৩০ টাকা পুঁজির কবুতর খামারে চলে নুরুজ্জামানের সংসার
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৩

দরিদ্র পরিবারের সন্তান নুরুজ্জামান (৪০)। টিউশনি করে টাকা জমিয়ে ১৯৯০ সালে শখের বসে মাত্র ৩০ টাকায় একজোড়া কবুতর কিনেছিলেন। সেই থেকে তিনি ধীরে ধীরে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ৮০ জোড়া কবুতরের মালিক হয়েছেন। এই কবুতর পালন করেই নুরুজ্জামান এখন অনেকটা স্বাবলম্বী।
নুরুজ্জামানের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের ফরিদ আলী ছেলে। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষক বাবার সন্তান নুরুজ্জামান। অভাবের কারণে এইচএসসি পাস করার পর ইতি টানেন লেখাপড়ায়। ছোটবেলা থেকেই পশুপাখির প্রতি ভালোবাসা থেকে টিউশনি করিয়ে মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে বাজার থেকে এক জোড়া কবুতর কিনে প্রতিপালন শুরু করেছিলেন। আস্তে আস্তে তার কবুতরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৮০ জোড়ায় দাঁড়িয়েছে। কবুতর পালন ও বিক্রির টাকা দিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত তিনি সংসারের হাল ধরে আছেন।
বর্তমানে তার পারিবারিক খামারে বিভিন্ন জাতের কবুতর রয়েছে। তার পারিবারিক খামারে থাকা এক জোড়া কবুতর ৫শ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা মূল্যের রয়েছে। এদিকে সবমিলিয়ে কবুতর পালনে তার প্রতি মাসে আয় এখন ১৫-১৮ হাজার টাকা। তার বাড়িতে কবুতরগুলোর জন্য সারিবদ্ধভাবে কাঠ ও বাঁশের চারকোনা লম্বা ঘর তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই থাকে কবুতরগুলো।
প্রতিবেশী একরামুল হক বলেন, নুরুজ্জামান প্রায় ২০-২৫ বছর যাবত কবুতর পালন করছে। সে যখন হাতে খাবার নিয়ে কবুতরগুলোর সামনে হাজির হয়, তখন সবগুলো কবুতর আহারের জন্য তার হাতে, শরীরে ও মাথায় উঠে বসে। এই দৃশ্য দেখতে ভালো লাগে। তার বাবা বৃদ্ধ কাজ করতে পারে না। কবুতর পালন ও টিউশনি করেই দীর্ঘ দিন ধরে সংসার চালাচ্ছেন নুরুজ্জামান।
এ বিষয়ে নুরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে আমার পারিবারিক খামারে দশ প্রজাতির ৮০ জোড়া কবুতর রয়েছে। যেমন, দেশি, বাগদাদি হোমার, কালো সিরাজি, গিরিবাজ, লাল ম্যাগপাই,কালো ম্যাগপাই, কাগজি চিনা ইত্যাদি। সবমিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কেজি খাবারের প্রয়োজন হয়। যার মূল্য প্রায় ৫শ টাকা। বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ৯০ সালের দিকে মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে একজোড়া কবুতর কিনেছিলাম। আস্তে আস্তে যখন কবুতরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল তখন উন্নত জাতের বিভিন্ন কবুতর সংগ্রহ করি। এভাবেই আমার পথ চলা। আমি আজ পর্যন্ত কবুতর পালনের ওপর কোনো প্রশিক্ষণ নেইনি। যদি প্রাণিসম্পদ অফিস আমার একটি প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করতো আমার মনে হয় আরও বড় পরিসরে খামারটি করতে পারতাম।
নুরুজ্জামানের বাবা ফরিদ আলী বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমার ছেলে কোনো রকমে টিউশনি করিয়ে এইচএসসি পাস করেছে। অভাবের কারণে আর লেখাপড়া করতে পারেনি। সে টিউশনির টাকা দিয়ে একজোড়া কবুতর কিনে পালতে থাকে। বর্তমানে আমার বাড়িতে ৮০ জোড়া কবুতর। আমি তো কাজ করতে পারি না। কবুতর বিক্রির টাকা দিয়ে সংসার চালায়। প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে যদি আমার ছেলেকে সহযোগিতা করা হতো তাহলে অনেক ভালো হতো।
ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমানন (কনক) বলেন, আমাদের প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমরা এই উদ্যোক্তাকে সার্বিক সহযোগিতা করব যাতে তিনি আরও বড় পরিসরে করতে পারেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) ডা. মো. ইউনুছ আলী বলেন, সরকারিভাবে কবুতর খাবারের পরিসংখ্যান নেই। তবে যারা পারিবারিকভাবে কবুতরের খামার করেন। তারা আমাদের অফিসে এলে আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি।

- একজনকে মারার প্ল্যান করছেন পরীমনি, সাবধান হওয়ার পরামর্শ অভিনেত্রী
- দেশের টেকসই উন্নয়নে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ভূমিকা রাখবে: স্পিকার
- হচ্ছে না বিশ্বকাপের জমকালো উদ্বোধন, বিসিসিআইয়ের অদ্ভুত ভাবনা
- সিরাজগঞ্জে সুস্বাদু ফল সাম্মাম ফল চাষে সফল আনোয়ার
- উল্লাপাড়ায় আগাম খিরা চাষে বাম্পার ফলন, ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা
- পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে আরও ১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা
- অর্থদণ্ড-শাস্তির বিধান রেখে হচ্ছে জুয়া প্রতিরোধ আইন
- ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে কমিটি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- ঢাকায় নির্মিত হচ্ছে ১৫০ মিটার উঁচু নান্দনিক ভবন
- ১২ ব্লক গ্যাস অনুসন্ধানে জোর
- প্রবাসীদের এমআরপি রি-ইস্যু ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলবে
- জনপ্রশাসনে নতুন উদ্যোগ জবাবদিহি বাড়াতে মনিটরিং অনুবিভাগ
- ৭ অক্টোবর থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- এক মাসে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আয় ৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা
- যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- ২০১৩-১৪-র মতো অগ্নিসন্ত্রাস করলে কোনো ক্ষমা নয়
- কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে তা পূর্ব নির্ধারিত
- হারিয়ে যাবে ওয়ানডে ক্রিকেট
- সহপাঠীর বাবার চিকিৎসায় মাটির ব্যাংকের টাকা দিল শিক্ষার্থীরা
- আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাকিব খেলবেন ?
- যেসব অভ্যাসে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়
- মোবাইল ফোনে মগ্ন মা, পানিতে ডুবে মারা গেল ৩ বছরের শিশু
- কানাডার ৪১ কূটনীতিককে সরিয়ে নিতে বলল ভারত
- সাড়ে ৫ বছর পর বনি কাপুর বললেন, শ্রীদেবীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি
- সূরা নাবায় জাহান্নামীদের যে শাস্তির কথা তুলে ধরা হয়েছে
- বিশ্বকাপে শান্ত-মিরাজের দিকে চোখ রাখতে বললেন হার্শা
- সিরাজগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস ও জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালন
- তাড়াশে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালিত
- সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে সুশিক্ষার কোন বিকল্প নেই: মুন্না
- রায়গঞ্জে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা
- ‘দাফনের’ ৫ দিন পর জীবিত ফিরলেন গৃহবধূ, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য
- হাফপ্যান্ট পরে অজু করলে অজু হবে?
- ঘুরে আসুন সিরাজগঞ্জের চায়না বাঁধ
- মেয়েকে পড়াতে চাননি শিক্ষকরা, তাই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলেন মা
- ৩ মাসের শিশুকে চুরি করে নিয়ে হত্যা, রাতে পুকুরে মিলল মরদেহ
- যেসব শর্তে একাধিক স্ত্রী নিয়ে ঘুমানো জায়েজ
- ‘জওয়ান’ দেখে টিকিটের দাম ফেরত চাইল ইংল্যান্ডের এক দম্পতি!
- বছরে ৫০০ কোটি টাকার কলা উৎপাদন
- তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেফতার
- বেলকুচিতে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
- পুলিশকে বিবস্ত্র করে খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারপিট (ভিডিও)
- কাজিপুরে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে ইউএনও‘র নানামুখি উদ্যোগ
- সিরাজগঞ্জে মাটি ছাড়াই চাষ হচ্ছে বিউটি টমেটো
- উল্লাপাড়ায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণে তানভীর এমপি
- বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করলেন হাফেজ জাকারিয়া
- ওয়ালটনের সিঙ্গেল ডোরের অলরাউন্ডার মডেলের ফ্রিজ
- সিরাজগঞ্জে মালচিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষ
- মাকে বুঝিয়ে ক্রিকেটে নাম লেখানো ছেলেটির রাজকীয় অভিষেক
- মায়ের হাতের সঙ্গে বাঁধা ছিল ২ ছেলের মরদেহ
- সৌদি আরবে কোরআন প্রতিযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফয়সালের সাফল্য
