেল রানার পরিবারের সদস্য ও তার দীর্ঘ দিনের সহকর্মীরা অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালসহ সরকারের বিভিন্ন অধিদফতরের কর্তাব্যক্তিরা।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বনানীতে আগুনের সময় উদ্ধার কাজে নিজের জীবন উৎসর্গ করে এবং অন্যের জীবন বাঁচিয়ে যে দৃষ্টান্ত সোহেল রানা স্থাপন করেছেন, তা পুরো বাহিনীর জন্য গৌরবের। স্বজন হারানোর ব্যাথা থাকলেও নিহত সোহেলের পরিবারের সদস্যরা গর্বিত তার জন্য।

বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধারকাজে অংশ নিয়ে গুরুতর আহত হন সোহেল রানা। সোমবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। এইচএসসি পাস করার পর ২০১৪ সালে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন সোহেল। তার আয়ে চলছিল পুরো পরিবার। ছোট তিন ভাই রুবেল হোসেন, উজ্জ্বল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনের পড়া-লেখার খরচও জোগাতেন সোহেল। তার মৃত্যুতে পুরো পরিবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

সোহেলের বাবা নুরুল ইসলাম (৬৫) পেশায় কৃষক। বয়সের কারণে তিনি এখন কৃষি কাজ করতে পারেন না। নুরুল ইসলামের চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সোহেল দ্বিতীয়। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ