শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাড়ল পালনে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রফিকুলের সাফল্য!

গাড়ল পালনে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রফিকুলের সাফল্য!

কুড়িগ্রামে গাড়ল পালনে ভাগ্য বদলেছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম। তিনি চিলমারী উপজেলার চর শাখাহাতিতে খামার গড়ে তুলেছেন। তার খামারে শত শত গাড়ল রয়েছে। তিনি গাড়লের পালনের মাধ্যমে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছেন।

জানা যায়, রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সাবেক সার্জেন্ট। তিনি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিজ বাড়িতে গাড়লের খামার গড়ে তোলেন। তখন মেহেরপুরের এক খামারির মাধ্যমে ভারত থেকে ৫২টি গাড়ল কিনে নিয়ে আসেন। তারপর আরো ৩৬ টি নিয়ে আসেন। মোট ৮৮ গাড়ল নিয়ে তার খামার শুরু হয়। বর্তমানে অনেকগুলো গাড়লের বাচ্চা জন্ম নিচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনি ২ লাখ টাকার গাড়ল বিক্রি করেছেন। বর্তমানে তার খামারে ১০২ টি গাড়ল রয়েছে। আগামীতে আরো বড় পরিসরে খামার করার পরিকল্পনা করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্রের শাখাহাতির চর জুড়ে তার শতাধিক গাড়ল বিচরণ করছে। তিনি এই পশুগুলোকে চরানোর জন্য একজন রাখালও রেখেছেন। খামারে টিন শেডের ঘর। গাড়লের জন্য রয়েছে মাচান। এছাড়াও গাড়লগুলোর খাবারের বাড়তি চাহিদা মেটাতে খামারের পাশেই তিনি ঘাসের আবাদ করেন।

খামারি রফিকুল বলেন, আমি প্রথম দফায় ৫২টি ও দ্বিতীয় দফায় আরো ৩৬টি গাড়ল ভারত থেকে নিয়ে এসে খামার শুরু করি। গাড়লগুলোর মধ্যে অধিকাংশই ছিল বাচ্চা। খামার শুরু করার দুই মাসের মধ্যেই আয় শুরু হয়ে যায়। গত ৮ মাসে খামার থেকে ১৪টি বাচ্চা গাড়ল ২ লাখ টাকায় বিক্রি করছি। বর্তমানে আমার খামারে ১০২টি গাড়ল রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গড়ল পালন লাভজনক হওয়ায় চাকরির থেকে অবসরের পরই এর পালনের সিদ্ধান্ত নেই। তারপর বিভিন্ন খামার ঘুরে ঘুরে এর পালনের মাধ্যম জেনে খামার শুরু করি। এখানকার আবহাওয়া গাড়ল পালনের জন্য খুবই উপযোগী। চরের ঘাস খেয়েই গাড়লের পেট ভরে যায়। এছাড়াও আমি নিজেও ঘাসের আবাদ করছি। এর মাংস খেতে সুস্বাদু হওয়ায় দিন দিন এর পরিচিতি বাড়ছে।

রফিকুল আরো বলেন, ভেড়ার চেয়ে গাড়লে লাভ বেশি হয়। ১২০০-১৫০০ টাকায় একটি বাচ্চা ভেড়া কিনতে পারা যায়। সেখানে একটি বাচ্চা গাড়লের দাম ১০-১২ হাজার টাকা। একটি ভেড়া সর্বোচ্চ ৩০ কেজি ওজনের হলেও একটি গাড়ল ৮০-১২০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। আমার খামারেই ৭৮ কেজি ওজনের গাড়ল রয়েছে। বর্তমানে আমার খামারে ১০২টি গাড়ল রয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৮ লাখ। আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যে আমার খামারে প্রায় ২৫-৩০ লাখ টাকার গাড়ল হবে ইনশা’আল্লাহ।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোশারফ হোসেন বলেন, অন্যান্য পশুর তুলনায় গাড়ল পালন লাভজনক। কুড়িগ্রামে দিন দিন এর পালন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও এর মাংসের পরিমান ও স্বাদ অনেক বেশি। তাই আমিষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে এর পালন অধিক লাভজনক।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর