জারুয়া মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদনে সাফল্য
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২৩

দেখতে অনেকটা বাটা মাছের মতো। নাম জারুয়া মাছ। মাছটির জাত সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্বাদুপানি উপকেন্দ্র। এখানকার বিজ্ঞানীরা ২০১৮ সাল থেকে গবেষণা চালিয়ে জারুয়া মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদনে সাফল্য দেখিয়েছেন। এর আগে এ কেন্দ্রে ট্যাংরা ও গুতুম মাছের প্রজনন ও পোনা উৎপাদনে সাফল্য আসে।
শনিবার সৈয়দপুর-রংপুর মহাসড়কের পাশে স্বাদুপানি উপকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বিজ্ঞানীরা উপকেন্দ্রের জলাধার ও গবেষণাগারে জারুয়া মাছের নতুন উদ্ভাবিত জাত নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। উপকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আজহার আলী বলেন, ‘মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশে ছোট মাছের অবদান ৩০–৩৫ শতাংশ। আমরা বেশ কিছু দেশি মাছের উৎপাদন বাড়াতে গবেষণা অব্যাহত রেখেছি। সে ধারাবাহিকতায় জারুয়া মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও সংযোজন মাছের চাষাবাদ বাড়াতে সহায়ক হবে।’ তিনি জানান, জারুয়া মাছটি বাংলাদেশে মিঠাপানির মাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Chagunius chagunio। উত্তরাঞ্চলে কেউ কেউ এ মাছকে ‘উত্তি’ মাছ বলে ডাকেন। মিঠাপানির জলাশয়ের তলদেশ ও গভীর স্বচ্ছ পানিতে মাছটির আবাসস্থল।
উপকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, জারুয়া মাছ নিয়ে শুরুতে গবেষণা চলে উপকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আজহার আলীর নেতৃত্বে। তাঁকে সহযোগিতা করেন জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালিহা হোসেন, মো. ইশতিয়াক হায়দার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শ্রীবাস কুমার সাহা ও তাসরিক মাহমুদ। সাফল্যের জন্য মহাপরিচালক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। চলতি মাসে মাছটির কৃত্রিম প্রজনন ও সাফল্য তুলে ধরে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি মহাপরিচালকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একসময় জারুয়া মাছের প্রাচুর্য ছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (ডিজি) ইয়াহিয়া মাহমুদ। তিনি বলেন, ক্রমেই জারুয়া মাছ বিলুপ্ত হতে থাকে। মাছটি উত্তরাঞ্চলে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু জলাশয়ের দূষণ, অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, নদীতে বানা ও কারেন্ট জাল ব্যবহারের কারণে মাছটির প্রজনন বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় সৈয়দপুর স্বাদুপানি উপকেন্দ্রে মাছটি নিয়ে গবেষণা করা হয়। ২০১৮ থেকে এ পর্যন্ত গবেষণায় মাছটির কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদনের কলাকৌশলে সাফল্য পাওয়া গেছে।
গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জারুয়া মাছের প্রজননকাল জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। প্রজনন মৌসুমের দু–এক মাস আগে নদ-নদী ও বিল থেকে সুস্থ সবল ও রোগমুক্ত এক–দেড় শ গ্রাম ওজনের মাছ সংগ্রহ করা হয়, যা উপকেন্দ্রের প্রস্তুত করা পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখানে দেড় শ জারুয়া মাছের সঙ্গে দুটি কাতলা, দুটি সিলভার কার্প, তিনটি রুই ও তিনটি রাজপুঁটি ছেড়ে এক মাস প্রতিপালন করা হয়। পরে প্রজনন উপযোগী মা মাছ (ব্রড) তৈরি করা হয়। এসব মাছকে ৩০ শতাংশ সম্পূরক খাদ্য দেওয়া হয়। এরপর পুকুরের তাপমাত্রা, পানির গুণাগুণ, দ্রবীভূত অক্সিজেন ও মোট ক্ষারকের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করা হয়। পানিতে অক্সিজেন বাড়াতে পুকুরে এয়ার রেডিয়েটর স্থাপন করা হয়। সংরক্ষণের ১৫ দিন পর পর জাল টেনে পর্যবেক্ষণ করা হয় মাছের দেহের বৃদ্ধি ও পরিপক্বতা। একটি পরিপক্ক ১০০ গ্রাম দৈহিক ওজনের জারুয়া মাছে ১২ থেকে ২৩০০০ হাজার পর্যন্ত ডিম পাওয়া যায়। এসব ডিম ৮৪ থেকে ১০৯ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে পাওয়া যায় পোনা, যা বড় হতে সাত–আট মাস সময় লাগে।

- একজনকে মারার প্ল্যান করছেন পরীমনি, সাবধান হওয়ার পরামর্শ অভিনেত্রী
- দেশের টেকসই উন্নয়নে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ভূমিকা রাখবে: স্পিকার
- হচ্ছে না বিশ্বকাপের জমকালো উদ্বোধন, বিসিসিআইয়ের অদ্ভুত ভাবনা
- সিরাজগঞ্জে সুস্বাদু ফল সাম্মাম ফল চাষে সফল আনোয়ার
- উল্লাপাড়ায় আগাম খিরা চাষে বাম্পার ফলন, ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা
- পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে আরও ১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা
- অর্থদণ্ড-শাস্তির বিধান রেখে হচ্ছে জুয়া প্রতিরোধ আইন
- ই-কমার্সে শৃঙ্খলা ফেরাতে কমিটি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- ঢাকায় নির্মিত হচ্ছে ১৫০ মিটার উঁচু নান্দনিক ভবন
- ১২ ব্লক গ্যাস অনুসন্ধানে জোর
- প্রবাসীদের এমআরপি রি-ইস্যু ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলবে
- জনপ্রশাসনে নতুন উদ্যোগ জবাবদিহি বাড়াতে মনিটরিং অনুবিভাগ
- ৭ অক্টোবর থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- এক মাসে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আয় ৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা
- যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- ২০১৩-১৪-র মতো অগ্নিসন্ত্রাস করলে কোনো ক্ষমা নয়
- কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে তা পূর্ব নির্ধারিত
- হারিয়ে যাবে ওয়ানডে ক্রিকেট
- সহপাঠীর বাবার চিকিৎসায় মাটির ব্যাংকের টাকা দিল শিক্ষার্থীরা
- আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাকিব খেলবেন ?
- যেসব অভ্যাসে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়
- মোবাইল ফোনে মগ্ন মা, পানিতে ডুবে মারা গেল ৩ বছরের শিশু
- কানাডার ৪১ কূটনীতিককে সরিয়ে নিতে বলল ভারত
- সাড়ে ৫ বছর পর বনি কাপুর বললেন, শ্রীদেবীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি
- সূরা নাবায় জাহান্নামীদের যে শাস্তির কথা তুলে ধরা হয়েছে
- বিশ্বকাপে শান্ত-মিরাজের দিকে চোখ রাখতে বললেন হার্শা
- সিরাজগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস ও জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালন
- তাড়াশে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালিত
- সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে সুশিক্ষার কোন বিকল্প নেই: মুন্না
- রায়গঞ্জে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা
- ‘দাফনের’ ৫ দিন পর জীবিত ফিরলেন গৃহবধূ, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য
- হাফপ্যান্ট পরে অজু করলে অজু হবে?
- ঘুরে আসুন সিরাজগঞ্জের চায়না বাঁধ
- মেয়েকে পড়াতে চাননি শিক্ষকরা, তাই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলেন মা
- ৩ মাসের শিশুকে চুরি করে নিয়ে হত্যা, রাতে পুকুরে মিলল মরদেহ
- যেসব শর্তে একাধিক স্ত্রী নিয়ে ঘুমানো জায়েজ
- ‘জওয়ান’ দেখে টিকিটের দাম ফেরত চাইল ইংল্যান্ডের এক দম্পতি!
- বছরে ৫০০ কোটি টাকার কলা উৎপাদন
- তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেফতার
- বেলকুচিতে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
- পুলিশকে বিবস্ত্র করে খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারপিট (ভিডিও)
- কাজিপুরে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে ইউএনও‘র নানামুখি উদ্যোগ
- সিরাজগঞ্জে মাটি ছাড়াই চাষ হচ্ছে বিউটি টমেটো
- উল্লাপাড়ায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণে তানভীর এমপি
- বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করলেন হাফেজ জাকারিয়া
- ওয়ালটনের সিঙ্গেল ডোরের অলরাউন্ডার মডেলের ফ্রিজ
- সিরাজগঞ্জে মালচিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষ
- মাকে বুঝিয়ে ক্রিকেটে নাম লেখানো ছেলেটির রাজকীয় অভিষেক
- মায়ের হাতের সঙ্গে বাঁধা ছিল ২ ছেলের মরদেহ
- সৌদি আরবে কোরআন প্রতিযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফয়সালের সাফল্য
