বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সামাজিক সুরক্ষায় বাড়ছে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার হার

সামাজিক সুরক্ষায় বাড়ছে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার হার

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী ভাতাভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে তিনি এ প্রস্তাব করেন।

বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং বর্তমান আর্থসামাজিক বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আগামী অর্থবছরের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমকে যৌক্তিকভাবে সাজিয়েছি।

আগামী অর্থবছরে সামাজিক সুরক্ষা খাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপকারভোগীর সংখ্যা ও ভাতার হার পরিবর্তন করা হয়েছে। পরিবর্তনের প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫৭.০১ লাখ থেকে ৫৮.০১ লাখ জনে এবং মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় উন্নীতকরণ; বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৪.৭৫ লাখ থেকে ২৫.৭৫ লাখ জনে এবং মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায় বৃদ্ধি; প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৩.৬৫ লাখ হতে ২৯ লাখ জনে বৃদ্ধি; উল্লেখ্য, প্রতিবন্ধী ডাটাবেজের আওতাভুক্ত সবাইকে এ ভাতার আওতায় আনা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী তার প্রস্তাবনায় বলেন, প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির হার বাড়িয়ে প্রাথমিক স্তরে ৭৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকায়, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকায় এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৯০০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকায় বৃদ্ধি; হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতাভোগীর সংখ্যা চার হাজার ৮১৫ জন থেকে ছয় হাজার ৮৮০ জনে উন্নীত করা এবং বিশেষ ভাতাভোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৬০০ জন থেকে পাঁচ হাজার ৬২০ জনে বৃদ্ধি করা; অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমে উপকারভোগীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৫৭৩ জন থেকে ৮২ হাজার ৫০৩ জনে বৃদ্ধি করা এবং বিশেষ ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৫০ জন থেকে ৫৪ হাজার ৩০০ জনে উন্নীত করা। এ ছাড়া উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ২১ হাজার ৯০৩ জন থেকে ২৬ হাজার ২৮৩ জনে বৃদ্ধি করা; মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৫৪ হাজার জন থেকে ১৩ লাখ চার হাজার জনে উন্নীত করা; অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কার্যক্রমে উপকারভোগীর ভাতার হার দৈনিক ২০০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকায় বৃদ্ধি করা।

মুস্তফা কামাল বলেন, ভাতাভোগী ও ভাতার সংখ্যা পরিবর্তন ছাড়াও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমকে লক্ষ্যভিত্তিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার জন্য একে জি-টু-পি পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসছি। ইতোমধ্যে ২৫টি ক্যাশভিত্তিক কর্মসূচির মধ্যে ২২টি কর্মসূচির অর্থ এ পদ্ধতিতে সরাসরি উপকারভোগীর ব্যাংক হিসাব/মোবাইল ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে অবশিষ্ট ক্যাশভিত্তিক কর্মসূচিগুলোকে জি-টু-পি পদ্ধতির আওতায় আনা হবে। বর্তমানে ৮০ শতাংশের অধিক ক্যাশভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা জি-টু-পি পদ্ধতিতে প্রদান করা হচ্ছে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর