সংগৃহীত
যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের হাটপাঁচিল গ্রামের নদী তীরবর্তী নিম্ন এলাকার ১০ বাড়িঘর গত ১ সপ্তাহ ধরে বন্যার পানিতে ডুবে আছে। ফলে এসব বাড়িঘরের নারী শিশু, বৃদ্ধসহ অর্ধশতাধিক মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।
তাদের বেশির ভাগ মানুষ ঘরের ভিতরে ও বাইরে মাচা অথবা চৌকি উচু করে বসবাস করছে। রান্না বান্না ও খাওয়া দাওয়া মাচা অথবা চৌকিতে বসেই করছে। বন্যার পানিতে টিউবওয়েল, পায়খানা ও রান্নার চুলা ডুবে গেছে। ফলে এসব পরিবারের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব দেখা দিয়েছে। অনেকের ঘরে চুলা জ্বলছে না। বন্যার পানিতেই তারা মলমূত্র ত্যাগ করছে। ফলে ওই এলাকায় নানা রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে।
আবু সাঈদ বলেন, বন্যায় বাড়িঘর টিউবওয়ের ও পায়খানা ডুবে গেছে। ফলে এক বেলা রান্না করে ৩ বেলা খেতে হচ্ছে। টিউবওয়েল ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব দেখা দিয়েছে। পায়খানা ডুবে যাওয়ায় মলমূত্র ত্যাগে অসুবিধা হচ্ছে। এদিকে হাতে কাজ না থাকায় খাবার জোটানো কষ্ট হয়ে গেছে। ভাত রান্না করতে না পেরে চাল ভেজে খেয়ে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে।
বিধবা আজিদা খাতুন বলেন, ঘরের মধ্যে হাটু পানি ওঠায় চৌকি উচু করে আছি। রান্নার চুলা ডুবে যাওয়ায় মাচা তৈরি করে দিনে একবার রান্না করি। আয় উপার্জনের কেউ না থাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে চেয়ে চিনতে যা পাই, তাই এনে খাই। পানির কারণে কোথাও যেতে পারছি না। তাই প্রায়ই অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান বলেন, পাচিল গ্রামের বন্যায় ডুবে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করে সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।














