১১ বছর বয়সী শিশু আরাফাত মল্লিক। জন্ম থেকেই দুই হাতের আঙুল নেই তার। আঙুল না থাকায় স্বাভাবিকভাবে কোনো কিছু ধরতে পারত না সে। তবে কনুই দিয়ে লিখতে শুরু করে সে। সেই কনুই দিয়ে লিখেই প্রাথমিকের পড়া শেষ করে এবার মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছে আরাফাত। শুরু তাই নয়, প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো ক্লাসে দ্বিতীয় হয়নি সে। এমনকি ক্লাসের সেরা ছাত্র হিসেবে দিয়েছে বৃত্তি পরীক্ষাও।
অদম্য মেধাবী ছাত্র আরাফাত ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর গ্রামে আল আমিন মল্লিকের একমাত্র ছেলে। আরাফাত দক্ষিণ বলুহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শেষ করেছে এবং কোটচাঁদপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সে।
স্থানীয়রা জানায়, জন্ম থেকেই আরাফাতের দুই হাতের কনুইয়ের নিচের অংশ নেই। আঙুল না থাকায় স্বাভাবিকভাবে কোনো কিছু ধরতে পারত না সে। তবে কনুই দিয়ে লিখে প্রাথমিকের পড়া শেষ করে এবার মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছে আরাফাত। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো ক্লাসে সে দ্বিতীয় হয়নি। এমনকি ক্লাসের সেরা ছাত্র হিসেবে দিয়েছে বৃত্তি পরীক্ষাও। তার প্রত্যাশা সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাবে।
আরাফাতের বাবা আল আমিন মল্লিক জানান, আরাফাত জন্ম থেকেই এমন। ছোট থেকেই তাকে অনেক যত্ন করে বড় করা হয়েছে। এখন আরাফাত নিজেই নিজের কাজ করতে পারে। তার পড়ালেখার প্রতি অনেক আগ্রহ। এ কারণে আরাফাতকে স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সব ক্লাসে প্রথম হয়েছে আরাফাত।
দক্ষিণ বলুহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম জানান, ছেলেটি সব শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে। সে খুবই ভালো ছেলে। পড়ার প্রতি তার ব্যাপক আগ্রহ। সবাই সহযোগিতা করলে সে অনেক দূর যাবে।
কোটচাঁদপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মফিজুর রহমান বলেন, আরাফাত ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। খুব কষ্ট করে লেখার কাজটি করে। তবে সবার সহযোগিতায় এগিয়ে যাবে আরাফাত।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
