বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

অভিভাবক শুণ্য সলঙ্গা টু তাড়াশ রাস্তা

অভিভাবক শুণ্য সলঙ্গা টু তাড়াশ রাস্তা

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা টু তাড়াশ ৭ কিলোমিটার সড়কটি এখন অভিভাবক শুণ্য হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কে সৃষ্টি হওয়া ছোট ছোট খানাখন্দ গুলো এখন বড় বড় গর্তে পরিনত হয়েছে। রাস্তা ভেঙ্গে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ছোট খাট দুর্ঘটনায় পড়ে অনেকেই পঙ্গু হওয়ার খবর জানা গেছে।

বনবাড়ীয়া ভোলার বটতলা হতে কুঠিপাড়া পর্যন্ত প্রায়ই যানজট লেগেই থাকে। এলাকাবাসী সলঙ্গা বাজারে ধান, চাল, তরিতরকারী বহনে যেমন অসুবিধার মধ্যে পড়েছে। তেমনি জরুরী রোগীকে হাসপাতালে নিতে ভোগান্তিতে পড়েছে অনেকেই। তাড়াশ উপজেলার বারুহাস, গুলটা, রানীর হাট সহ উপজেলার অধিকাংশ জনগণের জেলা শহর সিরাজগঞ্জ যেতে নিমগাছী, ভুইয়াগাঁতী হয়ে হাটিকুমরুল রোড দিয়ে শহরে যেতে একদিকে বেশী টাকা গুনতে হয়।

অপর দিকে দীর্ষ সময় ক্ষেপন করতে হয়। আর তাড়াশ হতে সলঙ্গার রাস্তা দিয়ে যেতে সময় ও টাকা উভয়ই সাশ্রয় হয়। ইদানিং উক্ত রাস্তার ঝুরঝুরি ব্রীজ হতে সলঙ্গা পর্যন্ত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সিরাজগঞ্জ রোড মাছের আড়তে তাড়াশ এলাকার মাছ বিক্রি আর পশ্চিম এলাকার খড় বোঝাই নসিমন গাড়ীর নিরাপদ রাস্তা হচ্ছে এই সড়ক। বিকাল হতে রাত ৮ টা পর্যন্ত খড়ের গাড়ীর যানজটে পথচারী অতিষ্ঠ। যে রাস্তা দিয়ে ভ্যান, রিক্সা, সিএনজি, ভুটভুটি চলাই কঠিন, সেই রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন ধরনের ভারী যানবাহন। ফলে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন। সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে অচিরেই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন।

এ সড়কে প্রায় ৮ বছর আগে কার্পেটিংয়ের কাজ করলেও নি¤œ মানের কাজ হওয়ায় অতি অল্প সময়েই কার্পেটিং উঠে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্ত হওয়ায় যানবাহন গুলোকে চলতে হচ্ছে হেলে দুলে। এ কারনে মাঝে মধ্যেই বনবাড়ীয়া ভোলার বটতলার পূর্বে তারা মেম্বরের বাড়ী সংলঘœ হতে বউ মরা জোড়া ব্রীজ পর্যন্ত সড়কে প্রায়ই ভারী যানবাহন আটকে থাকতে দেখা যায়। এ কারনে যাত্রীরাও নিরুপায় হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। সিএনজি চালক আতিক, রাজু, জাহাঙ্গীর সহ অনেকেই জানায়, অনেক দিন যাবত সড়কটিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ কেউ নেয়নি।

ফলে সব সময় আমরা ঝুঁকির মধ্যে গাড়ী চালিয়ে আসছি। ঝুরঝুরি গ্রামের অটো ভ্যান চালক নজরুল ইসলাম জানান, সড়কটিতে বড় বড় গর্তের কারনে অটো রিক্সা ভেঙ্গে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে আমাকে অনেক দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। সড়ক জরুরী ভাবে মেরামত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। সিরাজগঞ্জের সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, সলঙ্গা টু তাড়াশ রাস্তার একাংশ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। সলঙ্গা টু তাড়াশ রাস্তাটি ঝুড়ঝুড়ি পাকার মাতা পর্যন্ত ইতি মধ্যেই সংস্কার করা হয়েছে। আগামী ০৬ মাসের মধ্যে টেন্ডার করে কার্পেটিং কাজ শুরু করা হবে। 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ