বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আকাশ যেভাবে সুরক্ষিত ছাদ

আকাশ যেভাবে সুরক্ষিত ছাদ

আসমান-জমিনসহ গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা ও মালিক মহান আল্লাহ। তিনিই সব কিছুর নিয়ন্ত্রক ও রক্ষক। পবিত্র কোরআনে তাঁর অসীম ক্ষমতার বিষয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি আল্লাহ, যিনি সাত আসমান এবং অনুরূপ জমিন সৃষ্টি করেছেন; এগুলোর মাঝে তাঁর নির্দেশ অবতীর্ণ হয় যেন তোমরা জানতে পার যে আল্লাহ সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান এবং আল্লাহর জ্ঞানত সব কিছুকে বেষ্টন করে আছে। ’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ১২)

অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আপনি কি জানেন না যে আসমান ও জমিনের সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহর? আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোনো অভিভাবকও নেই, নেই সাহায্যকারীও। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১০৭)

সত্যিই মহান আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর কোনো অভিভাবক নেই। তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, আমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন আসমান-জমিন, গ্রহ-নক্ষত্র, পাহাড়-সাগরসহ বহু কিছু এবং আমাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য নিয়েছেন বিশেষব্যবস্থা। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি আসমানকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ; কিন্তু তারা তার নিদর্শনাবলি হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৩২)

সুবহানাল্লাহ! আসমান বা আকাশ হলো ভূপৃষ্ঠ থেকে বাইরের দিকে অবস্থিত অংশবিশেষ। বায়ুমণ্ডল এবং মহাশূন্যও এর অংশ। জ্যোতির্বিদ্যায় আকাশকে খ-গোলকও বলা হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে এটিকে একটি কাল্পনিক গোলক কল্পনা করা হয় যেখানে সূর্য, তারা, চাঁদ ও গ্রহসমূহকে পরিভ্রমণ করতে দেখা যায়। খ-গোলককে সাধারণত বিভিন্ন নক্ষত্রমণ্ডলে ভাগ করা হয়। সাধারণত আকাশ শব্দটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরে যেকোনো বিন্দু নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এর অর্থ এবং ব্যবহার ভিন্নও হতে পারে। যেমন: আবহাওয়ার ক্ষেত্রে আকাশ বলতে শুধু বায়ুমণ্ডলের নিচের দিকের অধিক ঘন অংশকে বোঝায়। দিনের আলোয় আলোর বিক্ষেপণের জন্য আকাশ নীল দেখায়। আর রাতের বেলায় আকাশকে তারায় পরিপূর্ণ একটি কালো গালিচার মতো মনে হয়। দিনের বেলায় মেঘ না থাকলে আকাশে সূর্য দেখা যায়। আর রাতের আকাশে (কখনো কখনো দিনেও) চাঁদ, গ্রহসমূহ এবং তারা দৃশ্যমান থাকে। মেঘ, রংধনু, অরোরা বা মেরুপ্রভা, বজ্রপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনা আকাশে পরিলক্ষিত হয়।

প্রশ্ন হলো, আকাশ কিভাবে আমাদের জন্য সুরক্ষিত ছাদ! মূলত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বলতে পৃথিবীর চারপাশে ঘিরে থাকা বিভিন্ন গ্যাস মিশ্রিত স্তরকে বোঝায়, যা পৃথিবী তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি দ্বারা ধরে রাখে। একে আবহমণ্ডল-ও বলা হয়। এটি সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব রক্ষা করে। এটি তাপ ধরে রাখার মাধ্যমে (গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া) ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে ও দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস করে।

যদি মহান আল্লাহ বায়ুমণ্ডলের মাধ্যমে পৃথিবীকে আবৃত করে না দিতেন, তাহলে পৃথিবী আমাদের জন্য বাসযোগ্যই থাকত না। এভাবেই মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির বহু নিদর্শনের রহস্য সম্পর্কে আমাদের অবগত করেন।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর