
সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চারটি গ্রামের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে। মাত্র দুই মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের চরচিলগাছা, চিলগাছা, বাহুকা ও ইটালি গ্রামের উপর দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ে অনেক জায়গায় চলাচলের রাস্তা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
চরচিলগাছা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল আলিম বলেন, “বৃষ্টির সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘরের মধ্যে বসে ছিলাম। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে আমার সংসারের সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। কোনো রকম প্রাণ রক্ষা করতে পেরেছি। ঝড়ে বসতঘর উড়ে যাওয়ায় পরিবারের লোকজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রয়েছি।”
রতনকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম ধুল্লু বলেন, দুপুর ২টার পর গ্রামগুলোর একপাশ থেকে কালো মেঘের মত ভেসে আসতে থাকে। মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে চারটি গ্রামের বহু বসতবাড়ির টিনের ঘর ও গাছপালা ভেঙে গেছে। কিছু কিছু ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বেশকিছু গাছপালা রাস্তার ওপরে ভেঙে পড়ে যাওয়ায় কয়েকটি চলাচলের রাস্তা এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া আবাদি জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, মুরগির খামার ভেঙে গেছে। লোকজনকে তাদের আসবাবপত্র বিভিন্ন স্থান থেকে কুড়িয়ে আনতে দেখা গেছে। অনেকে গাছাপালা সরিয়ে রাস্তা সচল করার চেষ্টা করছেন।
রতনকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জুবায়েল হোসেন বলেন, শুধু চরচিলগাছাতেই অন্তত ৫০টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউএনও কার্যালয়ে সংবাদ পাঠানো হয়েছে। তারা আসার পরই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
রতনকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মেরাজ হোসেন মিসবাহ বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনোয়ার হোসেন বিকাল ৪টার দিকে বলেন, “এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পিআইওকে পাঠানো হয়েছে। আমি নিজেও যাব।”
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছি। তালিকা তৈরির পর প্রয়োজনীয় পুনর্বাসন করা হবে।”
সূত্র: বিডি নিউজ ২৪