যেভাবে মদিনার দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করেন খলিফা ওমর (রা.)
আলোকিত সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২২

মদিনা ও আশপাশের গ্রামগুলোতে ১৮ হিজরির হজের পর কঠিন দুর্ভিক্ষ নেমে আসে। অনাবৃষ্টির কারণে মাঠঘাট শুকিয়ে যায় এবং পশুপাখি এমনকি মানুষও মরতে থাকে।
এমনকি মদিনার মাটি কালো হয়ে ছাইরঙা হয়ে যায়। এ কারণে বছরটিকে ইসলামের ইতিহাসে ‘আমুর রামাদাহ’ বা ‘ছাইয়ের বছর’ বলা হয়। (তবকাতে ইবনে সাআদ: ৩ / ৩১০)
এ সময় খলিফা ওমর (রা.) নিজেই মানুষের পাশে দাঁড়ান। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে যেসব খাবার, সেগুলো খাওয়া বন্ধ করে দেন। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, দুর্ভিক্ষের সময় ওমর (রা.) জয়তুন তেল খেতেন, তাঁর পেট গুড়গুড় করত। ঘি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেন। পেটে আঙুল দিয়ে চাপ দিয়ে বলতেন, তোমার মতো করে গুড়গুড় করতে থাকো। এই যাত্রায় মানুষ বেঁচে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তোমার জন্য এ ছাড়া আর কিছুই নেই। (তবকাতে ইবনে সাআদ: ৩ / ৩১৩-৩১৫)
ওমর (রা.) মরুর মানুষের জন্য গ্রামাঞ্চল থেকে খাবার আনার ব্যবস্থা করেন এবং আল্লাহর কাছে দুর্ভিক্ষ দূর করে দেওয়ার দোয়া করেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, বছরটি খুব কঠিন ছিল। …ওমর (রা.) বেদুইনদের জন্য গ্রাম থেকে উট, গম ও তেল নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। এরপর আল্লাহর কাছে দোয়া করে বলেন, ‘হে আল্লাহ, পাহাড়ের চূড়ায় তাদের রিজিক তৈরি করে দিন। (আল-আদাবুল মুফরাদ: পৃ. ১৯৮; তাবকাতে ইবনে সাআদ: ৩ / ৩১৬)
তখন মানুষের দুর্ভোগের সীমা ছিল না। অনেক মানুষই মারা গেছে। ক্ষুধা নিবারণে কেউ কেউ ইঁদুর পর্যন্ত খেয়েছে। ওমর (রা.) মিসরের গভর্নর আমর ইবনুল আস, কুফার গভর্নর সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস, বসরার গভর্নর আবু মুসা আল-আশআরি এবং শামের গভর্নর মুআবিয়া ইবনে আবি সুফইয়ানকে খাদ্য-বস্ত্র পাঠানোর জন্য চিঠি লেখেন। (আন-নাওয়াহিল মালিয়্যাহ ফি খিলাফাতি ওমর: ৩৪৯-৩৫৪)
দুর্ভিক্ষের ধ্বংসাত্মক প্রভাব থেকে বাঁচতে ওমর (রা.) বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হাতে নেন। এখানে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদক্ষেপ তুলে ধরা হলো:
আল্লাহর পথে ফিরে আসার আহ্বান : নামাজ, দোয়া, মোনাজাত ও তওবার মাধ্যমে গুনাহমুক্ত হয়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার আহ্বান জানান ওমর (রা.)। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘ওমর (রা.) দুর্ভিক্ষের বছর এমন এক আমল করতেন, যা এর আগে করতেন না। মসজিদে এশার নামাজ পড়ে ঘরে আসতেন। এরপর রাতের শেষ প্রহর পর্যন্ত নামাজ আদায় করতেন। এরপর ঘর থেকে বেরিয়ে মদিনার উপকণ্ঠ ‘আনকাব’-এ এসে ঘোরাফেরা করতেন। একদিন শেষ রাতে আমি তাঁকে দোয়া করতে শুনেছি, হে আল্লাহ, আমার হাতে মুহাম্মদের জাতিকে ধ্বংস কোরো না।
মানুষকে আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করেন। দুই হাত তুলে কায়মনোবাক্যে দোয়া করেন। নিজে কাঁদেন, সবাইকে কাঁদান। মোনাজাতে একটি বাক্য বারবার বলেছিলেন সেদিন, আল্লাহ! দুর্ভিক্ষ দিয়ে আমাদের ধ্বংস করবেন না এবং আমাদের থেকে বিপদ উঠিয়ে নিন। এরপর মানুষকে তওবা করার পরামর্শ দেন।
বৃষ্টির নামাজ আদায় : ওমর (রা.) দুর্ভিক্ষের দিনে লোকজন জড়ো করে বৃষ্টির জন্য দুই রাকাত নামাজ পড়েছিলেন এবং দোয়া করেছিলেন। দোয়ায় তিনি বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আমাদের সঙ্গীরা আমাদের থেকে নিরাশ হয়েছে। আমাদের সামর্থ্যে আমরা কুলিয়ে উঠতে পারিনি। আমরা অক্ষম। আপনার শক্তি ছাড়া কোনো শক্তি নেই। হে আল্লাহ, বৃষ্টি দিন। মানুষ বাঁচান, দেশ বাঁচান।’ এই দোয়ার পরেই আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে।
সাহায্যের জন্য গভর্নরদের চিঠি লেখেন : সাহায্যের আকুতি জানিয়ে আঞ্চলিক প্রদেশগুলোর গভর্নরদের কাছে চিঠি লেখেন ওমর (রা.)। চিঠি পেয়ে মিসর থেকে আমর ইবনুল আস (রা.) এক হাজার উট ময়দা পাঠালেন। ২০টি সামুদ্রিক জাহাজে পাঠালেন তেল। পাঁচ হাজার পোশাক পাঠালেন। ইরাক থেকে সাআদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) পাঠালেন তিন হাজার উট ময়দা। তিন হাজার চাদর। শামের গভর্নর মুআবিয়া (রা.) পাঠালেন দুই হাজার উট নিত্যপণ্য। এভাবে সব প্রদেশ এগিয়ে আসে।
দুর্ভিক্ষের দিনগুলোতে ওমর (রা.) মানুষের দুঃখ-কষ্টে খুবই ব্যথিত থাকতেন। আসলাম (রা.) বলেন, আমরা আশঙ্কা করছিলাম যে খরা যদি না কাটে, তবে মানুষের চিন্তায় ওমর মারা যাবেন।

- সহানুভূতি ও উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা: বাইডেন
- সিরাজগঞ্জে ভি ডব্লিউ বি কার্ডের আওতায় চাল বিতরণ
- ১৩৫ দিনে কুরআনের হাফেজ হওয়ায় শিশুকে সংবর্ধনা দেন মমিন মন্ডল এমপি
- কাজিপুর থানা পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- সিরাজগঞ্জের মূল্য তালিকা না থাকায় ভোক্তা অধিকারের জরিমানা
- ভারতের পররাষ্ট্র নীতির শক্তিশালী স্তম্ভ বাংলাদেশ —এস জয়শংকর
- ট্রাউজারের সিংহভাগই সরবরাহ করছে বাংলাদেশ
- প্রতি জেলায় মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- জঙ্গিবাদ নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
- বাংলাদেশ হয়ে আগরতলা থেকে ট্রেন যাবে কলকাতায়
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসাধারণ অর্জন বাংলাদেশের
- দ্রুতই আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে বাংলাদেশ: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের শুভেচ্ছা
- স্বাধীনতা দিবসে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
- বঙ্গবন্ধুকে দেওয়া হলো বিশেষ সাহিত্য পুরস্কার
- এক বিঘায় ড্রাগন চাষে লাখপতি উজ্জ্বল
- রাস্তার পাশের পতিত জমিতে সবজি চাষ করে সফল অর্ধশতাধিক চাষি
- এ বছর সম্মাননা পাচ্ছেন মামুনুর রশীদ
- সঠিক সময়ে ইফতার করার গুরুত্ব
- যে ভাইরাসে আক্রান্তদের অর্ধেকই মারা গেছে
- মাশরাফির আগুনে ঝড়লো মোহামেডান
- উল্লাপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিলেন তানভীর ইমাম এমপি
- স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আলোচনায় মুন্না এমপি
- বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদানে আজিজ এমপি
- শতবর্ষে `সলপের ঘোল`, রোজায় বাড়ে চাহিদা
- বাংলাদেশ দ্রুত আঞ্চলিক নেতা হয়ে উঠছে: ব্লিঙ্কেন
- সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী ও নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি
- মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাবিবে মিল্লাত
- মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে আব্দুল আজিজ এমপি
- এপ্রিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ঘোষণা মিয়ানমারের
- স্বাদে অতুলনীয় সিরাজগঞ্জের কুমড়া বড়ি , হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন
- কাশ্মীরী কুল চাষে তিন শিক্ষার্থীর চমক!
- চোখ জুড়িয়ে যায় সিরাজগঞ্জের শিমুল ফুলে
- উল্লাপাড়ায় গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ভবন উদ্বোধন করেন তানভীর ইমাম
- উল্লাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট
- নাসিম স্মৃতি ভলিবলে প্রথম সেমি ফাইনাল বিজয়ী কাজিপুর পৌরসভা দল
- স্ট্রবেরি চাষে দুই ভাইয়ের সাফল্য
- চুরির সন্দেহে ছেলেকে ছাদে উল্টো ঝোলালেন বাবা
- তাড়াশে বিনাহালের রসুনের ভালো ফলন ও দামে খুশি কৃষক
- কাজিপুরে তিলের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
- সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে কৃষকের মুখে হাসি
- ১৫ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রির আশা ইমরানের
- সিরাজগঞ্জে হাইব্রিড বেগুনের বাম্পার ফলন, কৃষক খুশি
- নকলায় এক গাভীর একসাথে ৪ বাছুরের জন্ম
- তাড়াশে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখীচাষে কৃষকদের সাফল্য
- ২০৪১ সালের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ হবে: প্রধানমন্ত্রী
- শিশুদের কোলাহলে কাটলো সলঙ্গার বই মেলার শেষ প্রহর
- সিরাজগঞ্জে মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫০ টন
- সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে ৫ টি গরুর মৃত্যু
- গ্রামের পুকুরে বিশাল রুই মাছ দেখার জন্য এলাকাবাসীর ভিড়
