বাংলাদেশে যেভাবে বিশ্ব ইজতেমার সূচনা ও বিকাশ
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩

তাবলীগ জামাতের অন্যতম বৃহত্তম জমায়েত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমা। তাবলীগ আরবি শব্দ, বালাগ শব্দ থেকে আগত। যার শাব্দিক অর্থ পৌঁছানো, প্রচার করা, প্রসার করা, বয়ান করা, চেষ্টা করা, দান করা ইত্যাদি। একজনের অর্জিত জ্ঞান বা শিক্ষা নিজ ইচ্ছা ও চেষ্টার মাধ্যমে অন্যের কাছে পৌঁছানোকে তাবলীগ বলে। বিশ্বনবী (স.) বলেন, আমার পক্ষ হতে একটিমাত্র বাণী হলেও তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও। এ দাওয়াতি আহ্বানকে কেন্দ্র করেই পর্যায়ক্রমে তাবলিগের বিশ্বব্যাপী প্রচার ও প্রসার ঘটে।
ইজতেমার ইতিহাস
উপমহাদেশের মুসলমানদের ইতিহাসের এক ক্রান্তিলগ্নে তাবলিগ জামাতের শুভ সূচনা হয়। বিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও সাধক হজরত মাওলানা ইলিয়াস আখতার কান্ধলভি (১৮৮৫-১৯৪৪ খ্রি.) দাওয়াতে তাবলিগ জামাতের পুনর্জাগরণ করেন। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী দিল্লির দক্ষিণ পাশে অবস্থিত এক জনবিরল নীরব অঞ্চল ‘মেওয়াত’। চারিত্রিক বিপর্যস্ত ধর্মকর্মহীন, অশিক্ষিত ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন নামেমাত্র মুসলমান ‘মেও’ জনগোষ্ঠীকে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস, ধর্মের পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন ও কালেমার দাওয়াতি মর্ম শিক্ষাদান এবং বিভ্রান্তির কবল থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে হজরত মাওলানা ইলিয়াস (রা.) তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম শুরু করেন।
১৩৪৫ হিজরিতে দ্বিতীয় হজ থেকে ফিরে এসে তিনি তাবলিগি গাশত শুরু করেন। জনসাধারণের মধ্যে কালেমা ও নামাজের দাওয়াত দিতে থাকেন। তাবলিগ জামাত বানিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বের হওয়ার দাওয়াত দেন। এভাবে তিনি গ্রামে গ্রামে সৎ কাজ করার জন্য জামাত তথা দল তৈরি করে দিতেন। কয়েক বছর মেওয়াতে এ পদ্ধতিতে দাওয়াতি কাজ অব্যাহত থাকে।
১৩৫২ হিজরিতে তৃতীয় হজ পালনের পর তিনি বুঝতে পারলেন যে গরিব মেওয়াতি কৃষকদের পক্ষে দ্বীন শেখার জন্য সময় বের করা কষ্টকর। ঘরসংসার ছেড়ে মাদ্রাসায় দ্বীন শেখাও অসম্ভব। ওয়াজ-নসিহতের মাধ্যমে সামগ্রিক জীবন পাল্টে দেওয়া বা জাহেলি বিশ্বাসকে পরিবর্তন করাও সম্ভব নয়। তাই ক্ষুদ্র দল বা ছোট জামাত আকারে ইলমি ও দ্বীনি প্রতিষ্ঠানগুলোয় গিয়ে সময় কাটানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করলেন এবং ধর্মীয় পরিবেশে তালিম দিতে আরম্ভ করলেন। সেসব ধর্মীয় মজলিসে ওলামা-মাশায়েখদের ওয়াজ-নসিহতের পাশাপাশি তাদের দৈনন্দিন জীবনের নিয়মনীতি বাতলে দেওয়া হতো। মানুষ দ্বীনদার পরহেজগার লোকদের জীবনযাপন, কথাবার্তা, আচার-আচরণ, চালচলন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন।
শুরুতে তাবলিগি কার্যক্রম ব্যাপক সমর্থন না পেলেও ধীরেধীরে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। এভাবেই তাবলীগের কার্যক্রম বাড়তে থাকে। সময়ের সাথে সাথে তাবলিগী মেহনত বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে ইজতেমার সূচনা ও স্থায়িত্ব যেভাবে
১৯৪৬ সালে প্রথমবারের মতো কাকরাইল মসজিদে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তাবলিগ জামাতের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। দিন দিন লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগাড় গ্রামের কাছে (টঙ্গীর মনসুর জুট মিলের নিকটে) একটি মাঠে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ইজতেমায় বিদেশি কয়েকটি জামাতও অংশ নেয়। এখান থেকেই এর নাম হয় বিশ্ব ইজতেমা। ১৯৬৭ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদের পাড়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার তুরাগ পাড়ের ১৬০ একর জমি তাবলিগ জামাতের জন্য বরাদ্দ দেয়।
কথিত আছে, বাংলাদেশকে বিশ্ব ইজতেমার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল লটারির মাধ্যমে। তবে তাবলিগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, বিষয়টি তাদের অজ্ঞাত। তাদের দাবি, দেশভাগের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ), পশ্চিম পাকিস্তান ও ভারতে পৃথক ইজতেমার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
তখন একই সঙ্গে তিন ভূখণ্ডে ইজতেমা শুরু হয়। তবে অধিকসংখ্যক লোকের অংশগ্রহণ, স্বল্প ব্যয়ভার, ভিসাপ্রাপ্তির সহজতা, সাধারণ মুসলমানের আন্তরিকতা, অনুকূল পরিবেশ, সামাজিক ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের ইজতেমা সারা বিশ্বের তাবলিগ জামাতের অনুসারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফলে সার্বিক বিবেচনায় টঙ্গী ইজতেমাকে স্থায়ী বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
২০১১ সালের আগে একপর্বে তিনদিন ব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হত। স্থান সংকট এবং জনদুর্ভোগ বিবেচনা ও মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি, আইন-শৃ্ঙ্খলা উন্নতি ও নিরাপত্তা প্রদানের নিমিত্তে তাবলিগের শুরা সদস্যদের পরামর্শের ভিত্তিতে তিন দিন করে ২ ধাপে ইজতেমা আয়োজনের কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
২ ধাপে ইজতেমা আয়োজনের পরও মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি হওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর ৩২ জেলার অংশগ্রহণে ২ ধাপে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও যে সব জেলা টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না তাদের জন্য জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক ইজতেমার আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে। সে আলোকে গত ২ বছর ধরে জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক ইজতেমাও অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
করোনা মহামারির কারণে দুই বছর বিরতি দিয়ে ২০২৩ সালে প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি, শেষ হবে ১৫ জানুয়ারি। আর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ২০ জানুয়ারি, যা ২২ জানুয়ারি শেষ হবে।
তথ্যসূত্র : বাংলাপিডিয়া ও উইকিপিডিয়া

- মামলায় সরকারি সাক্ষীদের খরচ দেয়ার নির্দেশ
- ঢাকায় পাসপোর্ট অফিসের এলাকা পুনর্নির্ধারণ
- সরকার ১৮৬টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে
- রামপালে জুনের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু
- ফাস্ট ট্র্যাকে সাড়ে পাঁচ লাখ কর্মী নেবে মালয়েশিয়া
- রমজানে বিনা মূল্যে চাল পাবে ১ কোটি পরিবার
- গঙ্গা বিলাসের যাত্রীদের স্বাগত জানালেন নৌ প্রতিমন্ত্রী
- ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সিনেটরের সহায়তার আশ্বাস
- পদ্মা সেতুতে ২২০ দিনে টোল আদায় ৪৭১ কোটি টাকা
- ফেসবুক ব্যবহারে বাংলাদেশ শীর্ষ তিন দেশের তালিকায়
- নভেম্বরে তফসিল ডিসেম্বরে ভোট
- গ্রন্থাগারে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
- বিপিএলে পারিশ্রমিক জটিলতা, ঢাকার ক্রিকেটারদের পাশে বিসিবি
- ভিক্ষা করে দুই নাতনির পড়ার খরচ চলান বৃদ্ধা দাদি
- তাড়াশে শিক্ষা অফিসার ও নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বরণ অনুষ্ঠান
- সিরাজগঞ্জের অসহায় ও দুঃস্থ নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ করেন মিল্লাত
- বেলকুচিতে অসহায়দের মাঝে সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসের কম্বল বিতরণ
- হাজী আহম্মেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশে মিল্লাত এমপি
- নিপা ভাইরাস খুবই মারাত্মক, এর ওষুধ নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সিরাজগঞ্জে অনন্যা পিঠা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- উল্লাপাড়ায় শতাধিক কবরস্থানকে আলোকিত করলেন পৌর মেয়র নজরুল
- এপ্রিলেই মিলবে ক্ষতিপূরণের ১২০ কোটি টাকা
- জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের সহ-সভাপতি হলো বাংলাদেশ
- ‘অ্যাডভোকেট-ক্লার্ক’ আইন হচ্ছে
- নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
- রোজা উপলক্ষে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানি
- ২৮ জেলায় বিশেষ সতর্কতা,ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতাল প্রস্তুতের নির্দেশ
- বাংলাদেশ-ভারত অকৃত্রিম বন্ধু: প্রণয় ভার্মা
- দেশের জিন্সের বাজারে ৮৫% চাহিদা মেটাচ্ছে
- গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ
- কুল চাষে নড়াইলের রাকিবের ভাগ্যবদল
- শাহজাদপুরে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মালচিং শীটে স্কোয়াশের হাসি
- একটি ছাগল দিয়ে শুরু করে কোটিপতি তরুণ উদ্যোক্তা রাসেল!
- কনুই দিয়ে লিখে সব ক্লাসে প্রথম আরাফাত
- সিরাজগঞ্জে ধূমপান ও তামাক প্রতিরোধে কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
- কামারখন্দে ৯১ হেক্টর জমিতে বেগুনের বাম্পার ফলন
- উল্লাপাড়ায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে খিরা চাষে বাম্পার ফলন
- মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন শিবচরের কৃষকরা!
- ৩টি গরু দিয়ে শুরু করে কোটি টাকার খামারের মালিক নাসরিন!
- ৫০০০ মানুষ পেয়েছে ডা. মিল্লাত এমপি’র বিনামূল্য স্বাস্থ্যসেবা
- প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষে রাসেলের চমক!
- চৌহালীতে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা
- সিরাজগঞ্জে ৫১তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- কামারখন্দে রবি মৌসুমের সরিষা প্রদর্শনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
- ছাগলের দুধ বিক্রিতে নুর হোসেনের চমক, মাসিক আয় ২৮ হাজার টাকা!
- নড়াইলে কুল চাষে রাকিবুলের ভাগ্যবদল
- কামারখন্দে মুগবেলাই গ্রামের মজনু ক্যাপসিকাম চাষে স্বাবলম্বী
- ৫ জাতের বরই চাষে রফিকুলের ৮ লাখ টাকা লাভের আশা!
- ভাপা পুলি পিঠা তৈরির সহজ রেসিপি
- সিরাজগঞ্জে সরিষা ও মধুর সমন্বিত চাষে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা
