শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ক্রসিংয়ে জর্জরিত সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস,ভোগান্তিতে যাত্রীরা

ক্রসিংয়ে জর্জরিত সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস,ভোগান্তিতে যাত্রীরা

সিরাজগঞ্জবাসির বহুল প্রত্যাশিত সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন যেন এখন গলারকাঁটায় পরিণত হয়েছে। বহুদিন রেলবঞ্চিত থাকার পর আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদা এবং মাননীয় সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্নার সহযোগিতায় আমাদের সিরাজগঞ্জবাসির আপ্রান চেষ্টার পর আমরা এই সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন টা পেয়েছি ।

প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েকটি মাত্র বগি দিয়ে চালু হলেও এখন ১২/২৪ লোড এ নতুন এলএইচবি কোচ দ্বারা আমাদের এই সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন টা পরিচালিত হচ্ছে । কিন্তু ক্রসিং আর দীর্ঘ সময় লাগার কারনে যাত্রীদের যেন ভোগান্তির শেষ নেই।সকাল ৬ টায় ছেড়ে এসে ম্যাক্সিমাম দিন এই ট্রেন কমলাপুর এ ১২ টায় ঢোকে সারা রাস্তা ক্রসিং দিতে দিতে । কমলাপুর থেকে ফেরার পথে আরও জঘন্য অবস্থা ।৫.২০ ছাড়ে নানান ক্রসিং এর কারনে ৩ ঘণ্টার রাস্তা সময় লাগে ৫ ঘণ্টা। শুধু টাঙ্গাইল থেকে সিরাজগঞ্জ বাজার আসতে প্রায় ৩ ঘন্টার মত লাগে একমাত্র ক্রসিং এর জন্য।

আসার সময় সুন্দরবন,ধুমকেতু,নিল সাগর আর ফেরার পথে পদ্মা,লালমনি, এক্সপ্রেস দিয়ে ধোলাই।যেখানে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগবে ২.৫ থেকে ৩ ঘণ্টা সেখানে ক্রসিং এর কারনে সময় লাগছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা।তাছাড়া বিকেলে ফেরার সময় জয়দেবপুর, টাঙ্গাইল এর প্যাসেঞ্জার দের অত্যাচার তাদের কারণে এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে ওঠা রীতিমত কষ্টসাধ্য।অথচ কতৃপক্ষ ট্রেন টা ভালমত পরিচালনা করলে সিরাজগঞ্জ এর যাত্রীদের যাত্রাটা অনেক আরামদায়ক ও সন্দর হত। অন্য ট্রেন এ যেখানে ৩-৩.৩০ মিনিট লাগে মনসুর আলী স্টেশন থেকে কমলাপুর যেতে সেখানে আমাদের টা ৫-৬ ঘন্টা লাগায় । ফলাফল আমাদের সিরাজগঞ্জ এর যাত্রীরা এই ট্রেন এর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে ।

কিছু সার্থবাদি চক্র সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস এর বিরুদ্ধে লেগেছে তারা চায়না সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে কোন ট্রেন থাকুক। যাত্রীরা দাবি করে অবিলম্বে তাদের ক্রসিং নামক ভোগান্তি থেকে রক্ষা করা হোক।রেল কতৃপক্ষ , সিরাজগঞ্জ এর মাননীয় এমপি মহোদয় এবং সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা কমিটির লোকজন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিলে সমস্যা সমাধান হবে এবং যাত্রীদের ভোগান্তিও লাগব হবে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: