শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

চিতার চেয়ে পাঁচগুণ গতিতে শিকারকে আক্রমণ করে পেরেগ্রিন ফ্যালকন

চিতার চেয়ে পাঁচগুণ গতিতে শিকারকে আক্রমণ করে পেরেগ্রিন ফ্যালকন

সংগৃহীত

সবচেয়ে দ্রুত শিকারি প্রাণীর তালিকার এমন একটি পাখির নাম রয়েছে যে চিতা, বাজপাখি, ঈগলকেও পেছনে ফেলেছে। এই পাখিটি চিতার চেয়ে পাঁচগুণ গতিতে তার শিকারকে আক্রমণ করে।

সবচেয়ে আক্রমণাত্মক বাজপাখি এবং ঈগল। কিন্তু কতজনই বা আর এই পেরেগ্রিন ফ্যালকন নামে পাখিটির কথা জানে। এটি রকেট বার্ড নামেও পরিচিত। এদের সাধারণত উত্তর আমেরিকায় পাওয়া যায়।

পেরেগ্রিন ফ্যালকন ঘণ্টায় ৩৯০ কিলোমিটার বেগে তার শিকারকে আক্রমণ করে। এই পাখিটি তার গতির কারণেই পরিচিত। আকাশ হোক বা মাটি, রকেট পাখির আক্রমণের গড় গতি প্রতি ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক টিভি প্রোগ্রাম অনুযায়ী, এই পাখির সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ৩৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এর গতি এতটাই বেশি যে, চোখের পলকে তার শিকারকে আক্রমণ করতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, এই পাখির শিকার খালি চোখে দেখতে পাওয়া খুব কঠিন। তবে কোনো ভিডিও থাকলে স্লো মোশনে দেখা যাবে। চিতার আক্রমণের গতি ঘণ্টায় ৮০-১৩০ কিলোমিটার আর ঈগলের ঘণ্টায় ২৫০-৩০০ কিলোমিটার। তাহলে বুঝতেই পারছেন রকেট পাখি এই সব কিছুর ঊর্ধ্বে! 

এই পেরেগ্রিন ফ্যালকন দেখতে কেমন?

রকেট পাখির শরীরের সামনের অংশ সাদা আর পেছনের অংশ নীল ও বাদামী। পাখিটির মাথার রং কালো। এটি ডাক হক নামেও পরিচিত। এর বিশেষ বিষয় হলো পুরুষ পেরিগ্রিন ফ্যালকন আকারে স্ত্রীর চেয়ে ছোট। এই পাখিটি ১৩ থেকে ২৩ ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। ডানা ২৯-৪৭ ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। একটি স্ত্রী পেরেগ্রিন ফ্যালকনের ওজন ১.৫ কেজি হতে পারে তবে পুরুষের ওজন হয় ১ কেজি। এই প্রজাতির পাখি পৃথিবীর শীতলতম স্থানে পাওয়া যায়। কিন্তু পাখিটি সর্বত্র বেঁচে থাকতে পারে। সাধারণত এরা নদী উপত্যকা ও তীরে বাস করে।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট

সর্বশেষ: