শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে ২ ভাগে ভাগ হলো বিবিসির কার্যক্রম

ভারতে ২ ভাগে ভাগ হলো বিবিসির কার্যক্রম

সংগৃহীত

ভারতের আইন অনুযায়ী বিদেশি বিনিয়োগের শর্ত পূরণ করতে দেশটিতে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংবাদ কার্যক্রম পরিচালনা করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন– বিবিসি। বুধবার থেকেই এই নতুন ধরনের ব্যবস্থাপনার যাত্রা শুরু হচ্ছে।

ইংরেজি ভাষার ডিজিটাল, টেলিভিশন এবং রেডিও মাধ্যমের সংবাদকর্মীরা সরাসরি বিবিসি’র লন্ডনের সদর দফতরের অধীনে কাজ করবেন। অন্যদিকে, কালেক্টিভ নিউজরুম নামে একটি নতুন, স্বাধীন, ভারতীয় মালিকানাধীন কোম্পানি বিবিসি’র ভারতীয় ভাষার সার্ভিসগুলোর জন্য সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশ বা প্রচারের কাজ করবে।

এখন থেকে বিবিসি হিন্দি পরিচালিত হবে কালেক্টিভ নিউজরুমের অধীনে। এছাড়া মারাঠি, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, তামিল ও তেলেগু ভাষাভাষীদের জন্য সংবাদ মাধ্যমটির পৃথক আউটলেট বা ওয়েবসাইট রয়েছে। এই পরিষেবাগুলোও কালেক্টিভ নিউজরুমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

এর আওতায় আরো থাকছে, বিবিসি নিউজ ইন্ডিয়া নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল। ইংরেজি ভাষায় কন্টেন্ট আপলোড করা হবে এতে।

বিবিসি ইন্ডিয়ার অফিসে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের তল্লাশির এক বছর পর এই বিভাজনের পদক্ষেপটি নেয়া হয়।

যুক্তরাজ্যে একটি ডকুমেন্টারি সম্প্রচার করা হয়েছিল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে। সমালোচনা তৈরি করা সেই ডকুমেন্টারিটি ভারতে যদিও প্রচারিত হয়নি।

যাহোক, প্রচারের কয়েক সপ্তাহ পরে আয়কর কর্মকর্তারা হানা দেন বিবিসি ইন্ডিয়ার কার্যালয়ে।

ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি– বিজেপি’র একজন মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া সেই সময়ে বলেছিলেন, অভিযানের সাথে ডকুমেন্টারি কোনো সম্পর্ক নেই।

যদিও সরকার ভারতের সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ডকুমেন্টারিটির শেয়ার বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়েছিল।

ভারতের গণমাধ্যমের দিগন্তে দীর্ঘ এক ইতিহাস বিবিসির। ১৯৪০ সালে প্রথমে হিন্দি সার্ভিস চালুর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল সেই পথচলা।

এবার বিবিসিরই চার সংবাদকর্মীর হাত ধরে আলোর মুখ দেখলো কালেক্টিভ নিউজরুম। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় দুশো জন প্রাক্তন বিবিসি কর্মী নিয়োগ পাচ্ছেন। ভারত এবং বিশ্বব্যাপী অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের জন্যও খবর সংগ্রহ ও সরবরাহ করবেন তারা।

এর বাইরে থাকা ৯০ কর্মী সরাসরি বিবিসি’র টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইনের জন্য সংবাদ সংগ্রহের কাজ করবেন। তাদের ভাষা মাধ্যম হবে ইংরেজি। লন্ডনে সদর দফতরে কর্মরত সম্পাদকদের কাছে রিপোর্ট করবেন এই সংবাদকর্মীরা। তাদের কাজ এখনও ভারতীয় গ্রাহকরা দেখতে পাবেন,যদিও এটি ভারতে প্রকাশিত হবে না।

বিবিসি নতুন কোম্পানিতে ২৬ শতাংশ অংশীদারত্বের জন্য আবেদন করেছে। তাদের জন্যও এ এক নতুন অভিজ্ঞতা।

কালেক্টিভ নিউজরুমের প্রধান নির্বাহী রূপা ঝা বলেছেন, নতুন কোম্পানির লক্ষ্য ‘সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য,সৃজনশীল এবং সাহসী সাংবাদিকতা। শিগগিরই একটি স্বাধীন সংবাদ সংস্থা হিসাবে দর্শক-শ্রোতা ও পাঠকের সামনে আবির্ভূত হবে কালেক্টিভ নিউজরুম। যেটি তথ্যভিত্তিক, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট এবং বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কণ্ঠস্বরের সম্মিলনস্থল হবে।

 

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

সর্বশেষ: