শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

রঙ বেরঙের বাহারি ঘুড়ির মেলা শাহজাদপুরের আকাশ জুড়ে

রঙ বেরঙের বাহারি ঘুড়ির মেলা শাহজাদপুরের আকাশ জুড়ে

আকাশে রঙের ছটা, উড়ছে হাওয়ায় ঘুড়ি বিভিন্ন রং ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশে।  এমনই এক অপরুপ দৃশ্য শাহজাদপুর উপজেলা জুড়ে।  হাতে নাটাই আকাশে ঘুড়ি দল বেঁধে লাইনে দাঁড়িয়ে চলছে ঘুড়ি ওড়ানোর ধুম।  এ যেন বাংলার অপরুপ সৌন্দর্যে শোভিত এক রঙিন পরিবেশ ।

আকাশ জুড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে এখন নানা রঙের ঘুড়ি।  লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, বেগুনী এ রকম কত রঙের ঘুড়িতে আকাশ ছেয়ে রয়েছে! দেখে মনে হচ্ছে, নানান রঙের মেলা বসেছে আকাশ জুড়ে।  কোনো ঘুড়ি হঠাৎ কাটা গেলে মনে হয় রঙের মেলা থেকে যেন একটি রঙ খসে পড়ল।  খসে পড়া রঙটি ভেসে ভেসে দূর থেকে বহু দূরে চলে যায়।

বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে থমকে যাওয়া জনজীবনে স্বস্তির এক ছোঁয়া নিয়ে শাহজাদপুরের আকাশে উড়ছে শতশত বাহারি ঘুড়ি ।  লাল নীল সাদা কালো হলুদ খয়েরি -এ যেন প্রকৃতির এক অবাক করা মনোরম দৃশ্য।  বিকেল হলেই শাহজাদপুরের উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের মাঠে, রাস্তার পাশে ও বাড়ীর ছাদে চলছে ঘুড়ি ওড়ানোর এক অন্যরকম আয়োজন।  এ যেন আকাশ জুরে ঘুড়ির মেলা।

জানা যায়, ঘুড়ি উদ্ভাবন এবং ওড়ানোর ইতিহাস অনেক প্রাচীন।  কিংবদন্তি আছে, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে গ্রিসে ঘুড়ি উদ্ভাবন হয়।  গ্রিসের বিজ্ঞানী আর্চিটাস ঘুড়ি উদ্ভাবন করেন। এরও বহু যুগ পূর্বে এশিয়া মহাদেশের লোকেরা ঘুড়ি ওড়ানোর ব্যাপারে দক্ষ ছিল।  চীন, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়ায় ঘুড়ি ওড়ানো খেলার প্রচলন রয়েছে।
 
ঘুড়ি ওড়ানোর এমন আয়োজনে বিমোহিত এখন উপজেলা বাসী।  ঘুড়ি ওড়ানোর এমন আয়োজন ও মানুষের মধ্যে ইতিবাচক সারা দেখে অনেকেই বলছেন ঘুড়ি ওড়ানো টা বাঙালী কালচারের এক আদি সভ্যতা।  এমন ঘুড়ি ওড়ানো দেখে অনেকেই বলছে একটা সময় ছিল আমরা বিকেল হলেই বেরিয়ে পরতাম ঘুড়ি ওড়াতে যা বর্তমান সময়ে চোখে পরেনা। 
 
তবে করোনাকালীন এমন সময়ে ঘুড়ি বানানো ও ওড়ানোর আয়োজনে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের মধ্যেও ব্যাপকভাবে সারা জাগিয়েছে ঘুড়ি ওড়ানোর এমন আয়োজন।  বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছেন শাহাজাদপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ ।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: