পরকালীন পরীক্ষায় উত্তীর্ণের উপায়
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মানুষের পার্থিব জীবন রেললাইনের মতো সমান্তরাল নয়, একেবারে নির্মল ও নির্ঞ্ঝাটও নয়। জীবনে চলার পথে দুঃখ-দুর্দশা আসবে, ঝড়-ঝাপটার সম্মুখীন হতে হবে-এটাই স্বাভাবিক। কারণ পৃথিবী হচ্ছে, পরকালের অনন্ত জীবনের পরীক্ষার হল। তাই আমাদের পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে জীবনের নানা ক্ষেত্রে, নানাভাবে।
সেই পরীক্ষায় সফল হওয়ার মূলমন্ত্রও ঘোষিত হয়েছে পবিত্র কুরআনে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কখনো ভয়-ভীতি দিয়ে, কখনো ক্ষুধার মাধ্যমে এবং কখনো জানমাল ও ফলফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা। আর আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন’ (সুরা বাকারা : ১৫৫)। অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা সবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও, নিশ্চয় আল্লাহ সবরকারীদের সঙ্গে রয়েছেন’ (সুরা বাকারা : ১৫৩)। ইসলামের শিক্ষা হলো, দুঃখের পরই সুখের দেখা মিলবে, দুর্দিন পেরিয়ে সুদিনের হাতছানি আসবে। এ বিষয়ে কুরআনে মানুষকে প্রচুর দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বারবার সবরের কথা, ভেঙে না পড়ার কথা বলা হয়েছে, আশার বাণী শোনানো হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘অবশ্যই কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি’ (সুরা ইনশিরা : ৬)। অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না।’ (সুরা ইউসুফ : ৮৭)
আসমান-জমিনের চাবিকাঠি যার হাতে, সেই সত্তার পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি হচ্ছে, প্রত্যেক কষ্টের পরই স্বস্তি ও উত্তরণ রয়েছে এবং যেকোনো বিপদ বাদেই স্বাচ্ছন্দ্য ও সুখ রয়েছে। তা হলে একজন মুমিন যে রবে বিশ্বাস করে, জান্নাত-জাহান্নাম আছে বলে স্বীকার করে, সে কী সামান্য বিপদে কিংবা দুর্ভোগ-দুর্যোগের সম্মুখীন হলে ভেঙে পড়তে পারে? সে তো বরং বিপদাপদে ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রবের সুসংবাদ লাভ এবং চিরস্থায়ী জান্নাতের অধিবাসী হওয়ার স্বপ্ন দেখবে! ভুলে গেলে চলবে না, আমাদের প্রিয় নবীজিও বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন, কাফেরদের কটু কথা আর কটুবাক্যে তার মনেও কষ্টের মেঘ জমেছে। তার হৃদয়ও ভারী হয়ে উঠেছে। বর্ণিত হয়েছে, ‘আর আমি তো জানি, তারা যা বলে, তাতে আপনার মন ক্ষতবিক্ষত হয়’ (সুরা হিজর : ৯৭)। কিন্তু তিনি তাদের কটু কথায় দমে যাননি। মানবতার মুক্তির মিশন থেকে পিছিয়ে পড়েননি। বরং ধৈর্য ধারণ করেছেন, তাদের শত নির্যাতন আর নিপীড়ন উপেক্ষা করে স্বীয় মিশনে অকুতোভয়ে এগিয়ে গেছেন এবং শেষ পর্যন্ত সফলও হয়েছেন।
একজন আল্লাহভীরু মানুষ যখন বিপদের সম্মুখীন হন তখন তিনি ধৈর্য ধারণ করেন এবং আল্লাহর তায়ালার দরবারে সাহায্যপ্রার্থীর হাত তুলে ধরেন ও অনুতপ্ত হন। অনুশোচনা ও অন্তর শুদ্ধির চেষ্টায় নিয়োজিত হন। আর যারা তাকওয়াহীন জীবন ও মন লালন করেন, জীবনের শেষ গন্তব্য ও পরিণতি সম্পর্কে বেখবর থাকেন তারা ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। অভিযোগ-অনুযোগের তুফান ছুটিয়ে দেন। অন্য কাউকে না ধরে বিপদ ও সংকট ‘তার মতো নিদোর্ষ’ মানুষকে কেন ধরল এ নিয়ে অন্তহীন জিজ্ঞাসা ও আফসোস করতে থাকে। ফলে অস্থিরতা বাড়তে থাকে আর অভিযোগ অনুযোগ করতে করতে অনেক সময় আত্মহত্যার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলে।
অতএব, দুনিয়ার জীবনে কোনো পরীক্ষার সম্মুখীন হলে সেটা যেমনই হোক, আল্লাহ পাকের ফয়সালা মনে করে তা মেনে নেওয়া, মনে কোনোরূপ মন্দ ধারণা পোষণ না করা আর সবরের সঙ্গে বিপদমুক্তির জন্য আল্লাহ পাকের শরণাপন্ন হওয়া-এটাই একজন মুমিনের ঈমানি দায়িত্ব। আর সেটাকে উপদেশদাতা ও সতর্ককারীরূপে গ্রহণ করে অনুতাপ ও প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হওয়ার মধ্যেই মুমিনের কামিয়াবি নিহিত। রাসুল (সা.) বলেন, সত্যি বড় পুরস্কার তো বড় বিপদের সঙ্গেই রয়েছে। আর আল্লাহ যখন কোনো সম্প্রদায়কে ভালোবাসেন তখন অবশ্যই তাদের পরীক্ষায় ফেলেন। তখন যে সন্তুষ্ট থাকে তার জন্যই তাঁর সন্তুষ্টি, আর যে অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে তার প্রতি তাঁরও অসন্তুষ্টি। (তিরমিজি : ২৩৯৬)

- মমতাকে জার্সি দিয়ে ঢাকায় আসবেন রোনালদিনিও
- এ বছর চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না: কৃষিমন্ত্রী
- ঢাকা বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন ৭ অক্টোবর
- সিরাজগঞ্জে আপেল চাষে বোরহানের বাজিমাত!
- গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি!
- আমি ভালো থাকলে তাদের সমস্যা কী, প্রশ্ন নিলয়ের স্ত্রীর
- দলীয় শতকের পরই মুশফিকের বিদায়
- রায়গঞ্জে ছাত্র লীগের কর্মী সভায় আজিজ এমপি
- ডলার কারসাজির দায়ে ১০ ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধানকে জরিমানা
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার
- সংসদ নির্বাচনের মহাযজ্ঞ শুরু
- গণমাধ্যমে মার্কিন ভিসা নীতি: নিন্দা জানালেন ১৯০ বিশিষ্ট নাগরিক
- ফুটবলে ব্রাজিলের সহযোগিতা চাইবে বাংলাদেশ
- নভেম্বরে আসছে জাতীয় ডেবিট কার্ড
- সেপ্টেম্বরে রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশ
- এবার শুরু হচ্ছে পাতালরেল
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার পাচ্ছে ১২ শিল্পপ্রতিষ্ঠান
- শিশুদের মনে বড় হওয়ার সাহস জাগিয়ে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর
- পিতৃত্বকালীন ছুটি দেবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
- যা যা থাকছে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
- নবীজির সুপারিশ লাভের বিশেষ ৪ আমল
- সাকিবকে `মীর জাফর` বললেন শিশির!
- চিকিৎসায় নোবেল ঘোষণা আজ
- শুভশ্রীর ৪০ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল হতেই পাশে দাঁড়ালেন রাজ
- সাড়ে ৬শ নারীর সঙ্গে রাত কাটিয়েছেন এই ক্রিকেটার!
- শাহজাদপুরে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মিরুর পথ সভা
- সিরাজগঞ্জে আ. লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হেনরীর উঠান বৈঠক
- বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মেয়র নির্বাচিত হলেন সিরাজগঞ্জের পৌর মেয়র
- সিরাজগঞ্জে ভাতাভাোগীদের লাইভ ভেরিফিকেশন অনুষ্ঠানে মিল্লাত এমপি
- সিরাজগঞ্জে কালের সাক্ষী প্রায় ৪ শত বছরের পুরনো বটবৃক্ষ
- ‘দাফনের’ ৫ দিন পর জীবিত ফিরলেন গৃহবধূ, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য
- হাফপ্যান্ট পরে অজু করলে অজু হবে?
- ঘুরে আসুন সিরাজগঞ্জের চায়না বাঁধ
- মেয়েকে পড়াতে চাননি শিক্ষকরা, তাই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলেন মা
- ‘জওয়ান’ দেখে টিকিটের দাম ফেরত চাইল ইংল্যান্ডের এক দম্পতি!
- বছরে ৫০০ কোটি টাকার কলা উৎপাদন
- যেসব শর্তে একাধিক স্ত্রী নিয়ে ঘুমানো জায়েজ
- তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেফতার
- বেলকুচিতে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
- ৩ মাসের শিশুকে চুরি করে নিয়ে হত্যা, রাতে পুকুরে মিলল মরদেহ
- পুলিশকে বিবস্ত্র করে খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারপিট (ভিডিও)
- কাজিপুরে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে ইউএনও‘র নানামুখি উদ্যোগ
- বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করলেন হাফেজ জাকারিয়া
- সিরাজগঞ্জে মাটি ছাড়াই চাষ হচ্ছে বিউটি টমেটো
- উল্লাপাড়ায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণে তানভীর এমপি
- ওয়ালটনের সিঙ্গেল ডোরের অলরাউন্ডার মডেলের ফ্রিজ
- সিরাজগঞ্জে মালচিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষ
- মাকে বুঝিয়ে ক্রিকেটে নাম লেখানো ছেলেটির রাজকীয় অভিষেক
- সৌদি আরবে কোরআন প্রতিযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফয়সালের সাফল্য
- ১৮ দিনের সফরে আজ ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী
