শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

আম গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সফেদা!

আম গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সফেদা!

দূর থেকে দেখলে মনে হবে আম গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সফেদা ফল। কিন্তু কাছে গিয়ে ধরে না দেখা পর্যন্ত বোঝার কোন উপায় নেই যে, এগুলো সফেদা ফল নয় আম। এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম খাদা, ধানসাগর ইউনিয়নের সিংবাড়ি ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের বেশ কয়েটি বাড়ির আম গাছে।

হঠাৎ সবুজ আমের গায়ে এমন ধূসর বর্ণ দেখে কেউ বুঝতেই পারছেন না ওগুলো সফেদা না কি আম। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে কৌতুহল। আম গাছে সফেদা ফল দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন বাড়িগুলোতে। ভয়ে ওই আম খাচ্ছে না কেউ।

তবে দেখতে সুন্দর হলেও সফেদার মতো এসব আম পোকায় ভরা বলে জনিয়েছেন আম বাগান মালিকরা। শরণখোলা রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম খাদা গ্রামের আম বাগান মালিক শাহজাহান আকন বলেন, ‘আমার ৭৫ বছরের জীবনে কখনও আম গাছে সফেদার মত ফল হতে দেখিনি।’

উপজেলার সিংবাড়ি গ্রামের সুমন সরদার বলেন, ‘এ বছর আমাদের অনেক আম গাছে সফেদার মতো দেখতে আম হয়েছে যা বিক্রিও করা যায় না; ভয়ে কেউ খেতেও চায় না। ‘আমাদের গ্রামে বানিজ্যিকভাবে আমের চাষাবাদ না হলেও প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কমবেশি আম গাছ রয়েছে। এ বছর গাছে আমও ধরেছে বেশ। তবে কিছু গাছের আম সফেদা ফলের মতো ধূসর রঙের হওয়ায় তা খাওয়া নিয়ে আমার পরিবারসহ এলাকাবাসির মধ্যে ভীতি দেখা দিয়েছে।’

শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘আম গাছে কখনো সফেদা হয় না। দেখতে অবিকল সফেদা ফলের মতো হলেও আসলে এগুলো আম।

‘এগুলো আমের এক ধরনের রোগ, যা প্রথমে আফ্রিকা মহাদেশের উগান্ডার আম গছে দেখা দেয়। এটা এখন বাংলাদেশে কিছু অঞ্চলের আম গাছে দেখা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই রোগাক্রান্ত আমের গায়ে ছত্রাকের আবরণ পড়ে দেখতে সফেদা ফলের মতো হয়েছে। তবে এতে ভয়ের কিছু নাই। ছত্রাকের কারণে পোকা হলেও যে কোনো সময় ওই আম খাওয়া যাবে।

‘বাগেরহাটে গত এক মাস ধরে চলা তাপদাহে বাতাসে আদ্রতা কমে যাওয়ার কারণে আমে ছত্রাকের আক্রমণে এমনটা হয়েছে।’ যাদের গাছে এমন আম হচ্ছে, তারা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কীটনাশক স্প্রে করলে আমের এই ছত্রাকজনিত সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: