গরমে কেবল বড়দেরই নয়, ছোটদেরও পানিশুন্যতা দেখা দেয়। জন্মের পর প্রথম ছয় মাস শিশু মায়ের বুকের দুধের ওপর নির্ভরশীল থাকে। এরপর ধীরে ধীরে বাইরের খাবার খাওয়া শুরু হয় তার। আর তখনই তার দেহে পানির ঘাটতি হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি হয়ে পড়ে।
শিশুর ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা হলো পানিশূন্যতার অন্যতম কারণ। এছাড়াও শিশু পানিশূন্যতায় ভুগছে কিনা তা বুঝার আরো কয়েকটি উপায় রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
শুষ্ক ত্বক ও মুখ
পানিশূন্যতার একটি বড় লক্ষণ হলো মুখ ও ত্বকের শুষ্কতা। পানিশূন্যতা হলে ত্বক মলিন হয়ে যায়। এছাড়া পানিশূন্যতা হলে হাত-পা গরম অথবা ঠাণ্ডা হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা করবেন না। এমন হলে শিশুকে দুধ খাওয়ান, আর ছয় মাসের ওপরে বয়স হলে তরল জাতীয় খাবার খেতে দিন।
কান্নার সময় চোখে পানি না থাকা
শিশু কান্নার সময় চোখ দিয়ে পানি বের হয়। পানি না বের হলে এর মানে হলো শরীরে পানি অভাব হচ্ছে এবং কান্নার জন্য পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
বেশি ঘুমাচ্ছে
বড়দের মতো শিশুরাও পর্যাপ্ত পুষ্টি না পেলে ক্লান্তবোধ করে। বেশি বেশি ঘুমাতে চায়। তাই শিশুর ঘুমানোর রুটির চেক করুন। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে বিষয়টি নিয়ে সচেতন হোন।
বিরক্তি
শিশুর ক্ষুধা লাগলে বা পানিশূন্যতা বোধ করলে সে বিরক্তি প্রকাশ করবে। তাই শিশু খিটখিটে হয়ে গেলে বিষয়টি এড়িয়ে না গিয়ে কারণ খোঁজার চেষ্টা করুন। হতে পারে পানিশূন্যতার কারণে সে এমন আচরণ করছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আলোকিত সিরাজগঞ্জ