হাওরে ভয়ংকর রাক্ষুসে এলিগেটর ফিস ধরা, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২৩

আফ্রিকান মাগুর, পিরানহা, সাকারামাউথ ক্যাটফিশের প্রভাবের চেয়েও মারাত্মক মাছ এলিগেটর বাংলাদেশের একটি হাওরে ধরা পড়ার বিষয়ে জানা গেছে। তবে, হাওরে ধরা পড়া কিংবা দেশে অস্তিত্ত্বের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা। এই মাছ বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মোস্তফা হোসাইন।
তিনি তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লেখেন:- “এটাও কী সম্ভব । আমার নিজের মাথায় গন্ডগোল মনে হচ্ছে । আমি খুবই বিস্মিত, কিছুটা মর্মাহত ।
একটা Alligator gar, Atractosteus spatula (Lacepède, 1803) ধরা পড়েছে হাওড়ে । বিক্রী হয়েছে উত্তরা খাল পাড় বাজারে । আমার প্রিয় ছাত্র-সহকর্মী Professor Harunur Rashid যখন মাছের ছবিটি পাঠালেন, আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম। এটা কী ভাবে সম্ভব?
এই মাছ শুধু উত্তর আমেরিকায় পাওয়া যায় মানে – উত্তর আমেরিকা হচ্ছে এদের আদি নিবাস । তবে চায়না, হংকং আর সিঙ্গাপুরে এটি এক্সোটিক পেট হিসাবে বেচা-কেনা হয় । এই মাছ প্রাকৃতিকভাবে কোনক্রমেই বাংলাদেশে এবং বঙ্গোপসাগরে পাওয়া যাওয়ার কথা নয় ।
মাছটির যিনি ছবি তুলেছিলেন তিনি একজন ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েট। ছবি তোলার সময় মাছটি নাকি জ্যান্ত ছিল । ছবির মাছটি দেখে মনে হলো – খুবই কম বয়সের – বছর খানেক হতে পারে । এই মাছ পরিনত অবস্থায় ৩ মিটারের চেয়ে বেশী লম্বা ও ১৪০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে । এটি একটি মিঠাপানির মাছ তবে মোহনা অঞ্চলেও পাওয়া যায় ।
আমার ব্যাখ্যা –
আমার ধারণা কেই মাছটি চাষ করছে গোপনে এবং ছবির মাছটি একটি এসক্যাপি । তা না হলে হাওড়ে এই মাছ আসার কথা না ।
এমন কি হতে পারে যে, মাছটি আদতেই হাওড়ে ধরা পড়ে নি । এটি আসলে এসেছে এক্সপোর্টেড মাছের সাথে – চিটাগাং – সওয়ারি ঘাটে অনেক বড় বড় মিঠা পানির ও সামুদ্রিক মাছ আসে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে যে লোক বিক্রির জন্য এনেছিলেন উনি বলেছেন এটি হাওরের মাছ। কিন্তু উনি মিথ্যে কথাও বলে থাকতে পারেন…..
হয়তো মাছটি জ্যান্ত ছিলো না । মনে হচ্ছিলো জ্যান্ত । যদি ধরে নেওয়া হয় মাছটি হাওড়ে ধরা পড়েছে – তবে উত্তরা পর্যন্ত কী ভাবে জ্যান্ত থাকলো – সেটিও ভাবার বিষয় ।
মাছটি কে বিক্রী করেছেন, কে কিনেছেন – একটু জানতে পারলে ভাল হতো:-
খুবই রাক্ষুসে স্বভাবের এই মাছের প্রাধান খাবার হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মাছ তবে এটি নীল কাঁকড়া, ছোট কচ্ছপ, হাঁস আর সব ধরণের জলচর পাখি এবং জলজ ম্যামালদের খুবই মজা করে খায় । এই মাছ যদি কোনভাবে দেশে ছড়িয়ে পড়ে তবে এর প্রভাব দেশজ মাছের জীব -বৈচিত্রের উপর আফ্রিকান মাগুর, পিরানহা, সাকারামাউথ ক্যাটফিশের প্রভাবের চেয়েও মারাত্মক হবে ।
আপনারা কেউ কী বাংলাদেশের অন্য কোন জায়গায় – পথে, ঘাটে, হা্টে বাজারে, আড়তে, ল্যান্ডিং সেন্টারে এই মাছ দেখেছেন ????”
তাঁর ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করেছেন টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির সমুদ্রবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মানমাথা নাথ সরকার।
তিনি লিখেন,“এটি সম্ভবত সখের একুয়ারিয়াম থেকে কোন না কোন ভাবে জলাশয়ে চলে গেছে। মিঠা পানিতে বেঁচে আছে। এতে বিস্মিত হবার কিছু নেই। কক্সবাজারের রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ডের ডিসপ্লের একুয়ারিয়ামে ঢাউস আকারের গার মাছটি রয়েছে। “সারভাইভাল অব দি ফিটেস্ট” ধারণা অনুসারে এ মাছটি যদি প্রজনন করতে পারে, তা হলে আরও নমুনার দেখা মিলবে।”
এ বিষয়ে মাটি বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট এক্টিভিস্ট শাহিদুল ইসলাম বলেন,“ সাটার (প্রকৃত নাম জানিনা) নামীয় এক রাক্ষুসে মাছ ইতোমধ্যে দেশের পুকুর ও জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়েছে যা মাছ চাষীদের জন্য এক বিরাট সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। গত ঈদে আমাদের গ্রামের বাড়ির পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে এই সাটারের ভয়াবহতা উপলব্দি করে ভীত হয়েছি। মনে হয়েছে, পুকুরে যত মাছ আছে তার অন্তত কয়েকগুন বেশি সাটার আছে। অথচ এই সাটার জ্ঞাতসারে পুকুরে যাওয়ার/দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। তার মানে এদের বৃদ্ধি এত দ্রুত ও অপ্রতিরোধ্য যে একদা এর যন্ত্রণায় মাছ চাষ কঠিন হয়ে পড়বে। আর এই এলিগেটর তো আরও ভয়ংকর বলে মনে হচ্ছে।”

- একজনকে মারার প্ল্যান করছেন পরীমনি, সাবধান হওয়ার পরামর্শ অভিনেত্রী
- দেশের টেকসই উন্নয়নে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ভূমিকা রাখবে: স্পিকার
- হচ্ছে না বিশ্বকাপের জমকালো উদ্বোধন, বিসিসিআইয়ের অদ্ভুত ভাবনা
- সিরাজগঞ্জে সুস্বাদু ফল সাম্মাম ফল চাষে সফল আনোয়ার
- উল্লাপাড়ায় আগাম খিরা চাষে বাম্পার ফলন, ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা
- পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে আরও ১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা
- অর্থদণ্ড-শাস্তির বিধান রেখে হচ্ছে জুয়া প্রতিরোধ আইন
- ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে কমিটি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- ঢাকায় নির্মিত হচ্ছে ১৫০ মিটার উঁচু নান্দনিক ভবন
- ১২ ব্লক গ্যাস অনুসন্ধানে জোর
- প্রবাসীদের এমআরপি রি-ইস্যু ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলবে
- জনপ্রশাসনে নতুন উদ্যোগ জবাবদিহি বাড়াতে মনিটরিং অনুবিভাগ
- ৭ অক্টোবর থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- এক মাসে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আয় ৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা
- যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- ২০১৩-১৪-র মতো অগ্নিসন্ত্রাস করলে কোনো ক্ষমা নয়
- কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে তা পূর্ব নির্ধারিত
- হারিয়ে যাবে ওয়ানডে ক্রিকেট
- সহপাঠীর বাবার চিকিৎসায় মাটির ব্যাংকের টাকা দিল শিক্ষার্থীরা
- আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাকিব খেলবেন ?
- যেসব অভ্যাসে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়
- মোবাইল ফোনে মগ্ন মা, পানিতে ডুবে মারা গেল ৩ বছরের শিশু
- কানাডার ৪১ কূটনীতিককে সরিয়ে নিতে বলল ভারত
- সাড়ে ৫ বছর পর বনি কাপুর বললেন, শ্রীদেবীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি
- সূরা নাবায় জাহান্নামীদের যে শাস্তির কথা তুলে ধরা হয়েছে
- বিশ্বকাপে শান্ত-মিরাজের দিকে চোখ রাখতে বললেন হার্শা
- সিরাজগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস ও জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালন
- তাড়াশে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালিত
- সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে সুশিক্ষার কোন বিকল্প নেই: মুন্না
- রায়গঞ্জে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা
- ‘দাফনের’ ৫ দিন পর জীবিত ফিরলেন গৃহবধূ, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য
- হাফপ্যান্ট পরে অজু করলে অজু হবে?
- ঘুরে আসুন সিরাজগঞ্জের চায়না বাঁধ
- মেয়েকে পড়াতে চাননি শিক্ষকরা, তাই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলেন মা
- ৩ মাসের শিশুকে চুরি করে নিয়ে হত্যা, রাতে পুকুরে মিলল মরদেহ
- যেসব শর্তে একাধিক স্ত্রী নিয়ে ঘুমানো জায়েজ
- ‘জওয়ান’ দেখে টিকিটের দাম ফেরত চাইল ইংল্যান্ডের এক দম্পতি!
- বছরে ৫০০ কোটি টাকার কলা উৎপাদন
- তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেফতার
- বেলকুচিতে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
- পুলিশকে বিবস্ত্র করে খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারপিট (ভিডিও)
- কাজিপুরে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে ইউএনও‘র নানামুখি উদ্যোগ
- সিরাজগঞ্জে মাটি ছাড়াই চাষ হচ্ছে বিউটি টমেটো
- উল্লাপাড়ায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণে তানভীর এমপি
- বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করলেন হাফেজ জাকারিয়া
- ওয়ালটনের সিঙ্গেল ডোরের অলরাউন্ডার মডেলের ফ্রিজ
- সিরাজগঞ্জে মালচিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষ
- মাকে বুঝিয়ে ক্রিকেটে নাম লেখানো ছেলেটির রাজকীয় অভিষেক
- মায়ের হাতের সঙ্গে বাঁধা ছিল ২ ছেলের মরদেহ
- সৌদি আরবে কোরআন প্রতিযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফয়সালের সাফল্য
