বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১

বিদেশি পাখি পালনে সফল আরিফুল, মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা

বিদেশি পাখি পালনে সফল আরিফুল, মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া আরিফুল ইসলাম (৩২) বিদেশি পাখি খাঁচায় পালন করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন। শখ থেকে এখন বাণিজ্যিকভাবে পাখি পালন ও বিক্রি করে কয়েক বছরের মধ্যে এলাকায় সাড়া জাগিয়েছেন।

আরিফুলের পাখির খামারে গিয়ে দেখা যায়, বাজরিকা, ফিঞ্চ, মুনিয়া, ডায়মন্ড ডোভ জাতের ৫০-৬০ জোড়া পাখি কিচিরমিচির করছে অনবরত। পাখিগুলো ডিম দেয়, বাচ্চা ফুটে, বড় হয়, বিক্রি হয়। সব মিলিয়ে খরচ বাদে এখন প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন অনায়াসে।

আরিফুল ইসলাম লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে ছোট ভাই হাফেজ আসিফের পরামর্শে মাত্র ৩ জোড়া পাখি দিয়ে শুরু করেন শখের পাখি পালন। ৬ মাস পর আরও ২ জোড়া নতুন করে আনেন। এর পরপরই তিন জোড়া পাখি ডিম দিয়েছে ৬-৭ টি করে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ৩০ জোড়া পাখির পরিবার হয়ে যায় তার। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

ভেটেরিনারি ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট ফিরোজ মিয়া বলেন, ব্রিডিং উপযোগী খাঁচার দাম সর্বোচ্চ ৩শ টাকা। একজোড়া পাখি দিয়ে সফলতা আসার সম্ভাবনা কম। তাই প্রথমে কমপক্ষে দুইজোড়া পাখি দিয়ে শুরু করলে ভালো। দুটি পুরুষ ও দুটি স্ত্রী পাখি নিয়ে দুই জোড়া পাখির বয়স তিন থেকে চার মাসের মধ্যে হলে ভালো। প্রথমে একটি খাঁচার মধ্যে শুধু পুরুষ পাখি কমপক্ষে ছয় থেকে সাত মাস বয়স পর্যন্ত রাখুন। অপর আরেকটি খাঁচায় শুধু স্ত্রী পাখিও সেভাবেই রাখুন। এবার জোড়া মিলিয়ে দুই খাঁচায় দিন।

খাঁচায় দেওয়ার এক থেকে দুই মাসের মধ্যে হাঁড়ি ঝুলাবেন খাঁচার এক কোণে। পানির পাত্র থাকবে পাখি বসার থেকে দূরে। আর খাবারের পাত্র হাঁড়ির নিচে থাকলে ভালো। কারণ পাত্রগুলো যেন পাখির মল থেকে নিরাপদ থাকে। বাসা পাল্টালে বা পাখির স্থান পরিবর্তন করলে পাখি প্রজননে বাঁধা আসবে। তাই ধৈর্য ধরতে হবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ. কে. এম ফরহাদ নোমান জানান, বাণিজ্যিকভাবে পাখি পালন করার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। অল্প পুঁজি ও স্বল্প জায়গাতেই পালন করা যায়। আরিফুলের মত অনেক বেকার যুবক বাড়িতে কবুতর ও পাখি পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। পশুপাখি পালনে উদ্যোক্তাদের সব ধরণের সহযোগিতা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: