কৃষি অফিস ও চাষিদের সূত্রানুযায়ী, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে এ বছর পেঁপের চাষ করা হয়েছে। অনেকের নিজের জমি না থাকায় জমি বর্গা নিয়ে পেঁপের চাষ করছেন। চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যেই তারা লাভের মুখ দেখছেন। উপজেলার শ্রীফলতলী, ফুলবাড়িয়া, মধ্যপাড়া, সাহেবাবাদ, মৌচাকসহ বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৫০টি পেঁপে বাগান রয়েছে। যেন মাঠের পর মাঠ শুধু পেঁপে ক্ষেত। চাষিরা পেঁপেক্ষেত পরিচর্যা করছেন। কৃষক ও ব্যবসায়ী মিলে গাছ থেকে পেঁপে নামিয়ে ওজন দিয়ে বস্তায় ভরছেন। অন্যরা বাগানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে পেঁপের বস্তা তুলছেন।
অনেক পেঁপে বাগানে পাশাপাশি বিভিন্ন ফসল হিসাবে কাঁচা মরিচ, লালশাক, হলুদের চাষও করে থাকেন। পেঁপে চাষ করে একদিকে যেমন বেকারত্ব দূর হচ্ছে অপরদিকে তাদের পাশাপাশি পেঁপে বাগানে কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে। পেঁপে চাষ লাভজনক দেখে দিন দিন এ পেশায় অনেকে ঝুকে পড়ছে। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে পেঁপে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রফতানি করা হয়।
উত্তর নস্করচালা গ্রামের পেঁপে চাষি লোকমান হোসেন জানান, তার পাঁচ বিঘা জমিতে পাঁচ বছর ধরে পেঁপের চাষ করছেন। এ বছর আবাদে খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। প্রতি সপ্তাহে তিনি বাগান থেকে লক্ষাধিক টাকার পেঁপে বিক্রি করছেন। মৌসুমের শেষ নাগাদ পেঁপে বাগান থেকে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
বেগমপুর গ্রামের রমিজ উদ্দিন জানান, তিনি এখন পুরোপুরি পেঁপে চাষি। পেঁপে চাষ তার ভাগ্য ফিরিয়েছে। তার মতো গ্রামের অনেকেই পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। পেঁপে চাষ গ্রামের কৃষকদের সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। তাই প্রতিবছরই পেঁপে-বাগান বাড়ছে।
কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশীষ কুমার কর জানান, এ মৌসুমে উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে পেঁপের চাষ হয়েছে। পেঁপে চাষ লাভজনক বিধায় দিন দিন পেঁপে চাষিদের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া পেঁপে চাষিদের কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।